পেঁপে ভাজি রেসিপি। shy-fox 10%
হ্যালো
বেশ কয়েকদিন হলো অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিন পার করছি, তার উপর আবার। শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না, জ্বর ঠান্ডা কাশি সবমিলিয়ে বেশ অসুস্থ ছিলাম, ঈশ্বরের কৃপায় এখন মোটামুটি ভালোই আছি। জ্বর হওয়ার পর থেকে খাওয়ার রুচি একদম কমে গেছে, মাছ মাংস গুলো একদম খেতে পারছিনা। কয়দিন তো শুধু লবণ মরিচ দিয়ে ভাত খেয়েছি। আজ কেন জানি খুব পেঁপে ভাজি খেতে ইচ্ছে করছিল, সেজন্য পেঁপে ভাজি করলাম, কিভাবে করেছি সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পেঁপে | অর্ধেকটা |
পেঁয়াজ | ৬-৭ টা |
কাঁচামরিচ | ৮-১০টা |
লবণ | স্বাদমতো |
হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
কালোজিরা | হাফ চা চামচ |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রস্তুত প্রণালী
ধাপ-১
প্রথমে পেঁপে খোসা ছাড়িয়ে লম্বা লম্বা করে কেটে ধুয়ে নিয়েছি। তারপর কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২
পেঁয়াজ খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি তারপর পেঁয়াজ কাঁচামরিচ গুলো ধুয়ে নিয়েছি। পেঁয়াজ গুলো কুঁচি করে কেটে নিয়েছি, মরিচ গুলো ফালি করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩
চুলয়া একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি তারপর পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি। হালকা গরম হলে কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়ে কাঁচামরি,পেঁয়াজ কুঁচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৪
পেঁয়াজ গুলো নেড়েচেড়ে হালকা বাদামী কালার করে ভেজে নিয়েছি, তারপর কেটে রাখা পেঁপে গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
পেঁপে গুলো দিয়ে লবণ হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ-৬
কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে হালকা হাতে নেড়েচেড়ে অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে ভেজে নিয়েছি। ভাজতে ভাজতে যখন পেঁপে থেকে তেল উঠে আসছিল আর বাদামী কালার হয়ে গেছে তখন চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
শেষ ধাপ
এবার চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি তারপর একটা প্লেটে উঠিয়ে নিয়েছি। এখন পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত মজাদার পেঁপে ভাজি।
আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, খেতে না পারলে শরীর অনেক দূর্বল হয়ে যায়। আমি দু'দিন হলো একটাই দূর্বল হয়ে গেছি তা বলার মতো না, বেশকিছু দিন ধরে একদম কিছুই খেতে পারছিলাম না তার কারনে অনেক দূর্বল হয়ে গেছি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পেঁপে ভাজি রেসিপিটি অসাধারণ হয়েছে। অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি করেছেন আপু আপনি। দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে খেতে আপনার পেঁপে ভাজি রেসিপিটি। ধন্যবাদ অনেক লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। সবসময় পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ আপু।
পেঁপে ভাজি ভর্তা দুটো খেতে আমার কাছে ভালো লাগে। তবে অনেকদিন পেঁপে ভাজি খাওয়া হয়নি। এরকম পেঁপে ভাজি রুটির সাথে খেতেও খুব ভালো লাগে। ভাজির মধ্যে কালোজিরা ব্যবহার করলে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পেঁপে ভাজি আমারও খুব ভালো লাগে আমি মাঝে মাঝেই রান্না করি বাসায়, কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়ে যেকোন ভাজি অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।ধন্যবাদ আপু।
সকালে রুটির সাথে পেঁপে ভাজি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। বেশ চমৎকারভাবে পেঁপে ভাজি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে আমি নিজেও খুব ভালো পেঁপে ভাজি করতে পারি না। আমার আম্মুর হাতের এই ভাজিটাই আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ। ধন্যবাদ আপনাকে এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু একদম ঠিক বলেছেন সকালে রুটির সাথে পেঁপে ভাজি খেতে অনেক অনেক মজা লাগে। মায়ের হাতের যেকোন রান্নাই অনেক ভালো লাগে।আপু আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপু।
পেপে ভাজি আমার অনেক প্রিয়। আমি মাঝে মাঝেই বাসাউ পেপে ভাজি রান্না করে থাকি। পেঁপে ভাজি রেসিপিটি দারুণ হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। অসম্ভব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে রেসিপিটি তুলে ধরেছেন।
আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। জ্বি আপু খেতে অনেক ভালো হয়েছিল। আপু সবসময় ভালো থাকবেন।ধন্যবাদ আপু।
পেঁপে ভাজির খুবই পুষ্টিকর একটি রেসিপি। পেঁপে ভাজি রুটি দিয়ে খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আপনি দারুন ভাবে পেঁপে ভাজিটি রান্না করেছেন। দেখে খুব সুস্বাদু ই মনে হচ্ছে।
হ্যাঁ আপু পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি, আমি তো বাজারে গেলেই একটা হলেও পেঁপে কিনি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পেঁপে ভাজি রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে কারণ পেঁপে আমার খুবই প্রিয়। আর আপনি পেঁপে খুবই সুন্দরভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। দেখে শিখতে পারলাম। পরবর্তীতে তৈরি করবে ইনশাল্লাহ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। অবশ্যই বাসায় ট্রাই করবেন আশাকরি ভালো লাগবে।
পেঁপে ভাজি আমার অনেক প্রিয়। তবে আমি কখনো আপনার মতো কালোজিরা দিয়ে রান্না করি নিই।কালোজিরা দেওয়াতে মনে হয় স্বাদ আরো বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ সুন্দর পেঁপে ভাজি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পেঁপে ভাজিতে কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়ে করলে খেতে অনেক ভালো লাগে, আমি সবসময়ই পেঁপে ভাজিতে কালোজিরা ফোঁড়ন দেই, খেতে সত্যিই অনেক ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
পেঁপের তরকারি আমার যেকোনোভাবে প্রস্তুত করলে খেতে।। আপনার প্রস্তুত করার রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হবে।। এই ধরনের রেসিপি সকালের নাস্তায় অথবা বিকেলের নাস্তায় রুটি দিয়ে খেতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে
আসলেই পেঁপের যেকোন তরকারি আমরাও খেতে অনেক ভালো লাগে৷ সকালে রুটির সাথে এই ধরনের ভাজি বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।