স্বাস্থ্যকর ও চিনি মুক্ত গাজরের লাড্ডু।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি আজ একটি রেসিপি ব্লক নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের ভালো লাগবে।
গাজরের লাড্ডু অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মিষ্টান্ন খাবার।
মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুব কমই আছে।খাবার খাওয়ার পরে মিষ্টি কিছু না খেলে যেনো পরিপূর্ণ হয় না খাওয়া।কিন্তু চিনির অপকারিতা আমরা সকলেই কমবেশি জানি।চিনি শরীরের বাড়তি মেদ বাড়াতে সাহায্য করে,ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি বাড়ায়,লিভারের ক্ষতি করে,রক্তচলাচলে বাঁধা দেয়,স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়,হার্ট অ্যাটাক এর ঝুঁকি বাড়ায়,ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়,আরও অনেক রকমের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে চিনিতে তাই সকলের উচিত চিনি জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করা আর যদি সম্ভব হয় তাহলে একেবারেই পরিহার করা।আজকের রেসিপি টি আমি একদম চিনি ছাড়া তৈরি করেছি যাতে করে সকলেই নির্দ্বিধায় খেতে পারেন।
গাজরের লাড্ডু
উপকরণ |
---|
গাজর |
দুধ |
কাঠবাদাম |
কাজুবাদাম |
কিশমিশ |
খেজুর |
মধু |
ঘি |
সাদা এলাচ |
ধাপ-১
প্রথমে গাজর গুলো ভালো করে ধুয়ে উপরের খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।ড়তারপর গ্রেটারের সাহায্যে গাজর গুলো গ্রেট করে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার কড়াই এর পরিমাণ মতো ঘি দিয়ে বাদাম কিশমিশ গুলো ভেজে নিয়েছি।তারপর সেগুলো কঁচিকুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার কড়াইয়ে ঘি গরম করে সাদা এলাচ দিয়ে গ্রেট করা গাজর গুলো দিয়ে দিয়েছি।তারপর অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি।যাতে করে গাজরের কাঁচা গন্ধ না থাকে।
ধাপ-৪
কাজের কূলে ভাজা হয়ে আসলে তার মধ্যে গরুর দুধ দিয়ে দিয়েছি।দুধ দেওয়ার পর ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর অল্প আঁচে দুধের মধ্যে গাজর গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
দুধ শুকিয়ে মাখা মাখা হয়ে আসলে জলে ভিজিয়ে রাখা খেজুরগুলো ছোট ছোট টুকরো করে দিয়েছি। ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি,এবার পরিমাণ মতো মধু দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
মধু দেওয়ার পর চুলার আঁচ একেবারে কমিয়ে অনেক সময় ধরে নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি যাতে করে নিচে লেগে না যায়।তারপর ভেজে কুঁচি করে কেটে রাখা বাদাম কিশমিশ গুলো দিয়ে খুব ভালো করে নেড়েচেড়ে সবগুলো উপকরণ মিশিয়ে নিয়েছি।
শেষ ধাপ
এবার চুলা থেকে নামিয়ে নিয়ে কিছুক্ষণ রেখে একটু ঠান্ডা হয়ে আসলে তখন দুই হাতের সাহায্যে লাড্ডুর আকারে তৈরি করে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার স্বাস্থ্যকর চিনি মুক্ত গাজরের লাড্ডু রেসিপি টি।এই ধরনের রেসিপি গুলো সাধারণত চিনি দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় কিন্তু চিনি ছাড় তৈরি করাটা খুবই কষ্টদায়ক ছিলো,কিছুতেই যেনো লাড্ডুর পাক আসছিলো না,অনেক সময় এবং ধৈর্যের সহিত এই রেসিপি টি তৈরি করতে হয়েছে।
এবার গাজরের লাড্ডু গুলোর উপরে কাজুবাদাম কুঁচি দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি।আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের সকলের অনেক ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবে এই প্রত্যাশা করে এখানেই শেষ করছি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
গাজরের লাড্ডু অনেকদিন খাই নাই আম্মু সেই ঈদে একবার তৈরি করে তারপরে আর খাওয়া হয় নাই তবে আপনি যেভাবে গাজর এর লাড্ডু তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুব সহজভাবে এটা আপনি উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে আপু।
মায়ের হাতের যেকোনো খাবার সবসময়ই মিস করি।জ্বি ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
লাড্ডু খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। কিছুদিন আগে দোকান থেকে কিনে খেলাম। তবে ইউনিক একটি লাড্ডু আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো। গাজর দিয়ে এভাবে তৈরি করা যায় এটা কিন্তু মোটেও জানা ছিল না। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর রেসিপি দেখে।
