ঐতিহাসিক পাগলার মসজিদের প্রাপ্ত টাকার ব্যবহার

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


পত্রিকার পাতায় খবর দেখা আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস। তবে খবর দেখতে গেলে বেশিরভাগ সময়ই নেতিবাচক খবর গুলো দেখতে হয়। এ কারণে বেশিরভাগ সময় খবরের কাগজ পড়ার পরে মনটা খারাপ থাকে। তবে মাঝে মাঝে কিছু খবর মনটা আবার ভালো করে দেয়। আজকে তেমনি একটি খবর দেখে বেশ ভালো লাগছে। বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে ঐতিহাসিক পাগলার মসজিদের একটি খবর পড়লাম কিছুক্ষণ আগে। এই মসজিদটি ওই এলাকার মানুষের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যার ফলে ওই মসজিদে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। আর মসজিদে মানুষজন এলে অনেকেই টাকা পয়সা সহ নানা রকম জিনিসপত্র দান করেন।

IMG_20240421_112022.jpg

তবে এই টাকা পয়সা গুলো পরবর্তীতে কি কাজে ব্যবহার করা হয় এটা জানার একটা আগ্রহ ছিলো আমার ভেতরে। এই মসজিদে বেশ কয়েকটি দান বাক্স রয়েছে। এই দান বক্সগুলো কয়েক মাস পর পর খোলা হয়। যখনই দান বাক্সগুলো খোলা হয় তখন সেগুলোর ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার সহ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যায়। গত কয়েকদিন আগে আবার সেই দানবক্স গুলো খোলা হয়েছে। দান বাক্স গুলো থেকে এবার প্রায় পৌনে আট কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। সেই সাথে পাওয়া গিয়েছে স্বর্ণালংকার সহ বৈদেশিক মুদ্রা। প্রায় আড়াইশো মানুষ ১৮ ঘণ্টা ধরে এই টাকাগুলো গণনা করেছে।


খবরের মারফত জানতে পারলাম জেলা প্রশাসন পাগলার মসজিদের ওখানে একটি বড় মাদ্রাসা এবং মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যেই মসজিদে একসাথে ৫০০০০ মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবে। সেই সাথে এই দানের টাকার ভেতর থেকে ওই এলাকার বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় সহায়তা প্রদান করা হয়। সেই সাথে জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ও সেখান থেকে টাকা ব্যয় করা হয়। তাছাড়া অসহায় ও দুস্থ মানুষদেরকে সহায়তা করা হয়। এই মসজিদ নিয়ে স্থানীয় মানুষদের ভেতর অনেক মিথ প্রচলিত রয়েছে। তবে যেটাই হোক মসজিদে প্রাপ্ত টাকা যে ভালো কাজে ব্যয় করা হচ্ছে এতে সকলেই বেশ খুশি। আর এই ব্যাপারটা দেখাশোনা করে জেলা প্রশাসন এবং মসজিদ কমিটি। আশা করবো মসজিদ প্রাপ্ত টাকা আরো নানারকম ভালো কাজে ব্যয় করা হবে।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Sort:  
 last month 

প্রায় আড়াইশো মানুষ ১৮ ঘণ্টা ধরে পাগলার মসজিদের টাকা গণনা করে। এটি সত্যিই আশ্চর্যজনক বিষয়। এ মসজিদে এত বড় যে এ মসজিদের দৈনিক ৫০ হাজার মানুষ জামাতে নামাজ পড়ে। খুবই খুশি হলাম এটা জেনে, মসজিদের টাকা পয়সা গরিব অসহায় মানুষের জন্য খরচ করা হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last month 

ঐতিহাসিক পাগলার মসজিদে তো মানুষ তাহলে অনেক টাকা দান করে থাকে। তবে দানের টাকা সঠিক কাজে ব্যয় হচ্ছে, এটা জেনে আসলেই খুব ভালো লাগলো। পাগলার মসজিদের কাছে নতুন একটি মাদ্রাসা ও মসজিদ নির্মাণ করা হবে,এটা অত্যন্ত আনন্দের একটি বিষয়। তাহলে ৫০ হাজার মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলে, এটা নিঃসন্দেহে আমাদের দেশের জন্য গর্বের বিষয় হবে। যাইহোক এমন তথ্যমূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 57020.43
ETH 3081.72
USDT 1.00
SBD 2.41