মজাদার খেজুর গুড়ের পায়েস রেসিপি।
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমি পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আজকে আপনাদের সামনে খেজুর গুড়ের পায়েস রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। যদিওবা খেজুর গুড়ের পায়েস শীতের দিনে খেতে বেশি মজা লাগে। শীতের সময় নতুন গুড়ের আলাদা একটা স্বাদ গন্ধ পাওয়া যায় এখন ঠিক ততটা স্বাদ পাওয়া যায় না তারপরও খেতে ইচ্ছে করলো তাই বানিয়ে ফেললাম খেজুর গুড়ের পায়েস সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
১.গরুর দুধ
২.চিনিগুড়া চাল
৩.খেজুর গুড়
৪.কিসমিস
৫.কাজুবাদাম
৬.কাঠবাদাম
৭.তেজপাতা
৮.সাদা এলাচি
ধাপ-১
প্রথমে একটা পাতিলে দুধ গুলো নিয়ে চুলারউপরে বসিয়ে দিয়েছি। তারপর কিছুক্ষণ ধরে জ্বাল দিয়েছি
দুধ ফটে উঠলে তেজপাতা,সাদা এলাচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-২
এবার আগে থেকে ধুয়ে জল ঝড়িয়ে রাখা চাল গুলো আস্তে আস্তে দুধের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি তারপর অনবরত নাড়তে থাকলাম যাতে করে চাল গুলো দলা পাকিয়ে না যায়। তারপর কুঁচি করে কাটা বাদাম আর কিসমিস ধুয়ে দিয়ে দিয়েছি।তারপর অনেক সময় ধরে অল্প আঁচে চাল গুলো ফুটিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি সাথে দুধ ঘন হয়ে আসছে তখন চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
ধাপ-৩
এবার অন্য একটা পাতিলে খেজুরের গুড় আর সামান্য জল দিয়ে বসিয়ে দিয়েছি, ভালো করে গুড় গুলো জ্বাল দিয়ে নিয়েছি, যাতে করে দুধের মধ্যে দিলে কোন সমস্যা না হয়। কিছু কিছু গুড় আছে দুধের মধ্যে দেওয়ার সাথে সাথে দুধ কেটে যায়। তাই এই পদ্ধতিতে করলে সেই ভয় আর থাকেনা।
ধাপ-৪
গুড় একটু ঠান্ডা হলে আগে থেকে রান্না করা পায়েসের মধ্যে ঢেলে দিয়েছি তারপর নেড়েচেড়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি। চুলায় বসিয়ে আরও একটু জ্বাল দিয়ে নিয়েছি তারপর চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
শেষ ধাপ
এবার চুলা থেকে নামিয়ে একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি
তারপর উপর দিয়ে কিছু কিসমিস দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছি। এখন পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত মজাদার খেজুর গুড়ের পায়েস।
বন্ধুরা আজ এখানেই শেষ করছি, আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আপনি ঠিক বলেছেন খেঁজুর গুড়ের পায়েস অসাধারণ তবে শীতের সময় একটু বেশি থাকে।তবে আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। দেখে মনে হচ্ছে একটু নিয়ে খেতে পারতাম।ধন্যবাদ অসময়ে দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু, খেজুর গুড়ের পায়েস শীতের দিনে বেশি ভালো লাগে। খেতে ইচ্ছে করলে চলে আসুন, দাওয়াত রইল আপু 🙂ধন্যবাদ আপু।
ওয়াও দারুণ ইয়াম্মি খাবার 😋।আপু জিভে তো জল চলে আসলো।এত মজা করে রান্না করেছেন আর একা একা খেয়ে নিলেন।শীতকালে সত্যি খেজুর গুড় দিয়ে এই পায়েস রান্না করলে খেতে দারুণ লাগে। আমার কাছে পায়েস ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ারের জন্য।
মিষ্টি জাতীয় খাবার গুলো ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে বেশি মজা লাগে। কিন্তু আমরা কেউ ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার খেতে পারিনা তাতে অনেক সমস্যা হয়। ধন্যবাদ আপু।
আমি অনেক পছন্দ করি আর বিশেষ করে খেজুরের গুড়ের পাশেস তো দেখলেই রীতিমতো লোভ লেগে যায়৷ আপনার পায়েস তৈরির কৌশল শিখে নিলাম। আশা করি অনেক মজার ছিলো।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মিষ্টি জাতীয় জিনিস গুলো খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। পায়েশের কথা জানো না বললেই নয়। পায়েস আমার খুব পছন্দের একটা খাবার। খুব সুন্দর করে খেজুরের গুড় দিয়ে পায়েস এর রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন আপনি। দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার বাসায় মিষ্টি জাতীয় খাবার খুব কমই রান্না করা হয় তার কারন আমার বাচ্চারা মিষ্টি খেতে খুব একটা পছন্দ করেনা, আমি খেতে পছন্দ করি কিন্তু এখন মিষ্টি জাতীয় খাবার খেতে খুব ভয়করে যে হারে মানুষের সুগার বেড়ে যাচ্ছে তাই একটু কম কম খাই। তারপরও মাঝে মাঝে খেতে মন চায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই যে চাল দেয়ার পর লম্বা সময় ধরে নাড়তে হয় এই কাজে আমি দারুন এক্সপার্ট। খুব সুন্দরভাবে আপনি পায়েস রান্না করা দেখিয়েছেন। খেজুরের গুড়ের পায়েসের মজাই আলাদা, একটি আলাদা গুড়ের সুগন্ধ আসে। আপনি শেষ ধাপের পরিবেশন আমার খুব ভাল লেগেছে। পায়েসের রঙ ও সুন্দর এসেছে। ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনিও তাহলে একজন ভালো রাঁধুনি সেটা বোঝা যাচ্ছে যেহেতু আপনি বললেন যে দীর্ঘ সময় নাড়তে আপনি দারুণ এক্সপার্ট। চিনির পায়েসের থেকে গুড়ের পায়েস সবসময়ই বেশি ভালো লাগে আমারও। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খেজুরের গুড়ের পায়েস বরাবরই আমার খুবই খুবই ফেভারিট।। তবে শীতের সময় এই ধরনের খাবারগুলো একটু বেশি খাওয়া হয়।। শীতের সময় গ্রাম অঞ্চলে খেজুরের রস এবং গুড় পাওয়া যায় ভেজালমুক্ত।। আজ আপনার প্রস্তুত করা পায়েসের রেসিপিটি দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হবে।।
আমার তো জিভে জল চলে এসেছে আপনার পায়েস রেসিপি দেখে। সত্যি বলতে পায়েস খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সকলের মাঝে উপস্থাপনা করে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মজাদার খেজুর গুড়ের পায়েস দেখে জিভে জল চলে এলো। লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। পায়েস তৈরি প্রতিটি ধাপ আপনি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভকামনা রইল