ভাইফোঁটার সারাদিন by @bull1 (10% @shy-fox এর জন্য)
২৮শে অক্টোবর‚ ২০২২‚ শুক্রবার
পোস্টের নাম | ভাইফোঁটার সারাদিন |
ডিভাইস | Realme 5 |
স্থান | কলকাতা |
পোস্টদাতা | @bull1 |
তারপর বলুন কাল কে কে তার দিদি বা বোনের হাতে ফোটা নিলেন? আমি নিয়েছি। যদিও আমার নিজের দিদি বা বোন নেই। কিন্তু মামার মেয়ের থেকে প্রতি বছরই আমি এই দিন ভাইফোঁটা নি। এই দিনটা আমার জন্য খুব খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ! সারা বছরের ব্যস্ততার মাঝে ভাইবোনেরা খুব কম দিনই একসাথে সময় কাটাতে পারে। সেখানে এই দিনটা তো সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুধুমাত্র ভাইবোনদেরই। কোনভাবেই এই দিনটা আমি মিস করতে চাই না।
এমনিতেই কালীপুজোটা আমার জঘন্য গিয়েছে। যেটা বলেছিলাম আগের পোস্টে। জ্বর-সর্দি-কাশিতে বাইরে বেরোতেই পারিনি। তাই ভাইফোঁটা দিনটা ছিল আমার কাছে কালীপুজোর না পাওয়াটা উসুল করে নেওয়ার দিন। আর আমি তা নিয়েওছি। ভাইফোঁটার দিন মানে গতকাল একদম ভোরবেলা উঠেছিলাম। তারপর গেলাম মাঠে ব্যায়াম করতো। ওটা আমার রেগুলার রুটিন। নিতান্তই দায় না পড়লে মাঠে যাওয়া বন্ধ হয় না। তারপর বাড়িতে এসে‚ ভালো করে সাবান স্যাম্পু দিয়ে স্নান করে‚ পরিষ্কার কাঁচা জামা প্যান্ট পড়ে চলে গেলাম মামার বাড়িতে। সারাদিন ওখানেই কাটবে। যেহেতু আমাদের খালি পেটে ফোঁটা নেওয়ার নিয়ম তাই সকাল থেকে কিছুই খাইনি। সকাল সাড়ে নটার দিকে ফোঁটা নিলাম। বোন যেহেতু আমার থেকে বয়সে ছোটো তাই ওকে আশীর্বাদ করলাম। তারপর ক্ষুধার্ত পেটে হামলে পড়লাম সামনে রাখা মিষ্টির প্লেটে। ভাইফোঁটার নিয়ম হলো ফোঁটা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ রকমের মিষ্টি খাওয়াতে হয়, গতকাল আমার জন্য ছিল রসগোল্লা‚ ল্যাংচা কাজু-বরফি‚ ক্ষীরের সিঙ্গারা আর কালাকান্দ। মিষ্টি খাওয়ার পর একটু অপেক্ষা করে তারপরে আসলো লুচি আর সাদা আলুর তরকারি। আমার সবথেকে প্রিয় জলখাবার!
টিফিন খাওয়ার পর আত্মীয়-স্বজনের মিলে কিছুক্ষণ আড্ডা মারলাম। অনেকদিন পর সবার সাথে দেখা। অনেক কথা জমে ছিল। ওদিকে রান্নাও চলছিল সমানতালে। দুপুর ১ টা বাসতে না বাজতেই দুপুরের খাওয়া খেয়ে নিলাম। কারণ রাত্রে আমরা বেরোবো ঠাকুর দেখতে আর অনেক অনেক বাজি পোড়াবো। তাই দুপুরের তাড়াতাড়ি খেয়ে নিয়ে একটু রেস্ট নিয়ে নেওয়া খুব জরুরী।
তারপর সন্ধ্যে হলে আমরা প্রথমে বাজি পোড়ালাম। তুবরি-রং মশাল-ফানুস এমন অনেক কিছুই ছিল। বাজি পোড়ানো হয়ে গেলে রাত আটটার দিকে আমরা বেরোলাম ঠাকুর দেখতে। মোটমাট এলাকার সবগুলো ঠাকুরই দেখে ফেললাম আমরা। ওই যে বলেছিলাম কালী পুজোতে বেরোতে পারিনি তাই ওই দিনটা আজ উসুল করে নিতেই হবে। তারপর রাত এগারোটার দিকে বাড়ি ফিরে আবার পেট ভরে খেয়ে দেয়ে ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
আবার অপেক্ষা এক বছরের। পরের বছর ভাইফোঁটা আরো বেশি আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করব আশা রাখি। ভাল থাকবেন সবাই। খুব তাড়াতাড়ি ফিরছি পরের পোস্ট নিয়ে।
ভাগ্যিস বিসর্জন দেয়নি। তাই দেখতে পেলাম।
আপনারাও আপনাদের ভাইফোঁটার অভিজ্ঞতা লিখুন। পড়তে ভালো লাগবে।
আমার কথা -
আমি @bull1 পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় থাকি। বয়স ২৮ বছর। ছাত্রজীবনে ইতিহাসে আর অঙ্কে গ্র্যাজুয়েট কমপ্লিট করেছি। এখন শিক্ষকতা করি। আর টুকটাক লেখালেখি করার অভ্যাস আছে। |
---|
খুবই ভালো লাগলো দাদা। নিজের বোন না থাকলেও মামাতো বোনের হাতেই বরাবর ভাইফোঁটা নিয়ে আসেন। চমৎকার আপনাদের ভাই বোনের বন্ধন। যুগ যুগ ধরে অটুট থাক এই বন্ধন এই প্রত্যাশাই করি সর্বদা।
হ্যাঁ. ভাই বোনের সম্পর্ক পৃথিবীর সবথেকে সুন্দর সম্পর্ক গুলোর মধ্যে একটা। অবশ্যই একে আমি সারাজীবন রক্ষা করব।