চিজ পটেটো কাটলেট।
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগবাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
দুপুরের ভারী খাবারের পর সন্ধ্যায় খুব একটা ভারী কিছু খেতে মন চায় না। তবে সন্ধ্যে বেলায় বেশ চটপটে স্নাক্স খেতে সকলেরই ভালো লাগে। তা সে মুচমুচে হোক বা অন্য কিছু। কিন্তু চটজলদি কি এমন রয়েছে যেটা সহজেই বাড়িতে বানিয়ে ফেলা যাবে আর খেতেও হবে অসাধারণ!কাটলেটের প্রতি বাঙ্গালির একটা আলাদাই টান রয়েছে। ফিশ কাটলেট বা চিকেন কাটলেট হলে তো আর কথাই নেই। তবে রোজ রোজ চিকেন আর মাছের বদলে একটু নতুন কিছু ট্রাই করে দেখা যেতেই পারে। আর তাছাড়া যেমন দেখতে দারুন তেমনি খেতেও দারুন টেস্টি এই চিজ পটেটো কাটলেট। তাহলে দেরি না করে ঝটপট দেখে নেওয়া যাক বানানোর জন্য কি কি লাগবে আর কিভাবেই বা বানাবেন এই চিজ পটেটো কাটলেট।
চিজ পটেটো কাটলেট
চিজ | পরিমাণমতো |
---|---|
সিদ্ধ আলু | ৪ টা |
সিদ্ধ ডিম | ১ টা |
নুডলস | ১ টা কেক |
কাঁচা ডিম | ১ টা |
নুডলস এর মশলা | ১ প্যাকেট |
লবণ | স্বাদমতো |
গোলমরিচের গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
আদাগুঁড়া | হাফ চা চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
ধাপ-১
প্রথমে সিদ্ধ আলু খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।তারপর একটা গ্লাসের সাহায্যে খুব ভালো করে আলু গুলো ম্যাশ করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার ম্যাশ করা আলুর মধ্যে একটা সিদ্ধ ডিম নিয়ে একটা গ্রেটারের সাহায্যে পুরো ডিম টা গ্রেট করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার আলু আর গ্রেট করা ডিমের মিশ্রণের মধ্যে এক প্যাকেট নুডলস এর মশলা,গোলমরিচের গুঁড়া,মরিচের গুঁড়া,আদাগুঁড়া,স্বাদমতো লবণ দিয়ে সবগুলো উপকরণ খুব ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার চিজ নিয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার আলু আর ডিমের মিশ্রণ অল্প পরিমাণে হাতে নিয়ে মাঝে এক টুকরো চিজ দিয়ে ভালো করে চেপে চেটে একটা গোলাকার বড়ার শেপ করে নিয়েছি।একে একে সবগুলো তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার একটা ডিম বাটিতে নিয়ে সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
এবার এক প্যাকেট নুডলস নিয়ে শিল এর সাহায্যে ভালো করে গুঁড়ো করে নিয়েছি।বাসায় ব্রেডক্রামস ছিলো না তাই এর বিকল্প হিসেবে নুডলস এর গুঁড়ো ব্যবহার করেছি।
ধাপ-৮
এবার একটা কাটলেট হাতে নিয়ে ডিমের মধ্যে চুবিয়ে নিয়ে তারপর নুডলস এর গুঁড়ার মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।একইভাবে সবগুলো তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৯
চুলায় একটা প্যান বসিয়ে দিয়েছি।তার মধ্যে পরিমাণমতো তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি।তেল কিছুটা গরম হয়ে আসলে একে একে সবগুলো কাটলেট তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর উল্টিয়ে দিয়েছি।আবার আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আরেক পাশে উল্টিয়ে দিয়েছি।অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছি।বাদামী কালার হয়ে আসলে একটা প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার চিজ পটেটো কাটলেট রেসিপি টি।
পরিবেশন
আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময়ে অন্য কোনো নতুন রেসিপি নিয়ে,সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
চিজ পটেটো কাটলেট দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। দেখে তো লোভ সামলাতে পারছি না। খেতেও নিশ্চয়ই মজা হয়েছে। বিকেল বেলায় এ ধরনের নাস্তা হলে দারুণ হয়। আপনি খুবই সুন্দর করে প্রতিটা ধাপ বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
চিজ পটেটো কাটলেট দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে, আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে, এতো সুস্বাদু রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
চিজ পটেটো কাটলেট রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। ঘরে থাকা উপকরণ দিয়ে খুবই অসাধারণ একটি নাস্তা তৈরি করে ফেলেছেন। বিকেলবেলা এ ধরনের নাস্তা হলে খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চিজ পটেটো কাটলেট দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। এধরনের মুখরোচক খাবার গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। তবে আমি কখনো এভাবে খাইনি। সম্পূর্ণ নতুন একটি রেসিপি আজকে উপহার দিয়েছেন। চেষ্টা করবো তৈরি করার জন্য ধাপ গুলো অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
মাঝে মাঝে যদি নাস্তার আইটেম গুলো ভিন্ন রকম ভাবে তৈরি করা হয় তাহলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি তৈরি করতেও ভালো লাগে।চিজ পটেটো কাটলেট দারুন হয়েছে আপু। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল। বিকেলের রাস্তায় কোন একদিন অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখব আপু।
চিজ পটেটো কাটলেট রেসিপি আমি প্রথম দেখলাম ।নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। অনেক কিছু শিখতে পারবো আপনার রেসিপি থেকে। বিকেল বেলার জন্য এই নাস্তা রেসিপিটি অসাধারণ হবে।
আপু আপনি অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি এই ধরনের রেসিপি সকাল বা বিকেলে অনেক ভালো লাগে। তবে এই রেসিপি গুলো তৈরি করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। আসলে কেউ তৈরি করে দিলে খেতে অনেক ভালো লাগে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
চিজ পটেটো কাটলেট দেখে খুবি সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে।
বেশ মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন তো আপনি। আসলে সন্ধ্যা বেলার নাস্তা হিসেবে এটি কিন্তু একেবারেই পারফেক্ট। চিজ পটেটো কাটলেট রেসিপিটা দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। এই ধরনের মজাদার রেসিপি গুলো খেতে আমি খুবই পছন্দ করি বিশেষ করে সন্ধ্যা বেলায়। বুঝতেই পারছি খুবই মজা করে খাওয়া হয়েছিল এটি। পরিবেশন টাও কিন্তু অনেক সুন্দর ভাবে করেছেন।
কাটলেট খেতে আমি তো অনেক বেশি পছন্দ করি। আর যদি হয় চিজ পটেটো কাটলেট তাহলে তো কোন কথাই নেই। অনেক বেশি মজাদার হয়েছে রেসিপিটা যা যে কেউ দেখেই বুঝতে পারবে। আপনি শেষে যেভাবে পরিবেশন করেছেন আমাকে যদি প্লেট টা দিয়ে দিতেন, তাহলে মনে হয় না এখানে একটাও বাকি থাকতো বলে। এরকম মজার মজার রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো তো একেবারেই যায় না।