মুচমুচে সুস্বাদু বাঁধাকপির বড়া।
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
অনেকদিন ধরেই জ্বর ঠান্ডা,কাশি জনিত কারনে শরীর বেশ খারাপ ছিলো তাই খাবারের রুচি নেই বললেই চলে।খাবার দেখলেই কেমন জানি লাগে মন চায় না খেতে বসি।আজ সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই মুখরোচক কিছু খাবার খেতে খুবই ইচ্ছে করছিলো তাই ঝটপট বানিয়ে ফেললাম বাঁধাকপির বড়া। বাঁধাকপি এখন খুব একটা পাওয়া যায় না কারন বাঁধাকপি শীতকালীন সবজি।বাজারে গিয়ে হঠাৎ করেই চোখে পড়লো তাই একটু চড়া দাম দিয়ে কিনতে হলো।ভালো লাগার জিনিস দাম একটু বেশি হলেও কিনতে তো হবেই তাই না!যাইহোক চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
ধাপ-১
প্রথমে বাঁধাকপি কুঁচিকুঁচি করে কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার বাঁধাকপির মধ্যে পেঁয়াজ কুচি কাঁচামরিচ কুঁচি গুঁড়া মসলা লবণ হলুদ দিয়ে ভালো করে মেখে কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার পরিমাণমতো চালের গুঁড়া দিয়ে বাঁধাকপি গুলো ভালো করে মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চালের গুঁড়া মেখে নেওয়ার পর পরিমাণমতো ময়দা নিয়ে ভালো ভাবে মেখে নিয়ে,তারপর গোলাকার বড়ার শেপ করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
এবার চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি তারপর পরিমাণমতো তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি।তেল একটু গরম হয়ে আসলে একটা একটা করে বড়া গুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
তেলের মধ্যে বড়া গুলো দেওয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর একপাশ ভাজা হলে বড়া গুলো
উল্টিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৭
আবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বড়া গুলো উল্টিয়ে দিয়েছি।তারপর অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে বড়া গুলো সবপাশে ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।বড়া গুলো মুচমুচে ও বাদামী কালার হয়ে আসলে কড়াই থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
একটা শসা খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।তারপর পাতলা পাতলা করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৯
একটা প্লেটের উপরের অংশে শসা গুলো সাজিয়ে নিয়ে নিচের অংশে বাঁধাকপির বড়া গুলো দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি।আর এভাবে তৈরি হয়ে গেলো মুচমুচে সুস্বাদু বাঁধাকপির বড় রেসিপি টি।
ফাইনাল লুক
এই ছিলো আমার আজকের মজাদার একটি মুখরোচক খাবারের রেসিপি।আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আশা করি তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠবেন। জ্বরের মুখে আসলে এমন মশলাদার খাবারই বেশি ভাল লাগে। কারন তখন মুখ অনেকটা তেতো হয়ে থাকে। দারুন হয়েছে আপনার বাধাকপির বড়া৷ প্রেজেন্টেশন ও লোভনীয়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ জ্বরের সময় কোনোকিছুই খেতে ভালো লাগে না।এই ধরনের মুখরোচক খাবার গুলো তাও একটু ভালো লাগে।প্রশংসা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই তোমাকে।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি দিদি।আপনি বেশ কয়েকদিন ধরে অসুস্থ এটা জেনে খারাপ লাগলো। আসলে ভালো লাগার জিনিসগুলোর দাম একটু বেশি হলেও কেনা তো লাগবেই। না কিনলেও আর ভালো লাগেনা। আপনি মুচমুচে বাঁধাকপির বড়া রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। নিশ্চয়ই খুবই মজা করে খেয়েছিলেন। উপস্থাপনার মাধ্যমে এত সুন্দর করে পোস্টটা তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন।
আপু আপনি দারুন ভাবে বাঁধাকপির বড়া তৈরি করেছেন। আসলে ভাজি জাতীয় খাবার গুলো সবাই কমবেশি খেতে খুব পছন্দ করে। আপনি খুব দারুণ ভাবে বাঁধাকপি ভাজার প্রত্যেকটা ধাপ সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। গরম গরম এই বড়া ভাজা খেতে খুবই চমৎকার লাগে। আপনি দারুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ধন্যবাদ।
মুচমুচে বাঁধাকপির বড়া রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। রেসিপিটির কালার বেশ চমৎকার এসেছে। বেশ লোভনীয় একটি রেসিপি। আপনি খুবই চমৎকারভাবে প্রস্তুত প্রণালী আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। নয়টি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
জ্বি ভাইয়া বাঁধাকপির বড়া রেসিপি টি খেতে খুবই চমৎকার হয়েছে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
বাঁধা কপির বড়া গুলো সত্যি মুচমুচে হয়।তবে এখন তো গড় সিজন তাই চড়া দামে কিনতে হয়েছে। আপনার বড়াগুলো দেখে লোভ সামলানো মুশকিল। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এখন বাঁধাকপির সময় নয় তাই বেশ ভালোই দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে।ঠিক বলেছেন বাঁধাকপির বড়া অনেক মুচমুচে হয়।ধন্যবাদ আপু।
মুচমুচে সুস্বাদু বাঁধাকপির বড়া। তেলে ভাজা খাবার গুলো খেতে ভীষণ মজা লাগে। অনেক সুন্দর করে রেসিপি পরিবেশন করেছেন। নাস্তা হিসেবে পারফেক্ট একটি রেসিপি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
তেলে ভাজা যেকোনো খাবার খেতেই অনেক ভালো লাগে কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকর।ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
মুচমুচে সুস্বাদু বাঁধাকপির বড়া দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লাগছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাঁধাকপির বড়া তৈরি রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে সত্যিই জিভে জল চলে এসেছে। এমনিতেই আমি বাড়া খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে বড়া তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
বড়া খেতে আমারও খুব ভালো লাগে তাই মাঝে মধ্যেই বড়া তৈরি করে খাই।সুন্দর মন্তব্য করেছেন তার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাঁধাকপির বড়া দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু।আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো ছিল।শীতকালে এই বড়া গুলো খেতে বেশি ভালো লাগে। এতো সুন্দর একটি রেসিপি আপনি শেয়ার করেছেন,অসাধারণ উপস্থাপনা ছিল।দেখে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এরকম মজাদার রেসিপি গুলো দেখলে খুবই লোভ লেগে যায়। বাঁধাকপির বড়া রেসিপি খুবই সুন্দরভাবে করেছেন। মুচমুচে এরকম বড়া খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুবই কম রয়েছে মনে হয়। পরিবেশনটা খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন আপনি। যা দেখে ইচ্ছে করছে প্লেট থেকে নিয়ে খেয়ে নিতে। বিকেলের নাস্তা হিসেবে এটা একেবারেই পারফেক্ট।