"ক্যারামেল পুডিং" রেসিপি। shy-fox 10%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপি টি হলো ক্যারামেল পুডিং।পুডিং খেতে কে না পছন্দ করেন,ছোট থেকে বড় সবাই এই ডেজার্টের স্বাদে মুগ্ধ। সামান্য কয়েকটি উপকরণ দিয়েই তৈরি করা যায় পুডিং।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ১ টি |
গরুর দুধ | ১ গ্লাস |
চিনি | হাফ কাপ |
গুঁড়া দুধ | ১ টেবিল চামচ |
ভ্যানিলা এসেন্স | হাফ চা চামচ |
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর চিনি গুলো দিয়ে তারমধ্যে সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে দিলাম। আস্তে আস্তে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে ক্যারামেল তৈরি করে নিলাম।
ধাপ-২
যে পাত্রে পুডিং তৈরি করবো সেই পাত্র টি ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে নিয়েছি। তারমধ্যে ক্যারামেল গুলো ঢেলে নিলাম।
ধাপ-৩
এবার চুলায় আবার কড়াই বসিয়ে দিয়ে গরুর দুধ গুলো ঢেলে দিলাম। অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে অনেক সময় ধরে জ্বাল দিয়ে দুধ ঘন করে নিলাম। তারপর একটা বাটিতে ঢেলে নিলাম ঠান্ডা করার জন্য।
ধাপ-৪
দুধ ঠান্ডা হলে, তার মধ্যে তিন চা চামচ চিনি, এক টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ-৫
এবার একটা ডিম ছোট বাটিতে ভেঙ্গে নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিলাম। তারপর দুধের সাথে ভালো করে মিশিয়ে নিলাম। শেষে ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে সবগুলো উপকরণ আবারও ভালো করে মিশিয়ে নিলাম।
ধাপ-৬
আগে থেকে বানানো ক্যারামেলের বাটিতে সব উপকরণ মেশানো দুধ গুলো ঢেলে দিলাম।
ধাপ-৭
এবার রাইস কুকারের পাত্রের মধ্যে বেশকিছু পরিমাণে জল দিয়ে দিলাম। তারপর একটি খাবার রাখারর স্ট্যান্ড বসিয়ে দিলাম, তারপর পডিং এর পাত্র টি ভালো করে বসিয়ে দিলাম। একটি ছোট স্টিলের ঢাকনা দিয়ে ঢেকে তারপর রাইস কুকারের ঢাকনা টা দিয়ে ঢেকে সুইস অন করে দিলাম ৩০ মিনিটের জন্য।
ধাপ-৮
৩০ মিনিট পর রাইস কুকারের ঢাকনা খুলে একটা কাঠি দিয়ে টেস্ট করে দেখলাম যে পুডিং টি হয়েছে কি-না। কাঠি দিয়ে দেখলাম হয়ে গেছে তখন রাইস কুকার থেকে বাটি টি তুলে নিলাম। কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা করে নিয়ে নরমাল ফ্রিজে রাখলাম সেট হওয়ার জন্য। তারপর ফ্রিজ থেকে বের করে নিয়ে একটা পাত্রে ঢেলে নিলাম। আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো ক্যারামেল পুডিং রেসিপি টি।
পরিবেশন
পাত্রে তুলে নেওয়ার পর এখন পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত সুস্বাদু ক্যারামেল পুডিং।
আজ এ পর্যন্তই,আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন রেসিপি নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
আমিও একদিন বানিয়েছিলাম একই পদ্ধতিতে। আমার ক্যারামেল টা একটু লাইট কালায় হয়েছিলো। খেতে বেশ হয়েছিলো। পুডিং বিষয় টাই খুব সুন্দর ডেসার্ট। ভারি কিছু খাওয়ার পর এমন একটা পুডিং খেলে মনে হয় খাওয়া টা সম্পূর্ণ হল। বেশ তৃপ্তিদায়ক। তোমার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর হয়েছে।
ঠিকই বলেছেন আপু ডিমের পুডিং সবাই পছন্দ করে ছোট বড় সবারই। আবার অনেক সময় যারা দুধ খেতে পারে না তাদের এই পুডিংটা খাওয়ানো ভালো। বাচ্চারাও এটি পছন্দ করে একসাথে ওদের পুষ্টিও হয়ে যায়। আপনার ডিমের পুডিংটা কিন্তু ভালই লোভনীয় হয়েছে দেখতে। কালারটাও অনেক সুন্দর হয়েছে।
হ্যাঁ আপু আমার ছোট মেয়েটা একদম ডিম দুধ খেতে চায় না তাই মাঝে মাঝে পুডিং বানিয়ে খাওয়াই যাতে দুধ,ডিমের পুষ্টি টা পায়।ধন্যবাদ আপু।
