শুভ দীপাবলির কিছু মুহুর্ত।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সকল সদস্যদের কে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
দীপাবলি
সাধারণত কার্তিক মাসের অমাবস্যার দিনে দীপাবলি উৎসব পালিত হয়। কার্তিক মাসের দীপান্বিতা অমাবস্যা তিথিতে পালিত হয় দীপাবলি উত্সব।দীপাবলি কথার অর্থ প্রদীপের সারি।সারি সারি প্রদীপ জ্বালিয়ে বাড়ির এবং চারপাশের অন্ধকার দূর করা হয়।দীপাবলি সবচেয়ে প্রাচীন উৎসব।মহাভারতের যুগেও এই উৎসব ছিলো।তারও পূর্বে রামায়ণ কাল থেকে জানা যায় যে শ্রীরামচন্দ্র ১৪ বছর বনবাসের পরে দেশে ফেরার সময় রাজ্যবাসী প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসব পালন করেছিলেন এবং রাম রাবণের যুদ্ধে রামের জয়ের সংবাদ পেয়ে অযোধ্যায় দীপাবলি উৎসব পালন করা হয়েছিলো।আজও তাই উত্তর ভারতের মানুষ দীপালির উৎসব পালন করে থাকেন।
ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি এই দিনে অনেক প্রদীপ জ্বালিয়ে গোটা বাড়ি আলোকিত করা হয়ে থাকে এবং দেবদেবী ও পূর্বপুরুষের নামেও প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয়।প্রতিবার চেষ্টা করি প্রদীপ জ্বালিয়ে নিজের ঘরটিকে আলোকিত করার জন্য।তাই সকাল সকাল বেরিয়ে পড়লাম প্রদীপ কেনার জন্য।বাসা থেকে বেড়িয়ে প্রথমে মাটির জিনিসপত্র যেখানে বিক্রি করে সেই দোকানে গেলাম।তারপর পছন্দের সই কিছু জিনিসপত্র কিনলাম এবং তিন ধরনের প্রদীপ কিনলাম।তারপর বাসায় ফিরে আসলাম।
প্রদীপ আনার সাথে সাথে একটা বালতিতে বেশ কিছুটা জলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখলাম।ঘন্টাখানেক পর প্রদীপ গুলো উঠিয়ে নিয়ে রোদে শুকাতে দিলাম।
জলে ভিজিয়ে রাখলে প্রদীপ জ্বালানোর সময় তেল কম লাগে।আর যদি শুকনো প্রদীপে তেল দেওয়া হয় তাহলে খুব তাড়াতাড়ি তেল শুষে নিবে আর প্রদীপ গুলো তাড়াতাড়ি নিভে যাবে।
একে একে প্রদীপ গুলো ভালো করে মুছে নিলাম
তারপর দুই মেয়ে মিলে রং করতে বসে পড়লো।ওদের ইচ্ছে হয়েছে প্রতিটি প্রদীপ বিভিন্ন রং এ সাজিয়ে তুলবে। প্রথমে চুন লাগিয়ে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিলো যাতে শুকিয়ে যায়।তারপর লাল সবুজ কমলা নীল হলুদ রং দিয়ে রং করে নিলো। তারপর সিলভার গোল্ডেন কালার দিয়ে ডিজাইন এঁকে নিলো।
সন্ধ্যা লাগার সাথে সাথে সবাই কাপড় ছেড়ে হাতমুখ ধুয়ে পবিত্র হয়ে প্রদীপ জ্বালানোর প্রস্তুতি নিলাম প্রথমে সলতে পাকিয়ে নিলাম তারপর সলতে গুলো কিছুক্ষণ তেলের মধ্যে ভিজিয়ে রাখলাম।তারপর একটা বড় কাঁসার থালার উপরে কয়েকটা প্রদীপ সাজিয়ে নিলাম।তারপর তেল দিয়ে প্রদীপ গুলো জ্বালিয়ে নেওয়া হলো।এবার আলপনার উপরে কিছু প্রদীপ,ঠাকুরের কাছে প্রদীপ প্রতিটি ঘরে ঘরে এবং ঘরের বাইরে বারান্দায় জ্বালিয়ে দেওয়া হলো যাতে পুরো বাড়ি আলোকিত হয়।
আজ এখানেই শেষ করছি পরবর্তী পোস্টে আরো সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবো।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
খুব সুন্দর ভাবে দীপাবলি উদযাপন করেছেন আপনারা। দীপাবলি উৎসবের পেছনের ইতিহাসটা জানা ছিল না। আপনি ইতিহাসটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। প্রদীপ গুলো খুব সুন্দর। ডিজাইন করার পর আরও বেশি ভালো লাগছিল দেখতে। আলপনার মধ্যে প্রদীপ গুলো বেশ দারুন দেখাচ্ছিল।
অসম্ভব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন আপু তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
অন্ধকার দূরীভূত করে আলো আনার উৎসব দ্বীপাবলি।পবিত্র দ্বীপাবলি উৎসবের তোমাদের ঘরোয়া আয়োজন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো দিদিভাই। আল্পনার মধ্যে কী দারুণ করে মেয়েরা প্রদীপ দিয়ে সাজিয়েছে 😍।
হ্যাঁ খুবই অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু সম্ভব আয়োজন করার চেষ্টা করেছি।ধন্যবাদ মনা।
রামচন্দ্রেরের বনবাস কাটিয়ে এই দিনেই রাজ্যে ফেরায় প্রদীপ জ্বালিয়ে আনন্দ উল্লাস করেছিলো রাজ্যের প্রজারা।এবং যুদ্ধ জয়েও প্রজ্বলিত করেছিলো পুরা রাজ্য।আসলে প্রদিপ প্রজ্বলন মানেই শুভ, জয়।আপনার প্রতিটা ফটোগ্রাফও তার বর্ননা খুব সুন্দর করে ফুঁটিয়ে উঠেছে পোস্টে। অসাধারণ সুন্দর পোষ্টটি ধন্যবাদ।
যেকোনো জয়ের মুহূর্ত গুলো আলোকিত করাই হলো প্রদীপ এর কাজ।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আলপনার উপরে প্রদিপগুলো বেশ সুন্দর লাগছে। দীপাবলিতে তাহলে আপনারা সারা বাড়ি জুড়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখেন। বেশ চমৎকার ছিল এগুলো। দারুণ উৎযাপন করেছেন দীপাবলি টা আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আসলে বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোতে জীবনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। তাইতো আপনার ছোটবেলার স্মৃতি গুলো এখনো মনে পড়ে। আলোকসজ্জা মানেই হচ্ছে অন্য রকমের ভালোলাগা। দীপাবলীর অনুভূতিগুলো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।