শোলাকচু বাঁটা চাটনি রেসিপি shy-fox 10% | abb-school 5%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
এখন আবহাওয়া গরম থাকার কারনে চারদিকে জ্বর ঠান্ডা কাশি লেগেই আছে। আর জ্বর হওয়া মানেই খাবারে অরুচি, এই সময় কিছুই খেতে মন চায় না। মুখের রুচি ফিরিয়ে আনার জন্য ঝাল ঝাল কিছু খেতে মন চায়। আজকের রেসিপি টি ঠিক সেই রকম একটা রেসিপি যা খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে দিবে দ্বিগুণ। আমার কাছে এটা খুবই প্রিয় একটা খাবার।
আমি যেভাবে কচু বাঁটা চাটনির রেসিপি বানিয়ে থাকি সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
উপকরণ |
---|
শোলাকচু |
রসুন |
শুকনো মরিচ |
কালোজিরা |
লবন |
হলুদ গুঁড়া |
সয়াবিন তেল |
প্রথম ধাপ |
---|
প্রথমে কচু খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি, তারপর ধুয়ে ঝুড়ি ঝুড়ি করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
তারপর ঝুড়ি করে কাটা শোলাকচু গুলো শিল পাটায় বেঁটে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ |
---|
দুইটা মাঝারি সাইজের রসুন খোসা ছাড়িয়ে থেঁতাে করে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ |
---|
এবার চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি তারপর পরিমান মতো সয়াবিন তেল দিয়ে শুকনো মরিচ গুলো ছিঁড়ে তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়ে কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ |
---|
কালোজিরা ফোঁড়ন দেয়া হলে তার মধ্যে থেঁতো করা রসুন গুলো দিয়ে দিয়েছি। রসুন বাদামী কালার হয়ে আসলে কচু বাঁটা গুলো দিয়ে দিয়েছি তারপর লবন হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
লবন হলুদ মিশিয়ে তারপর চুলার আঁচ মিডিয়াম হিটে রেখে খুন্তির সাহায্যে অনবরত নাড়তে থাকলাম। কচুর জল শুকিয়ে আসলে আরও একটু তেল দিয়ে অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে ভেজে নিলাম। ভাজতে ভাজতে যখন দলা পাকিয়ে আসছিল আর বাদামী কালার হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
শেষ ধাপ |
---|
চুলা থেকে নামানোর পর ছোট একটা প্লেটে নামিয়ে নিয়েছি। রসুন শুকনো মরিচ কালোজিরা মিলে অসাধারণ একটা ফ্লেভার এসেছে, গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই অতুলনীয় স্বাদের শোলাকচু বাঁটা চাটনি রেসিপি টি তৈরি হয়ে গেছে।
আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
শোলাকচু বাঁটা চাটনি বা, ভর্তা তৈরি দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনি খুব চমৎকার ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন।আপনার প্রস্তুত প্রণালী বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
মুখে রুচি ফিরিয়ে আনতে ঝাল রেসিপিগুলো আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
যেকোনো ধরনের ভর্তা বা চাটনি খেতে খুবই ভালো লাগে। ইউনিটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আসলে শোলা কচু রকম করে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার টা দেখে শিখে নিলাম। বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখব ।আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শোলাকচু বাঁটা চাটনি রেসিপি করেছেন। চাটনি আমার খুব প্রিয় একটি আমার কাছে খুব ভালো লাগে। অনেক সুন্দর আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে এই ধরনের রেসিপি গুলো খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে। দেখেই মনে হচ্ছে গরম ভাত দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগবে। আপনার কাছ থেকে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শোলাকচু বাঁটা চাটনি রেসিপি খুবই দারুণ হয়েছে এরকম চাটনি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে এভাবে শোলা কচু দিয়ে কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পুরা ইউনিক একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এই জাতীয় রেসিপিগুলো আমার খুবই প্রিয়। তবে সময় স্বল্পতার কারণে তৈরি করা হয় না।
শোল কচুর চাটনি বানিয়ে এভাবে খাইনি কখনো। তবে চাটনি দেখে মনে হচ্ছে খুবই মুখরোচক হয়েছিলো। গরম গরম ভাতের সাথে শোল কচুর এই চাটনি থাকলে অনেকগুলো ভাত খেয়ে নেয়া যাবে। আপনার এই রেসিপিটি আমার খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ গুছিয়ে শেয়ার করার জন্য।
আমি এর তরকারি খেয়েছি অনেক কিন্তু কখনো এরকম চাটনি খাওয়ার সুযোগ হয় নাই। নতুন এবং ইউনিক রেসিপি তুলে ধরেছেন আপনি আমাদের সামনে আপনার জন্য শুভকামনা।