এই ক্যারামেল পুডিং বাসায় প্রায় বানানো হয়। ডেজার্ট হিসেবে এটা আমাদের বাসার সবার খুব পছন্দের খাবার। এমনকি আমার আত্মীয় স্বজনরা এবং বাসার সবাই বলে আমার হাতের কেরামেল পুডিং নাকি বেস্ট। আপনিও বেশ চমৎকারভাবে পুডিং তৈরি করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রচুর মজাদার হয়েছে। অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
জ্বি আপু এই পুডিং খেতে সবাই খুব পছন্দ করে। কারো কারো হাতের পুডিং সত্যিই অনেক ভালো হয়। আমার বানানোটা মোটামুটি হয় তারপরও মেয়েরা খেতে পছন্দ করে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আমিও আপনার মত মাঝে মাঝে এভাবে দুধ ডিমের পুডিং তৈরি করি । ঠান্ডা ঠান্ডা পুডিং খেতে বেশ ভালো লাগে। অনেকদিন হয়ে গেল এইভাবে পুডিং বানিয়ে খাই না। আপনার পুডিং রেসিপি দেখে মনে পড়ে গেল। আমি অবশ্যই একবার বানাবো আপনাকে ধন্যবাদ আপু এ পুডিং রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আমার ছোট মেয়ের জন্য মাঝে মাঝে বানাতে হয় ও ডিম,দুধ একদম খেতে চায় না তাই এভাবে খাওয়াতে হয়। ধন্যবাদ আপু।
একা একা পুডিং খেলে পেট খারাপ করবে আপু। পুডিং খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ সত্যি কম আছে। ছোট বড় সবাই পছন্দ করে। আপনার তৈরি করা পুডিং দেখে ইচ্ছে করছে তৈরি করতে। আপনি যেহেতু তৈরি করেই ফেলেছেন আমাদের একটু দাওয়াত দিলেই তো হতো। তাহলে কষ্ট করে আর তৈরি করতে হতো না🤪। যাইহোক আপু অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু পেট খারাপ হওয়ার কোন চান্স নেই তার কারন আমি খেয়েও দেখিনি 😆 এটা আমার একটা বদ অভ্যাস বলতে পারেন আমি এ ধরনের বানানো জিনিস গুলো খুব কম খাই, আমি দুইবেলা দুই কাপ দুধ চা খেয়ে সন্তুষ্ট থাকার লোক 😂☕❤️ আপু একদিন চলে আসেন সবাই মিলে বসে একসাথে পুডিং খাওয়া হবে। ধন্যবাদ আপু মজার মন্তব্য টি করার জন্য। আপু আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ডিমের পুডিং তো ছোট বড় সকলেই খুব পছন্দ করে। তবে বানাতে পারি না জন্য খাওয়া হয় না। আপনি যেভাবে বানালেন, দেখে তো মনে হচ্ছে খুব সহজ পদ্ধতি। তবে আমি বানাতে গেলে আপনার মত হবে না, এটা আমি ১০০% সিওর। তাও দেখি একদিন চেষ্টা করব। তবে সত্যি কথা বলতে আপনার পুডিং দেখতে কিন্তু অসাধারণ সুন্দর লাগছে।
একদিন চেষ্টা করেই দেখতে পারেন মনে হয় হবে। আর যদি না হয় তবুও লস নেই চামচ দিয়ে ঘুটে খেয়ে নিবেন তাতেও পুষ্টি পাবেন 😂 হাহা হা। অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদ্ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চামচ দিয়ে ঘোটা দিয়ে খেয়ে নেবো মানে, এটা কি কোন সমাধান হলো। হা হা হা....🤣
আমার খুব প্রিয় একটি ডেজার্ট। আর আপনার পুডিংটি একদম পারফেক্ট হয়েছে।কালার টাও অনেক সুন্দর।বানানোর প্রক্রিয়াটাও অনেক সহজ ভাবে তুলে ধরেছেন।আশা করি খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।ধন্যবাদ সুন্দর একটি ডেজার্ট এর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ তোমাকে। এর পরের বার বানিয়ে তোমাকে দাওয়াত দিবো এসে খেয়ে যেও।
ওয়াও অসাধারণ ক্যারামেল পুডিং রেসিপিটি তৈরি। সত্যি বলেছেন বড় এবং ছোট সবাই কমবেশি ক্যারামেল পুডিং পছন্দ করে। খুব লোভনীয় পোস্ট। আমার মন চাইতেছে পুডিং গুলো খেয়ে ফেলতে। অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ক্যারামেল পুডিং রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে অনেক ভাল লাগলো। আমি ও রাইস কুকারে করি।অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আহা কি মজার একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন বড়দি 👌👌। পুডিং ভালোবাসা না এমন মানুষ হয়তো পৃথিবীতেই নেই। আপনার পুডিং দেখে জিভ দিয়ে জল পড়ে বন্যা বয়ে যাচ্ছে 😅। সত্যি বলতে পুষ্টিকর এই খাবারটা এত সহজে যে বানানো যায় আমি আগে দেখিনি কখনো। অনেক সুন্দরভাবে পুরো ব্যাপারটা দেখিয়েছেন। কিন্তু আপনার এই ভাই যে ভীষণ অলস এটাই তো মুশকিলের 😅। গিয়েই খেয়ে আসবো একদিন বড়দি।