মীনা দিবস উপলক্ষে কিছু মুহুর্ত। shy-fox 10%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
২৪ সেপ্টেম্বর মীনা দিবস। মীনা দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়, নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা। মীনা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ভাষায় নির্মিত একটি জনপ্রিয় টিভি কার্টুন ধারাবাহিক ও কমিক বই।
১৯৯৩ সালে প্রথম টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। কার্টুন ধারাবাহিকের মূল চরিত্র বাংলা ভাষায় নির্মিত কার্টুন গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় চরিত্র।মীনা কার্টুন শুধু বাংলা ভাষায় তৈরি হয়নি, হিন্দি বাংলা সহ ২৯ টি ভাষায় মীনা তৈরি হয়েছে।প্রথমে মীনার ১৩টি পর্ব বানানো হয়েছিল। প্রচার করা হয় সার্কভুক্ত সাতটি দেশের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে। মীনা কার্টুনের মীনা চরিত্রের রূপদানকারী রাম মোহন।
আমার ছোট মেয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির একজন ছাত্রী। অর্থী চাকী। মীনা দিবস উপলক্ষে ওদের স্কুল থেকে সব ছাত্রছাত্রীদের উপজেলায় নিয়ে যায়। আরও অন্যান্য স্কুলের সব শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রা আসেন। সব বাচ্চাদের লাইন করে দাঁড় করানো হয়। তারপর উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব আসেন তার কিছুক্ষণ পর প্রধান অতিথি, আলহাজ্ব প্রকৌশলী মোঃ মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এম,পি সাহেব এসে উপস্থিত হন। অতিথিরা বাচ্চাদের লাইনের সামনে দাঁড়ান তারপর উপজেলা চত্বরে সবাই আজকের প্রতিপাদ্য বিষয় স্লোগান দিয়ে রেলি করেন।
রেলি শেষ করে দোতলার হলরুমে সবাই উপস্থিত হন পুরো রুমটা মাঝখানে বড় গোল টেবিল দুপাশে চেয়ার দেওয়া ছিল শিক্ষার্থীরা এবং শিক্ষক শিক্ষিকা রা বসে পড়েন, আর সামনে অতিথিরা নিজ নিজ আসনে বসেন। তারপর একে একে সবাই বক্তৃতা দিতে থাকেন,তারপর শুরু হয় নাচ, গান ছড়া,কবিতা আবৃত্তি সবাই স্ব স্ব স্থান থেকে গান ছড়া কবিতা আবৃত্তি করেন। আমার মেয়ে একটি ছড়া গান পরিবেশন করে।
স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষিকারা লাল সুবজ রঙের ড্রেস পড়েছিল দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল।
সবশেষে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকা গান পরিবেশন করেন। শান্তি ম্যাম এর সাথে সকল শিক্ষার্থী সুর মিলিয়ে খুব মজা করে হ্যালো সং দিয়ে আজকের মীনা দিবসের অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠান শেষ করে সকল শিক্ষার্থীদের লাইন করে দাঁড় করিয়ে একটি করে জেলি বনরুটি দেওয়া হয়। বাচ্চারা সবাই খুশি, ওদের খুশি করতে খুব বেশি জিনিসের প্রয়োজন হয়না।
আজকের মীনা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান খুব ভালো উপভোগ করেছি। বাচ্চারাও অনেক মজা করেছে। প্রতিটি শিশু নিরাপদ ও আনন্দময় পরিবেশে মানসম্মত শিক্ষা পাক এই প্রত্যাশা করে এখানেই শেষ করছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
মিনা দিবস উপলক্ষে স্কুলে তো ভালো একটি আয়োজন করেছে ।১৯৯৩ সালে প্রথম মিনা কার্টুন টিভিতে প্রচারিত হয় সেটা মনে নাই তবে ছোটবেলা থেকেই মিনা কার্টুন আমরা দেখে আসছি। হিন্দি বাংলা সহ মোট ২৯ টি ভাষায় মিনা হয়েছে সেটা জানতাম না আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নিলাম। মিনা কার্টুন এর গানটা অনেক ভালো লাগে। শিক্ষক শিক্ষিকারা লাল সবুজ রঙের ড্রেস পরে গান পরিবেশন করেছে ভালইতো অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সবশেষে জেলি বন রুটি টিফিন দেয় বাচ্চাদেরকে ভালোই দিবসটি পালিত হলো।
