অনেক বছর পর মায়ামনিতে।
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি@bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশর গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আজ আমি লাইফ স্টাইল পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।চলুন তাহলে আজকের লাইফ স্টাইল পোস্টটি শেয়ার করি।
মায়ামনি আমাদের এখানকার সবচেয়ে পুরাতন ও নামকরা একটি হোটেল।উত্তর বঙ্গের বেশিরভাগ মানুষ গোবিন্দগঞ্জ এর উপর দিয়ে দক্ষিনাঞ্চলে যাতায়াত করেন তারা সবাই কমবেশি মায়মনি হোটেলের নাম শুনেছেন।দই মিষ্টি মানেই মায়ামনি।এক সময় এই হোটেল খুবই জনপ্রিয় ছিলো যা এক নামে সবার কাছে পরিচিত।আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে মিষ্টি নেওয়া হোক বা বাড়িতে কোনো অনুষ্ঠান সবকিছুতেই মায়মনির দই মিষ্টি থাকবে না এটা হতে পারে না।আগে এই হোটেলের মিষ্টির স্বাদ এবং সুনাম সবার মুখে মুখে ছিলো।কিন্তু দিনে দিনে নতুন নতুন মিষ্টির দোকান হওয়া এবং আরও বিভিন্ন কারনে মায়ামনি অনেকটাই ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে, আর সেই প্রভাব হোটেলের খাবারের উপরে পড়েছে। এতে করে খাবারের মান অনেকটাই কমে গেছে।এখন মায়মনি শুধু নামেই চলে আগের সেই স্বাদ মান কোনোটাই নেই বললেই চলে।
আমার বিয়ের পর বেশ কয়েকবার মায়ামনি হোটেলে খেতে গিয়েছিলাম।তারপর অনেক বছর আর কখনো পা রাখা হয়নি।সেদিন হঠাৎ করেই একটা জরুরি কাজে বগুড়ায় যেতে হবে।তাই খুব সকালে উঠে স্নান করে খাবার বানাতে যাচ্ছি ঠিক সেই মুহূর্তে আমার স্বামী বললো যে আজ খাবার বানানোর দরকার নেই,তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও আজ বাইরে নাশতা খাবো।এই কথা শোনার পর আমি অনেকটাই অবাক হয়ে গেলাম।তার কারন আমার স্বামী বাইরের খাবার খেতে একদম পছন্দ করে না বাসার খাবার যেমনই হোক তার কাছে সেটাই অনেক তৃপ্তির খাবার।
যাইহোক রেডি হয়ে আমরা দুজন বাসা থেকে বেড়িয়ে পড়লাম।মেয়েরা তার পিসির বাড়িতে ছিলো এজন্য আমরা দুজনেই গেলাম।মায়ামনিতে ঢুকলাম ঢোকার সাথে সাথে মনটা খারাপ হয়ে গেলো আগের সেই মায়ামনি এখন আর নেই।যাইহোক আমরা কেবিনে গিয়ে বসলাম কেবিন শুধু নামেই কাজে নেই।তারপর খাবার অর্ডার করা হলো।পরোটা সবজি আর ডিম।আমরা দুজন কিছুক্ষণ বসে গল্প করলাম তার মধ্যে খাবার চলে আসলো।
খাবার আসার সাথে সাথে খাওয়া শুরু করা হলো কারন আমাদের হাতে সময় কম ছিলো।খাবার শেষ করে চা অর্ডার করা হলো বললো চা হবে না কিন্তু কফি হবে।আমি কফি খেতে খুব একটা পছন্দ করি না কিন্তু সকাল সকাল চা খাওয়াটা জরুরি তাই বাধ্য হয়ে কফি অর্ডার করা হলো।ওমা কিছুক্ষণ পর ঘুরে এসে বললো যে কফিও হবে না কেমন লাগে বলেন তো!এমনিতে আমাদের সময় কম ছিলো তার মধ্যে শুধু শুধু বসিয়ে রাখার কি দরকার ছিলো বলেন?
বিল মিটিয়ে দিয়ে আমরা আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।খাবার যেমনই হোক পরিবেশ পরিস্থিতি যাই হোক,অনেক দিন পর পরিচিত হোটেল বসে দুজন মিলে খাবার খাওয়া গল্প করা ছবি তোলা সবমিলিয়ে অসাধারণ মুহূর্ত ছিলো।এই মুহূর্ত আমার কাছে ফাইভ স্টার হোটেলের চেয়েও অনেক বেশি দামী মনে হয়েছে।পরিবেশ পরিস্থিতি বড় ব্যাপার না,সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো আপনি কোন মানুষের সাথে কেমন সময় কাটাচ্ছেন!দুজন দুজনের প্রতি শ্রদ্ধা ভালোবাসা এবং আন্তরিকতার সহিত যদি সময় কাটানো যায় সেই সময় গুলো অনেক সুখের স্মৃতি বহন করে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমাদের উইটনেস।
মায়ামনি সত্যি খুব জনপ্রিয় একটি হোটেল ছিলো।ছোটবেলা অনেক নাম শুনেছি। গোবিন্দগঞ্জ আমার দাদুর পিসির বাড়ি আর দাদুর পিসাত ভাই আসলেই মায়ামনি থেকে সুন্দর ও লোভনীয় মিষ্টি, দই দিয়ে আসতেন। মায়ামনি তে গিয়ে খাওয়ার মুহুর্ত শেয়ার করেছেন ভালো লাগলো।চা চেয়ে পান নি কফিও নেই দুঃখজনক এটা আপনার জন্য। যাই হোক তবুও পছন্দের হোটেলে গিয়ে ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।ধন্যবাদ।
হ্যাঁ মায়মনি অনেক জনপ্রিয় একটি নাম যা সকলেরই কমবেশি জানা।চা আমার ভালোবাসা চা না পেলে মাথা নষ্ট হয়ে যায় তাই সত্যিই আমার জন্য দুঃখজনক ঘটনা।ধন্যবাদ।
সত্যি বলেছেন আপু পরিবেশ পরিস্থিতি যেমনই হোক যার সাথে গেছে তার সাথে ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু নামকরা হোটেল গুলো বর্তমান নামেই চলে কাজে নয়। যাইহোক অবশেষে মনের মানুষের সাথে ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু।
জ্বি আপু পাশের মানুষ টি যদি ভালো হয় তাহলে সবখানেই ভালো সময় কাটানো যায়।ধন্যবাদ আপু।
বগুড়া জরুরী কাজে যেতে হবে তাই ভাইয়া কে নিয়ে সেই পরিচিত হোটেলে গেলেন।আগের মতো আসলে কোন কিছুই থাকেনা।তবে এটা ঠিক বলেছেন, পরিবেশ পরিস্থিতি যেমন ই হোক আমরা কোন মানুষটির পাশে সুন্দর সময় কাটাচ্ছি সেটাই বড় ব্যাপার।আপনার মতো আমার ও কফি তেমন ভালো লাগে না।যাই হোক শেষে কফিও মিললো না, খুবই দুঃখজনক আসলে।তবে দুজনকে অনেক সুন্দর লাগছে।ধন্যবাদ আপু অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু আগের মতো কোনোকিছুই থাকে না একটা সময় গিয়ে।আপু খুব বিপদে না পড়লে কফি খাওয়া হয়না তেমন আর সেই কফি টাও ভাগ্যে জুটলো না।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।🥰