গাটি কচুর ঝাল, নিরামিষ রেসিপি shy-fox 10% | abb-school 5%
শরীরের এ্যান্টিঅক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ করে গাটি কচু। এতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি রয়েছে।
গাটি কচুতে ফ্যাট এবং কোলেস্টেরলের পরিমান কম তাই যাদের উচ্চরক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি যথেষ্ট উপকারি। এর উপকারিতা যেমন রয়েছে খেতেও তেমন সুস্বাদু কম বেশি সকলেরই পছন্দের তালিকায় গাটি কচু আছে। গাটি কচু ভর্তা মাছের ঝোল সবসময় খেয়ে থাকি আজ আমি একটু অন্য ভাবে পেঁয়াজ রসুন ছাড়া নিরামিষ ঝাল রান্না করেছি সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
উপকরণ |
---|
গাটি কচু |
আলু |
আদা বাঁটা |
জিরার গুঁড়া |
হলুদের গুঁড়া |
লবন |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
গোটা জিরা,শুকনা মরিচ তেজপাত, গরমমসলা |
সয়াবিন তেল |
ঘি |
প্রথম ধাপ |
---|
গাটি কচু গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিলাম আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিলাম। তারপর আলু,কচু গুলো ডুমো ডুমো করে কেটে ধুয়ে নিলাম।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
এবার চুলায় একটা পাতিল বসিয়ে দিলাম তারপর কেটে রাখা কচু গুলো পাতিলে দিয়ে সামন্য পরিমানে জল দিয়ে চুলা জ্বালিয়ে দিলাম।একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দিলাম বলক উঠলে ঢাকনা খুলে একটা ছাকনির মধ্যে কচু গুলো ঢেলে জল গুলো ফেলে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ |
---|
এবার চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়ে রান্নার তেল দিলাম তেল একটু গরম হলে তারমধ্যে গোটা শুকনা মরিচ, তেজপাতা, গোটা জিরা,গরমমসলা দিয়ে ফোঁড়ন দিলাম। তারপর কেটে ধুয়ে রাখা আলু গুলো দিলাম আলুর মধ্যে পরিমান মতো হলুদ গুঁড়া স্বাদমতো লবন দিয়ে দিলাম।
চতুর্থ ধাপ |
---|
লবন হলুদ গুঁড়া দেওয়ার পর আলু গুলো একটু নেড়েচেড়ে তারমধ্যে ভাপ দেওয়া গাটি কচু গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ |
---|
আলু,ভাপ দেওয়া কচু ভাজা হয়ে গেলে আদা বাঁটা জিরার গুঁড়া, শুকনা মরিচে গুঁড়া দিয়ে একটু জল দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিলাম কয়েক মিনিট কষানোর পর খুব অল্প পরিমানে জল দিলাম কচু ভাপ দেওয়া আর ভাজার সময় আরও কিছুটা সিদ্ধ হয়ে গেছে তাই বেশি জল দিলে একদম ঘাটি তরকারি হয়ে যাবে তাই খুব বেশি জল দেওয়া যাবে না।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
জল দেওয়ার পর চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিলাম যাতে তাড়াতাড়ি ফুটে ওঠে ঢাকনা ছাড়া কিছুক্ষণ জ্বাল দিলাম ঝোল কিছুটা শুকিয়ে আসলে এক চা চামচ ঘি দিয়ে দিলাম। নিরামিষ তরকারিতে ঘি না দিলে খেতে খুব একটা ভালো লাগেনা। ঘি গরমমসলা হচ্ছে এধরনের নিরামিষ তরকারির প্রধান উপকরন আমি তাই মনে করি। ঘি দেওয়ার পর আর একটু ঝোল টেনে আসলে নামিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ |
---|
পরিবেশনের জন্য একটা বোলের মধ্যে ঢেলে নিলাম হয়ে গেলো মজাদার গাটি কচুর ঝাল নিরামিষ রেসিপি।
ধন্যবাদ।
গাটি কচুর ঝাল নিরামিষ রেসিপি খুবই চমৎকার হয়েছে। এরকম রেসিপি আমার অনেক ভালো লাগে। তবে নিরামিষ করে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজা হয়েছে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গাটি কচুর ঝাল, নিরামিষ রেসিপি বাহ্ দারুন গাটি কচুর এই প্রথমবারের মতো শুনলাম। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে
আপু আপনি খুব সুন্দর করে ঘাঁটি কচুর নিরামিষ ঝাল রান্না করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে তরকারির কালার টা বেশ সুন্দর হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
গাটি কচুর ঝাল খুব ভালো লাগলো। নিরামিষ খাওয়া শরীর এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আপনি যেদিকে গাটি কচু বলেছেন আমরা সেগুলোকে কসুর সোহা বলে থাকি। যাইহোক বাংলাদেশ এক জায়গাতে এক নাম বলে থাকে। আপনার রেসিপি কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
গাটি কচুর ঝাল, নিরামিষ রেসিপিটি বেশ মজাদার হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আমিও মাঝে মাঝে বাসায় গাটি কচুর ঝাল, নিরামিষ রেসিপিটি বানিয়ে থাকি। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। জ্বি আপু খেতে অনেক ভালো হয়েছে। আপু আপনার জন্যেও অনেক অনেক শুভকামনা ভালোবাসা রইল।