পর্ব -২| শ্যামনগরে প্যান্টের খোঁজে (10% @shy-fox এবং 5% @abb-school এর জন্য বরাদ্দ )
আগের পর্বের পর………
আগের পর্বের লিঙ্ক
গুগল ম্যাপ দেখে হাঁটছি। আর মাঝেমধ্যে রাস্তায় লোকজনকে জিজ্ঞেস করে নিচ্ছি ঠিক রাস্তায় যাচ্ছি কিনা। এইভাবে ভাগ্যক্রমে এমন একজনকে পেলাম যে কিনা যে বাড়িতে যাব তার ঠিক পাশের বাড়িতেই থাকে। ভাগ্য আর কাকে বলে? গুগল ম্যাপ বন্ধ করে দিলাম। অযথা ফোনের চার্জ নষ্ট করে লাভ নেই। পরে সমস্যা হবে।
এইভাবে কিছুক্ষণ এর মধ্যেই চলে আসলাম নির্দিষ্ট পাড়ায়। তারপর একটা সরু গলি। কলকাতা অঞ্চলের গলির গলি তস্য গলি রীতিমতো পৃথিবী বিখ্যাত। একমাত্র বেনারস বা নাগপুরের সাথে এর তুলনা চলে। সেসবের তুলনায় এটা অবশ্য অনেক সহজ গলি।
কিছুটা এগোতেই দেখলাম দাদাটা দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার সামনে। অপেক্ষা করছে আমার জন্যে। দেখামাত্রই অভ্যর্থনা করে ডাকলো ভেতরে। দুতলায় উঠে ঘরে বসালো। মিষ্টির পাহাড় এনে হাজির করল সামনে। দুঃখজনকভাবে আমি মিষ্টি খাইনা। তাই মাত্র একপিস তুলে নিলাম ওখান থেকে। টুকটাক কথাবার্তা চলতে লাগল। তারপর কিছুক্ষণ পর ডেকে নিয়ে গেল অন্য ঘরে।
সেই ঘরে গিয়ে আমি আক্ষরিক অর্থেই থ! একসাথে এত প্যান্ট আমি আগে দেখিনি। সারা ঘর জুড়ে প্যান্টের পাহাড়। বিভিন্ন রঙ এর‚ বিভিন্ন সাইজের‚ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের। টাইলসের মেঝে জুড়ে শুধু প্যান্ট আর প্যান্ট।
এটা ২০০ টাকার টা
তারমধ্যে থেকে বাছাই করে নিজের জন্যে দুখানা প্যান্ট নিলাম। একটা ২০০ টাকা নিল। মার্কেটে যার দাম ৫০০ মত পড়ে। আরেকটা নিল ৭৫০ টাকা। মার্কেটে যার দাম পড়ে ২০০০ মতো। মার্কেট মানে অবশ্য বড় মলের কথাই বলছি। সাধারণ দোকানে অবশ্য কিছুটা কম হবে। তা যাইহোক‚ মোটের উপর অনেকটাই সাশ্রয় হয়েছে আমার।
এটা ৭৫০ এর টা
এরপর দাদাটা আবার অনুরোধ করল দুপুরে খেয়ে যাওয়ার জন্য। দোষটা আসলে আমারই। ওই দুপুরে খাওয়ার সময় কারও বাড়িতে গিয়ে হাজির হলে তার অস্বস্তি হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার সকালে পড়ানো থাকে। পড়িয়ে উঠে‚ খেয়ে দেয়ে‚ স্নান করে তারপর বেরোতে হয়। তাই অনেক সময় নষ্ট হয়। কারও বাড়ি যেতে গেলে লেট হয়ে যায়।
যাইহোক‚ অবশ্যই ওনার বাড়িতে খাইনি। কারও বাড়িতে এভাবে হুট করে খাওয়া যায়না। দাদা নাহয় ভদ্রতার খাতিরে বলেছে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই জানি যে আমার জন্যে ওদের বাড়িতে অতিরিক্ত রান্না হয়নি। তাই খাওয়ার প্রস্তাবে না করে প্যান্ট দুটো বগলদাবা করে বেরিয়ে আসলাম।
আসার পথে সোজা রাস্তা। আসার সময় রাস্তা চিনে গেছি। সেই পথ ধরে সোজা চলে আসলাম। আসার পথে আর রাস্তা চিনতে কোনো সমস্যা হয়নি। প্রথমে আসলাম শ্যামনগর প্লাটফর্মে। সেখানে কিছুক্ষণ বসতে হল। মিনিট দশ এর মধ্যে ট্রেন ঢুকল। আগেরমত সেই ফাঁকা ট্রেন। সেই ট্রেনে সোজা দমদম। দমদম জংশনে এসে মিনিট কুড়ির অপেক্ষা! তারপর ট্রেন ধরে সোজা বাড়ি।
হ্যাঁ প্যান্টদুটো কিন্তু সবারই খুব পছন্দ হয়েছে। সবাই অবাক হয়ে গেছে এত কম দামে এত ভালো জিনিস কিভাবে দিচ্ছে। আমার ফ্রেন্ড সার্কেলে আমি তো রীতিমতো হিরো হয়ে গেছি এত কম দামে এত ভালো প্যান্ট কিনে আনার জন্যে।
স্থান | ডিভাইস |
---|---|
শ্যামনগর‚ উত্তর চব্বিশ পরগনা‚ পশ্চিমবঙ্গ‚ ভারত | Realme 5 |
প্যান্ট ও কিনে আনা হলো সাথে ঘোরাও হলো। এখানের দাম আর মার্কেট এর দামের পার্থক্য শুনে সত্যি আমি অবাক। ৭৫০ টাকার প্যান্ট টা আমার খুব পছন্দ হয়েছে দাদা। আমাকে একটা গিফট করেন।
হ্যাঁ অবশ্যই। চলে আসেন এখানে। নিয়ে যান।
সত্যিই আপনি খুব চমৎকার ভাবে পুরো পোস্টটি শেয়ার করেছেন। প্যান্ট কেনার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে প্যান্টের দামের পার্থক্য দেখে আমি খুবই অবাক হলাম। এত দুর্দান্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ধন্যবাদ আপনাকে। আমিও খুবই অবাক হয়েছিলাম প্রথমে শুনে।