কটুক্তির স্বীকার.
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।
আমাদের সমাজে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ বসবাস করেছেন। এ সকল মানুষের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ভালো এবং অনেকে আছেন যারা মনে মনে খারাপ ব্যবহার লালন করে চলেছেন। অনেক মানুষ আছেন যারা অন্য মানুষদের দেখে কটুক্তি করে এবং কটু কথা বলে। কটুক্তি হলো পরনিন্দা অর্থাৎ কারো পিছনে তাকে নিয়ে সমালোচনা করা।কটুক্তি করা কারো কারো কাছে এক ধরনের অভ্যাসের মতো। আর এই অভ্যাস মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে নষ্ট করে দেয়।
আমি ২০২২ সালের জুন মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যুক্ত হই।২০২১ সাল টা আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিলো।একটা সময় গিয়ে মনে হয়েছিলো যে জীবনটা মনে হয় এখানেই শেষ হয়ে যাবে,আর হয়তো কোনোদিনও ভালো থাকতে পারবো না, আর এভাবেই ধীরে ধীরে একদিন আমার জীবন নিঃশেষ হয়ে যাবে।এগুলো ভাবতে ভাবতে জীবনটা আরো বেশি যন্ত্রণাময় ও দূর্বিষহ হয়ে উঠেছিলো।তারপর একটা সময় বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম তখন স্বামী সন্তান সংসার এগুলো কোনো কিছুর প্রতি আমার মোহ মায়া কাজ করতো না।সারাদিন বিছানায় দিন কাটাতাম আর নিজের মৃত্যুর প্রহর গুনছিলাম।তখন শুধু একটা কথাই বারবার মনে হতো যে এ জীবন থাকার চেয়ে না থাকাই হয়তোবা ভালো আর কিছু না হোক মানসিক যন্ত্রণার হাত থেকে অন্তত বেঁচে যাবো।এভাবেই পরিস্থিতি দিন দিন আরো ভয়াবহ হয়ে উঠে।এগুলো দেখে বাচ্চারাও সব সময় আতঙ্কিত থাকতো কখন আমি হুটহাট কিছু না করে বসি।আমার কারণে আমার সন্তানদেরও অনেক মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে।ওরা ছোট হলেও আমার অনুভূতি গুলো বুঝতে পারতো আমার খারাপ লাগা গুলো ওদের কাছে কষ্টের কারণ হতো তাই ওদেরও সময় গুলো খুবই খারাপ কাটছিলো।তারপর শুভ ভাইয়ের মাধ্যমে আমার বাংলা ব্লগ এ আমার যাত্রা শুরু। ক্লাস করা পরীক্ষা দেওয়া এই বিষয় গুলো খুবই জটিল মনে হতো তারপর আস্তে আস্তে সবকিছু শিখে গেলাম পর পর সবগুলো পরীক্ষায় বেশ ভালোভাবে উত্তীর্ণ হই এবং পরিশেষে আমি আমার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি,আমি ভেরিফাইড ট্যাগ পাই।আর এটা একজন স্টিমিট সদস্যের জন্য খুবই গর্বের এবং আনন্দের বিষয়।তারপর থেকে শুরু হয় ব্লগিং এর কাজ।
আমার আত্মীয় স্বজন বন্ধু বান্ধব অনেকেই ভাবে আমি সারাদিন ইন্টারনেট এ এ্যাকটিভ থেকে কি করি?রাত বারোটার পর সবুজ বাতি জ্বলা মানেই ফেসবুকে প্রেম করা বা কারো সাথে কথা বলা এরকম একটা অবস্থা।এমন কিছু আত্মীয় বা আপনজন আছে রাতে এ্যাকটিভ দেখলেই মেসেজ পাঠাবে কিরে এতো রাতে কি করো বা করিস? তখন কেমন লাগে বলেন তো!তারপর তো সামনাসামনি দেখা হলে জ্ঞানের ভান্ডার খুলে দিবে ইন্টারনেটের যত্তো কুফল সবকিছু আপনার আমার সামনে উপস্থাপন করবে। আর এটা বোঝাতে চেষ্টা করবে যে যারা ইন্টারনেট এ বেশি এ্যাক্টিভ থাকে তারা পৃথিবীর সবচেয়ে পাপী মানুষ আর উনিই একমাত্র ব্যক্তি যে সে একেবারে ধোঁয়া তুলশী পাতা এরকম একটা অবস্থা। যখন নিজে কিছু করতে পারে না তখন হাসবেন্ড এর কান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করে।কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয় না কারণ আমার হাসবেন্ড এই কাজ টাকে খুবই পছন্দ করে এবং সন্মান করে এবং সেই সাথে আমাকে অনেক সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করে।
