রুই মাছের ডিম দিয়ে কচুর লতি চচ্চড়ি shy-fox 10% | abb-school 5%
** হ্যালো**
আমার বাংলা ব্লগ বাসী
আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমি পরিবারের সকলকে নিয়ে ভালো আছি।
কচুর লতি পছন্দ করে না এমন লোক পাওয়া ভার, চিংড়ি দিয়ে কচুর লতি খেতে অমৃত সমান।কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি চিংড়ি মাছ খাই না শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য তাই মাঝে মাঝে শুঁটকি দিয়ে রান্না করে থাকি খেতে অনেক ভালো লাগে এখানেও একটা সমস্যা আছে আমার শাশুড়িমা শুঁটকি মাছ খায় না এমন কি গন্ধ সহ্য করতে পারে না উনি যখন গ্রামের বাড়িতে যায় তখন আমি শুঁটকি মাছ রান্না করি। শুধু লতি খেতে খুব একটা ভালো লাগেনা তাই চিংড়ি আর শুঁটকির বিকল্প হিসেবে মাছের ডিম কেই বেঁছে নিতে হলো খেতে কিন্তু মন্দ লাগেনা।আমি যেভাবে রান্না করেছি সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
উপকরণ
কচুর লতি
কাঁঠালের বিচি
রুই মাছের ডিম
পেঁয়াজ কুঁচি
আদা রসুন বাঁটা
জিরার গুঁড়ো
মরিচের গুঁড়ো
লবন
হলুদ গুঁড়ো
সয়াবিন তেল
প্রস্তুত প্রনালী
প্রথম ধাপ
কাঁঠালের বিচি আমাদের সবার খুব প্রিয় তাই পারলে সব তরকারিতেই দেই। লতি গুলো উপরের আঁশ ছাড়িয়ে লম্বা করে কেটে নিয়েছি। কাঁঠালের বিচি গুলো খোসা ছাড়িয়ে চার ফালি করে কেটে নিয়েছি। তারপর ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
আদা রসুন পেস্ট করে নিয়েছি পেঁয়াজ কুচি করে নিয়েছি। অন্য সব উপকরণ গুলো আলাদা আলাদা বাটিতে পরিমান মতো নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
মাছের ডিম পিস পিস করে কেটে ধুয়ে নিয়ে লবন হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
চুলার উপরে কড়াই বসিয়ে দিয়েছি তারপর রান্নার তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি। তেল গরম হলে মাছের ডিম গুলো দিয়ে দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
একপিঠ ভাজা হলে অন পিঠ উল্টিয়ে দিয়েছি দুপাশে সোনালী কালার হয়ে আসলে ডিম গুলো একটা প্লেটে উঠিয়ে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
কড়াইয়ে অবশিষ্ট তেল এর মধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিয়েছি হালকা বাদামী কালার হলে লতি কাঁঠালের বিচি গুলো দিয়ে তার মধ্যে লবন হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
লবন হলুদ দেওয়ার পর লতি গুলো ভেজে নিয়েছি তারপর আদা রসুন বাঁটা জিরার গুঁড়ো মরিচের গুঁড়ো দিয়ে অল্প পরিমানে জল দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে কষিয়ে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ
মসলা কষানো হলে অল্প পরিমানে জল দিয়ে মাছের ডিম গুলো দিয়ে চুলার আঁচ একটু বাড়িয়ে কিছুক্ষণ রান্না করে জল শুকিয়ে মাখো মাখো হলে নামিয়ে নিয়েছি।
শেষ ধাপ
চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়ে পরিবেশের জন্য একটা বোলের মধ্যে উঠিয়ে নিয়েছি। আর এবার খাওয়ার জন্য রেডি রুই মাছের ডিম দিয়ে কচুর লতি চচ্চড়ি।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি। আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সকলের সুস্থতা কামনা করছি।
ধন্যবাদ সবাইকে
কচুর লতি দিয়ে রুই মাছের ডিমের মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। যা দেখেই তো আমার খেতে ইচ্ছা করছে। মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটি মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রুই মাছ দিয়ে ডিম ও কচুর লতি দিয়ে রান্না করেছেন মনে হচ্ছে তো খুবই মজাদার হয়েছে। বিশেষ করে মাছের পাশে কচুর লতি বেশ চমৎকার লাগে খেতে। অনেক খেয়েছি দারুণ লাগে আমার কাছে। যাইহোক ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে এতো সুন্দর একটা লোভনীয় রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
রুই মাছের ডিম দিয়ে কচুর লতির চচ্চড়ি খুবই লোভনীয় হয়েছে। তবে আমি এভাবে কখনো মাছের ডিম দিয়ে কচুর লতি রান্না করে খাইনি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমি অবশ্যই এভাবে একদিন ট্রাই করে দেখব আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একজন চিংড়ি খান না আরেকজন শুটকি খান না। মুশকিল। আসলে অনেক খাবারেই অনেকের সমস্যা থাকে। যাই হোক রুই মাছ জীবনে বহুবার খেলেও এর ডিম খেয়েছে কিনা ঠিক মনে পড়ছে না। দারুন লাগলো আপনার রেসিপি। শিখে রাখলাম। ধন্যবাদ
আপনি ঠিকই বলেছেন চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর লতি অমৃতের মত লাগে। কিন্তু রুই মাছের ডিম দিয়ে কেমন লাগে সেটা আমি জানি না। নিশ্চয়ই আপনার এলার্জি গত সমস্যার কারণে হয়তো চিংড়ি মাছ খান না। তবে দারুন রেসিপি করেছেন নিশ্চয়ই মজা হয়েছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
রুই মাছের ডিম দিয়ে কচুর লতি চচ্চড়ি খুবই সুন্দর হয়েছে দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। এত সুন্দর রেসিপি পোষ্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রুই মাছ দিয়ে কচুর লতি চচ্চড়ি ইউনিক একটি
রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে অনেক খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে লোভ লাগলো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
কচুর লতি দিয়ে রুই মাছের ডিম রান্নার চচ্চড়ি দেখে জিভে জল চলে আসলো ।এ ধরনের খাবার খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। দেখে তো মনে হচ্ছে খাবারটি খুবই লোভনীয় হয়েছে ।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কচুর লতি ইলিশ মাছ এবং চিংড়ি মাছ দিয়ে অনেকবার খেয়েছি। এই দুটো মাছ দিয়েই মূলত আমার কাছে কচুর লতি অনেক ভালো লাগে। কিন্তু রুই মাছের ডিমের সাথে কখনোই কচুর লতি খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ মজাদার হবে খেতে। আমি অবশ্যই পরবর্তীতে কচুর লতি এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখব।
চিংড়ি মাছ দিয়ে কচুর লতি রান্না করে খেয়েছি অনেক মজা লাগে তবে রুই মাছের ডিম দিয়ে কচুর লতি খাওয়া হয়নি। রুই মাছের ডিম খেতে অনেক মজা লাগে নিশ্চয়ই রুই মাছ আর কচুর লতির সমন্বয়ে তৈরির রেসিপিটা বেশ লভনীয় ছিল।