গাজরের লাড্ডু খেতে খুবই সুস্বাদু হয়, একবার খেয়ে দেখবেন আশাকরি অনেক ভালো লাগবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিভিন্ন ধরনের লাড্ডু খেয়েছি কিন্তু কোনদিন গাজরের লাড্ডু খাইনি ।আপনি গাজরের লাড্ডু অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বানিয়ে শেয়ার করেছেন ।দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার হয়েছে খেতে। একদিন বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখব গাজরের চিনি মুক্ত লাড্ডু।
জ্বি আপু বাড়িতে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন আশাকরি খুবই ভালো লাগবে।সত্যিই অনেক মজাদার হয়েছিলো লাড্ডু গুলো।ধন্যবাদ আপু।
লাড্ডু খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমাদের বাসায় কয়দিন আগে লাড্ডু তৈরি করেছে। আপনার গাজরের লাড্ডু বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে লাড্ডু তৈরি করার প্রক্রিয়া খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। গাজরের লাড্ডু দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
লাড্ডু খেতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে এবং মেয়েরাও খেতে খুবই পছন্দ করে। তাই মাঝে মাঝে বাসায় বিভিন্ন রকমের লাড্ডু তৈরি করে থাকি।আপনাকেও ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
চিনি ছাড়াই যদি এমন মজার গাজরের লাড্ডু বানানো যায়, তবে তো দারুণ হয়! তবে যেহেতু চিনি ছাড়া, তাই লাড্ডু পাঁক হয় নি বা আঠালো ভাব টা আসে নি বলে বেশ কষ্ট করে শেইপ টা দিতে হয়েছে। বেশ ভালো পরিমাণে ঘি ব্যবহার করেছো সেটা ছবি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত ও হয়েছে আবার লোভনীয় ও হয়েছে!
চিনি ছাড়া বানাতে বেশ কষ্ট করতে হয়েছে মনা।তারপরও শেষ পর্যায়ে এককদম পারফেক্ট ভাবে তৈরি করতে পেরেছি এটাই অনেক ভালো লাগার মতো বিষয় ছিলো।ধন্যবাদ মনা।
গাজর এমনেতেই মিষ্টি লাগে আর এর মধ্যে আবার খেজুর ও মধু মিক্সড করেছেন যেহেতু তাহলে চিনি ছাড়াই এটা মিষ্টি লাগবে। আপু চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ায় জেনেও আমরা চিনি খাওয়া বন্ধ করতে পারিনা। মিষ্টি খাবার তৈরি করতে গেলে কম বেশি চিনির প্রয়োজন হয়। যাই হোক আপনার কাছ থেকে আজ চিনি মুক্ত মজাদার লাড্ডু রেসিপি শিখতে পারলাম। আপনার লাড্ডু দেখে জিভে জল চলে আসলো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। একদিন বাসায় তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে হলে চিনি খেতে হয় আর এটা আমাদের শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর।এভাবে চিনি ছাড়া তৈরি করে খেয়ে দেখবেন সবদিক বজায় থাকবে।ধন্যবাদ আপু।
বাহ আপনি তো বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে খুব সুন্দর করে গাজরের লাড্ডু বানিয়েছেন। তবে লাড্ডু খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। কখনো গাজর এবং খেজুরের লাড্ডু আমি খাই নাই বানিয়ে। সত্যি আপনার লাড্ডু গুলো দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতে। তবে অনেকে মিষ্টি জাতীয় খাবার একদম কম পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর করে লাড্ডু রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যারা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে চায় না তাদের জন্যই এই রেসিপি টি ভাইয়া,একদম চিনি মুক্ত স্বাস্থ্যকর উপায়ে তৈরি করা।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
গাজরের হালুয়া আমার ভিষণ পছন্দের, তবে এইভাবে কখনো গাজরের লাড্ডু খাওয়া হয় নাই। যাক নতুন একটা আইডিয়া পেলাম, ট্রাই করবো অবশ্যই স্বাদটা। অনেক ধন্যবাদ।
অবশ্যই ভাইয়া ট্রাই করে দেখবেন,আশাকরি খেতে খুবই ভালো লাগবে।অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। 🙏
অসাধারণ লোভনীয় স্বাস্থ্যকর গাজরের চিনি মুক্ত লাড্ডু দেখে তো লোভ সামলানো মুসকিল। মিষ্টি খেতে ভালো লাগলেও মানব শরীরের জন্য ভয়ংকর তা আমরা সবাই জানি তবে মানি কম।আপনার লাড্ডু রেসিপিটি চমৎকার লোভনীয় হয়েছে।খেতে সুস্বাদু হয়েছে তা লাড্ডুর ফটোগ্রাফি দেখে ও তৈরি পদ্ধতি দেখে বুঝতে পাচ্ছি। ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।