আমার প্রতিবেশি অনেকেই আবার অনেক বাজে মন্তব্যও করেছে।অনেকেই বলতো পুলিশের বউ হয়ে জুয়া খেলে যেদিন ধরা পড়বে সেদিন বুঝতে পারবে কেমন লাগে!আবার আরেকদিন এক ভাবীর সাথে বাজারে গিয়েছি কাপড় কিনতে।তখন আমি একটা থ্রিপিস পছন্দ করেছি কিন্তু সেই মুহূর্তে আমার কাছে টাকা ছিলো না তাই কিনতে চাইছিলাম না।তখন ভাবী হুট করে বলে বসলেন আপনি তো ব্যবসা শুরু করেছেন তাহলে টাকা কেনো থাকবে না?ওনার কথা শুনে তো আমি একেবারে বাকরূদ্ধ হয়ে গেলাম।যে কি বলে রে আমি নাকি ব্যবসা শুরু করেছি! তাহলে আপনারাই বলুন মানুষের চিন্তাভাবনা গুলো কতোটা নিচে নেমে গেছে।আমি অনেক কিছুই বলতে চাইছিলাম কিন্তু পরে ভেবে দোখলাম মূর্খের সাথে আর যাই হোক তর্কে জড়ানো যাবে না, এতে করে নিজেরই সন্মানের হানি হবে এই ভেবে চুপ হয়ে গেলাম।
এরকম অনেক ধরণের কটুক্তির স্বীকার আমাকে হতে হয়েছে।কিন্তু সেগুলো কখনোই পাত্তা দেইনি নিজের কাজ কে ভালোবেসে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি এবং তার সুফলও পেয়েছি।শুধু এতোটুকুই বলতে চাই যারা মনে করেন যে ইন্টারনেট এ থাকা মানেই যে সে বাজে সময় নষ্ট করে বা বাজে কাজে নিয়োজিত থাকে এমনটা ভাবা উচিত নয়।বরং আপনি বা আপনারা আমাকে নিয়ে ভেবে বাজে সময় নষ্ট করছেন এবং সেই সাথে নিজের নৈতিকতার অবক্ষয় ঘটাচ্ছেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।🙏
টুইটার লিংক
এরকম কথা আমিও শুনেছি সরাসরি আমাকে বলেছে জুয়া খেলিস না তো আবার।একজন একদিন বলে বসলো বাবা এতে চ্যাটিং করেন হাত ব্যাথা করে না🤣।আপনার পোস্ট টি পড়ে বুঝে গেলাম আসলে মূর্খদের সাথে তর্ক করতে নেই বিশেষ করে শিক্ষিত মূর্খদের সাথে।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
সত্যিই তাই মূর্খদের সাথে কখনোই তর্কে জড়ানো ঠিক নয়।যখন বলছে চ্যাটিং করতে হাত ব্যথা হয় না!তখন বলতা যে আপনি এসে মাঝে মাঝে করে দিয়েন।😁😁ধন্যবাদ।
হাহাহাহা 😁😁😁
আসলেই দিদি মানুষের চিন্তাভাবনার লেভেলটা অনেক নিচে নেমে গেছে। তাদের ওই সব কথার আসলেই কোন উত্তর হয় না। আর মূর্খের সাথে তর্কে না জড়ানোই ভালো, এটা ঠিক বলেছেন। আপনাকে যে এরকম কটুক্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে, এটা জেনে বেশ খারাপ লাগলো। তবে এসব কথায় পাত্তা দেবেন না দিদি। নিজের কাজকে ভালোবেসে করে যাবেন এবং পরে অনেক সফল হবেন। তখন ওই সব কটুক্তি করা মানুষগুলো তাদের উত্তর নিজেরাই পেয়ে যাবে।
ঠিক তাই দাদা বর্তমানে প্রযুক্তি যতো উন্নত হচ্ছে সেই সাথর মানুষের মনমানসিকতা ততোটাই নিচে নেমে যাচ্ছে।আমি এগুলো এখন আর পাত্তা দেই না দাদা।কাজ কে ভালোবাসি অনেক দাদা কিন্তু বিভিন্ন সমস্যার কারণে নিয়মিত হতে পারি না তারপরও চেষ্টা করি দাদা।ধন্যবাদ।
একটা কথা আছে আপু মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয় আড়ালে তার সূর্য হাসে। মানুষের কথাগুলো আপনাকে বেশ বাজে ভাবে আঘাত করেছে। সত্যি আমারই তো রাগ হচ্ছে। এমন কথা মানুষ কীভাবে বলতে পারে। যাইহোক খারাপ সময় কেটে গিয়ে ভালো সময় এসেছে এইজন্যই অনেক অনেক শুভকামনা।