"মসুরের ডাল চচ্চড়ি"রেসিপি। shy-fox 10%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
মসুর ডাল শুধু আমাদের দেশেই নয়, গোটা পৃথিবীজুড়েই এটি খুব জনপ্রিয় একটি খাবার। মসুর ডাল দিয়ে তৈরি করা হয় নানা রকমের পুষ্টিকর ও মুখরোচক খাবার। যেমন- ডালের চচ্চড়ি, ডালনা, নিরামিষ, পিঁয়াজু, ডালপুরি, ডালের স্যুপ, আম ডাল, পুঁই ডাল ইত্যাদি। মসুর ডাল প্রোটিনের আধার বলে একে মাংসের বিকল্প হিসেবেও ধরা হয়। মসুর ডাল শুধু সুস্বাদুই নয় এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন, খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি।
মসুরের ডাল চচ্চড়ি
উপকরণ |
---|
মসুরের ডাল |
পেঁয়াজ কুঁচি |
রসুন |
কাঁচামরিচ |
টমেটো |
ধনেপাতা |
আদাবাটা |
রসুনবাটা |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
সয়াবিন তেল |
ধাপ-১
চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল দিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি থেঁতো করা রসুন কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর নেড়েচেড়ে হালকা বাদামী করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার ধুয়ে রাখা ডাল গুলো দিয়ে লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৩
লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর নেড়েচেড়ে হালকা করে ডাল গুলো ভেজে নিয়েছি।তারপর আদাবাটা, রসুনবাটা গুলো দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
মসলা দেওয়ার পর সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে টমেটো গুলো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।তারপর সিদ্ধ হওয়ার জন্য পরিমাণ মতো জল দিয়েছি।
ধাপ-৫
ঝোল ফুটে উঠলে ধনেপাতা কুঁচি গুলো দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৬
ধনেপাতা কুঁচি দেওয়ার পর কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে ঝোল শুকিয়ে মাখো মাখো হয়ে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
শেষ ধাপ
চুলা থেকে নামিয়ে একটা পাত্রে ঢেলে নিয়েছি আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার মসুরের ডাল চচ্চড়ি রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে,কার কেমন লেগেছে অবশ্যই মতামতের মাধ্যমে জানাবেন।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।🙏
আসলেই মসুর ডাল দিয়ে অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি করা হয় তার মধ্যে এই মসুর ডালের চচ্চড়িটা আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে । আর আপনার ডালের চচ্চড়ি দেখেই মনে হচ্ছে যে খুবই মজা হয়েছে কালারটা এত সুন্দর এসেছে। এ ধরনের চচ্চড়ি গরম গরম খেতে খুব ভালো লাগে আপু।
হ্যাঁ আপু এরকম ডাল চচ্চড়ি দিয়ে গরম ভাত খেতে খুবই ভালো লাগে।আজকের ডাল চচ্চড়ি রেসিপি টি সত্যিই অনেক ভালো হয়েছিলো।সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
ব্যাচেলরদের প্রধান খাদ্য হচ্ছে মসুরের ডাল 😁। তিনবেলা না হলে জমেই না! তবে আপনি যেভাবে রান্না করেছেন এভাবে হলে তো পুরাই জমে যেত খাওয়াটা! নরমালি মুসুর ডালের পানি খাওয়া হয় 😐। আপনি আপু সুন্দরকরে দেখালেন।
ব্যাচেলরদের খাওয়ার খুবই কষ্ট হয় মেসের ডালে জল প্রতিদিন খেতে হয় এটা খুবই কষ্টদায়ক ব্যাপার।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমরা বলি মসুরের ডাল কে গরিবের মাংস 😍।মসুরের ডাল খেতে যেমন সুস্বাদু হয় তেমনি পোস্টি গুণে ভরা।মসুরের ডাল দিয়ে অনেক অনেক রেসিপি হয় যা আপনি অনেক সুন্দর করে একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।মসুরের ডাল দিয়ে চচ্চড়ি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে।ভাতের সাথে কিংবা রুটি পরোটার সাথে খেতে অসাধারণ হয়।
ঠিক বলেছেন আপু মসুরের ডাল কে গরিবের মাংস বলা হয়।ডার চচ্চড়ি দিয়ে ভাত রুটি পরোটা সবকিছুই খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মসুরের ডাল চচ্চড়ি অসাধারণ রেসিপি। আসলে মসুরের ডাল দিয়ে অনেক কিছু তৈরি করা যায়। আর মসুরের ডাল এ রয়েছে অনেক পুষ্টি গুণে ভরপুর। আসলে আপু শীতে যেকোনো তরকারিতে ধনের পাতা দিলে স্বাদ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যাইহোক আপু আপনার মসুরের ডাল এর চচ্চড়ি চমৎকার হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি আপু যেকোনো কিছুতে ধনেপাতা দিলে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
মসুরের ডাল যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে।মসুরের ডালকে গরীবের মাংস বলা হয়ে থাকে। মসুরের ডালে প্রচুর পরিমাণ আমিষ রয়েছে। আপনার তৈরি মসুর ডাল চচ্চড়ি রান্না দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
মসুরের ডাল তো আমার অতি প্রিয় । তা যদি একটু ভুনা টাইপের রান্না করা হয় তাহলে যে কত ভালো লাগে তা বলে শেষ করতে পারো না। আপনার রেসিপিটা দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো ইচ্ছে করলো যে যদি আলু ভর্তার সাথে খেতে পারতাম তাহলে সেই রকম হতো।
আমার খুব পছন্দের খাবার। আমিও এভাবে প্রায়ই রান্না করি।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।অনেক অনেক শুভকামনা।