জ্বি আপু সবমিলিয়ে অসাধারণ ছিল অনুষ্ঠান টি। আমরাও ছোটবেলায় খুব দেখতাম মীনা কার্টুন। আগের থেকে প্রাইমারি স্কুলের অনেক পরিবর্তন হয়েছে এখন অনেক ভালো ভালো অনুষ্ঠান হয় আমি তো মনে করি বাচ্চাদের প্রাইভেট স্কুলে পড়ানোর চেয়ে সরকারি স্কুলে পড়ানো অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমিও জানতাম না যে মীনা দিবস বলে কিছু আছে, গতকাল মেয়ের স্কুল থেকে ম্যাডাম ফোন দিয়ে বললো যে আগামীকাল মীনা দিবস সকাল ৮ টার মধ্যে স্কুলে আসতে হবে তারপর উপজেলায় অনুষ্ঠান হব।আর বাকিসব আজকে ওখানে গিয়ে জানতে পারলাম খুবই সুন্দর হয়েছিল আজকের মীনা দিবস অনুষ্ঠান টি। বেশ উপভোগ করেছি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি মিনা দিবস উপলক্ষে স্কুলে দারুণ একটা আয়োজন করেছে। তবে আপু মিনা কার্টু কখন চালু হয়েছে বা মিনা কার্টুন সম্পর্কে অনেক কিছু জানা ছিল যা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। বাচ্চাদের অনেক প্রিয় এই মিনা কার্টু। আপনার মেয়ে একটি ছড়া গান পরিবেশন করেছে জেনে অনেক ভালো লাগল। আপনি সত্যি বলেছেন বাচ্চাদের খুশি করতে তেমন কিছু লাগে না।অল্পতেই বাচ্চারা খুশি হয়ে যায়।শান্তি ম্যাম এর সাথে সকল শিক্ষার্থী সুর মিলিয়ে মিনা দিবসের সমাপ্তি ঘটায়।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু মিনা দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরে।
জ্বি আপু সত্যি বাচ্চারা অল্পতেই অনেক খুশি আজকে সেটা ওদের চোখ মুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিলো। আমার ছোট মেয়ে আমাদের উপজেলায ২৭০ টা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে গানে সবসময়ই প্রথম হয়ে এসেছে তাই যেকোন অনুষ্ঠান হলে গান গাওয়ার জন্য ওকে স্কুল থেকে নিয়ে যায়।শান্তি ম্যাম এর সাথে সবাই খুব আনন্দ করে গান গেয়েছিল।সবমিলিয়ে আজকের অনুষ্ঠান বেশ ভালো ছিল। ধন্যবাদ আপু।
আমি মিনা কার্টুনের খুবই ভক্ত ছিলাম এখনো দেখি। কিন্তু আমি মিনা কার্টুনসহ বাংলাদেশি চালাই এমনটাই জানতাম এটি বিশ্বের ২৯ টি ভাষায় প্রচার করে তার সম্পর্কে আজ জানতে পেরেছি। আপনার মেয়ের স্কুলে এই উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে এতে করে বাচ্চাদের মন অনেক প্রফুল্ল হবে। তারা মিনা কার্টুনের গুরুত্ব বুঝতে পারবে। অনুষ্ঠান শেষে সকলের পারফরমেন্স নিশ্চয়ই ভালো ছিল।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এখন থেকে ওরা মীনা কার্টুনের গুরুত্ব খুব ভালো করে বুঝতে পারবে। আমিও মীনা কার্টুন অনেক দেখেছি কিন্তু এটা সম্পর্কে এতকিছু ধারনা ছিলনা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোটবেলায় এই মিনার কাটুন অনেক দেখেছি। এখনো সেই দিনের কথা মনে পড়ে খুবই ভালো ছিল সেই মুহূর্ত। সকলে মিলে একত্রে মিনা কাটুন দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি মিনার কার্টুন কবে থেকে শুরু হয়েছে এবং কিভাবে সম্প্রচারিত হয়েছিল সেই বিষয়টি তুলে ধরেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। সেই সাথে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের লাল এবং সবুজ রঙের ড্রেস সব মিলিয়ে খুবই চমৎকার লেগেছে আমার কাছে।
জ্বি ভাইয়া আমরা সবাই এই কার্টুন দেখতাম কিন্তু এটা সম্পর্কে কেউ জানতাম না এটা নিয়ে কোন দিবস যে আছে সেটাও জানা ছিল না আজকে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আমার খুব ভালো লেগেছে তাই সবার সাথে শেয়ার করা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
প্রতিটি শিশু নিরাপদ সুস্থ পরিবেশে বড় হয়ে
উঠুক ছেলে মেয়ের বৈষম্য কেটে যাক এটাই মীনা দিবসের চাওয়া থাকবে। মীনা দিবস নামে কোনো দিবস আছে সেটা আজ জানলাম। যদিও মীনা কিন্তু আমার অনেক পছন্দের কার্টুন। মীনা দিবসে বাচ্চাদের নিয়ে করা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টা ভালো ছিল। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপু।।
আমাদের সকলেরই এটাও চাওয়া নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশে বাচ্চারা শিক্ষা পাক কোন বৈষম্য যেন না থাকে। আমিও জানতাম না ভাইয়া আজকে প্রথম মীনা দিবস সম্পর্কে জানলাম।আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।