নিরামিষ "আলুর দম" রেসিপি। shy-fox 10%
"হ্যালো বন্ধুরা"
সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আজ আমি সন্তোষী মায়ের উপোস করেছি তাই নিরামিষ খাবার খেতে হবে।এই পুজোর উপোসে তেমন কোন কষ্ট নেই শুধু একটু নিয়ম পালন করতে হবে ঠিকঠাক মতো তা না হলেই বিপদ। পুজোয় কোন টক ফল দেওয়া যাবেনা,উপোসের দিন টক জাতীয় কোন খাবার খাওয়া যাবে না এমন কি স্পর্শও করা যাবেনা এর ব্যতিক্রম হলে সন্তোষী মা রুষ্ট হবেন।
🙏সন্তোষী মা🙏
সন্তোষী মা (ইংরেজি:Santoshi Mata) হিন্দুধর্ম-এর একজন মহাদেবী। সন্তোষী মাকে সন্তোষের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বলে অভিহিত করা হয়। বিশেষত উত্তর ভারত ও নেপাল-এর মহিলারা সন্তোষী মায়ের পূজা করে। বার্ষিক ১৬টা শুক্রবার সন্তোষী মা ব্রত নামক এক ব্রত পালন করলে দেবী সন্তুষ্ট হন বলে তাঁরা বিশ্বাস করেন।
🥔নিরামিষ আলুর দম🥔
| উপকরণ |
|---|
| আলু |
| আদা বাটা |
| জিরা,ধনিয়া গুঁড়া |
| মরিচের গুঁড়া |
| লবণ |
| হলুদের গুঁড়া। |
| গরম মসলা বাটা |
| গোটা জিরা |
| তেজপাতা |
| সয়াবিন তেল |
| ঘি |
প্রথমে আলু সিদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি। তেল গরম হলে গোটা জিরা,তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছি। তারপর সিদ্ধ আলু গুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।
আলু গুলো দেওয়ার পর লবণ হলুদের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে আলু গুলো লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
সব মসলা গুলো সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর আলুর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
মসলা দেওয়ার পর সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে কষিয়ে নিয়েছি।কষানো হলে অল্প পরিমাণে জল দিয়ে ঝোল দিয়েছি।
ঝোল ফুটে উঠলে গরম মসলা বাটা দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে ঝোল শুকিয়ে আসলে ঘি দিয়ে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।তারপর চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
কড়াই থেকে নামিয়ে একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি,
আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার নিরামিষ আলুর দম রেসিপি টি। গরম ভাত,রুটি, লুচি পরোটা সবকিছুর সাথে খেতেই অনেক মজা লাগে আলুর দম। আমি রুটির সাথে খুব মজা করে খেয়েছি।
এই ছিল আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লেগেছে। কার কেমন লাগলো অবশ্যই মতামতের মাধ্যমে জানাবেন তাহলে খুশি হবো। সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
OR 
আপনি উপোস থেকেছেন জেনে বেশ ভাল লেগেছে আপু।তবে এই সন্তোষী মায়ের উপোস একটু জটিল যেমন টক খাবার খাওয়া যাবেনা এবং ধরা ও যাবেনা তাহলে বিপদ।তবে ভালই হল আপনি পূজোর কাজ সম্পন্ন করেছেন।বেশ সুন্দর করে আলুর দম রেসিপি করেছেন অনেক গুলো উপকরণ দিয়ে।রেসিপির কম্বিনেশন বেশ সুন্দর হয়েছে আপু।এছাড়াও প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নিরামিষ আলুর দম রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু এই উপোসের নিয়ম একটু জটিল তাছাড়া এমনিতে আর কোন কষ্ট নেই। সুন্দর মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
দিদি নমস্কার
আশা করছি ব্রত বা উপোস ভালো ভাবেই সম্পর্ন করেছেন ৷ আসলে আমার মা উপোস থাকে আর প্রতি বৃস্হপতিবার আমরা সবাই নিরামিষ খাই ৷
যা হোক আপনার ব্রত মা সন্তোষী গ্রহন করুক ৷ আর নিরামিষ আলুর দম ভালোই হয়েছে ৷
ধন্যবাদ দিদি
হ্যাঁ ভাই ভালোভাবেই পালন করতে পেরেছি মায়ের কৃপায়।সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও নিরামিষ খাবার খাওয়া দরকার এটা শরীরের জন্য উপকারী। ধন্যবাদ ভাই।
মাঝে মধ্যে একটু ধর্ম কর্ম করতে হয় ভাইয়া। তবে খুব বেশি না হলেও একটু করার চেষ্টা করি। ঠিক বলেছেন ভাইয়া শীতের দিনে আলুর দম খেতে খুবই ভালো লাগে। ধনেপাতা আমিও মাঝে মাঝে দেই ভালোই লাগে খেতে।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আলুর দমের নিরামিষ রেসিপি দেখে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ধাপে ধাপে উপস্থাপন থেকে শিখতে পারলাম।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আলুর দম আমার খুব পছন্দ আপু। তবে অনেকদিন ধরেই আলোর দম খাওয়া হচ্ছে না। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।