গুলশান লেকের সমস্যা ও এর প্রতিকার (শেষ পর্ব )
তবে মেয়রের কার্যক্রম দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনিও হাল ছেড়ে দিয়েছেন। কারণ কিছুদিন আগে তিনি গুলশান লেকে পরিছন্নতা অভিযানের নামে একটি অভিযান পরিচালনা করেছেন। যেটা ছিলো শুধু লোক দেখানো কার্যক্রম। দুই একটি মেশিন দিয়ে লেকের তলদেশ থেকে কিছু নোংরা আবর্জনা উঠিয়ে ছবি তুলে সেখান থেকে তিনি বিদায় নিয়েছেন। তিনি বিদায় নেয়ার সাথে পরিছন্নতা কার্যক্রমও থেমে গিয়েছিলো। আপাতত গুলশান লেকের ভাগ্যে খুব একটা ভালো কিছু আছে বলে মনে হচ্ছে না।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তবে যে ব্যক্তি পত্রিকায় কলাম লিখেছেন তিনি বেশ কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন। সেই উপায় গুলোর ভেতরে সবচাইতে প্রথমে উল্লেখ করেছেন লেকের দুই পার দিয়ে সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করে প্রত্যেকটা বাসা বাড়ির মালিককে বাধ্য করতে সেই সুয়ারেজ লাইনের সাথে যুক্ত হতে। তারপর আশেপাশের বাসা বাড়ির যে ময়লা আবর্জনা গুলো গুলশান লেকের ভিতর ফেলা হয় সেটা বন্ধ করতে হবে। এবং লেকের ভেতরের জমে থাকা সমস্ত নোংরা পানি পাম্প করে বের করে ফেলতে হবে। তারপর লেকের তলদেশে জমে যাওয়া ৪-৫ ফুট পুরু আবর্জনা কেটে পরিষ্কার করে নিচের মাটি পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে। তারপরে বর্ষার পানি এলে লেকের স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তার বাতলে দেয়া এই উপায়গুলো আমার কাছে বেশ পছন্দ হয়েছে।
যদিও এগুলো বেশ খরচ সাপেক্ষ এবং সময় সাপেক্ষ। সেই সাথে সবচাইতে বেশি সমস্যা হচ্ছে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়। কারণ এই কাজটি করতে গেলে ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং আরো কয়েকটি দপ্তরকে একসাথে কাজ করতে হবে। যেটা আপাত দৃষ্টিতে মোটামুটি অসম্ভব মনে হচ্ছে। তারপরেও আমরা আশা করতে পারি হয়তো গুলশানের মানুষজনের এবং যথাযথ কর্তৃপক্ষের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। গুলশান লেক আবার তার আগের চেহারায় ফিরে যাবে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
বিভিন্ন বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনাগুলো গুলশান লেকের অবস্থা খারাপ করে দিল। মেয়র যদিও এটি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নিল কিন্তু ব্যর্থ হয়ে হাল ছেড়ে দিল। কিন্তু এটিকে ঘিরে কিছু পরিকল্পনা চলতেছে আমরা বাস্তবায়ন দেখার অপেক্ষায় আছি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সময় উপযোগী একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।