বালুসাই মিষ্টি। shy-fox 10% abb-school 5%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন সুস্থ আছেন। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমি এবং পরিবারের সকলেই ভালো আছি।
বাঙালির সাবেকি মিষ্টি বালুসাই বিশ্বের সবখানেই এই মিষ্টির সুনাম রয়েছে। সবসময়ই কম বেশি আমাদের মিষ্টি কিনে খাওয়া হয়। মাঝে মাঝে কিছু মিষ্টি বাসায় বানিয়ে বাচ্চাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করি। আমার বাচ্চারা বালুসাই মিষ্টি খেতে অনেক পছন্দ করে তাই মাঝে মাঝে বানানো হয়। আজ আপনাদের সামনে সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো।
উপকরণঃ
ময়দা দেড় কাপ
ঘন দুধ হাফ কাপ
বেকিং সোডা ১/৪ চামচ
তেল /ঘি ৬ টেবিল চামচ
চিনি দেড় কাপ
ফুড কালার
লেবুর রস চামচ
তেল পরিমান মতো
প্রথম ধাপঃ
ময়দা তেল/ ঘি বেকিং সোডা সব উপকরণ ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আমি সয়াবিন তেল ব্যবহার করেছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
সব ভালো ভাবে মেশানো হলে তারপর জ্বাল করা ঘন দুধ দিয়ে হালকা করে একটা ডো বানিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ
ডো টাকে একটা ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে ২০ মিনিট এর মতো।
চতুর্থ ধাপঃ
ডো টাকে হালকা হাতে চেপে চেপে চার পাঁচ বার ভাজ করে দিতে হবে। ডো টা খুব জোরে চাপা যাবেনা খুবই আলতো করে চেপে চেপে নিতে হবে তারপর ছোট ছোট টুকরো করে আলতো হাতে গোল গোল করে নিতে হবে। এটা দেখতে খুব একটা মসৃণ হবে না।
পঞ্চম ধাপঃ
কড়াইয়ে তেল দিয়ে হালকা গরম হলে তাতে আস্তে আস্তে বালুসাই গুলো ছাড়তে হবে।
ষষ্ঠ ধাপঃ
চুলার মিডিয়া লো আঁচে বালুসাই গুলো ভেজে নিতে হবে। দুইপাশে সোনালী কালার হলে নামিয়ে নিতে হবে।
সপ্তম ধাপঃ
কড়াইয়ে দেড় কাপ চিনি, দেড় কাপ জল দিয়ে চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিতে হবে বলক উঠলে আঁচ কমিয়ে দিতে হবে।
অষ্টম ধাপঃ
সিরা ঘন হয়ে আসলে তারমধ্যে দুই চামচ লেবুর রস দিয়ে দিতে হবে তাহলে সিরাটা খুব বেশি আঠালো হবেনা। সামান্য পরিমানে ফুড কালার দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে।
নবম ধাপঃ
সিরা ঠান্ডা হওয়ার জন্য রেখে দিতে হবে কিছুক্ষণ।খুব বেশি গরম সিরায় দেওয়া যাবে না তাহলে মিষ্টি গুলো ভেঙ্গে যাবে।একটু ঠান্ডা হওয়ার পর হালকা গরম থাকতে থাকতে মিষ্টি গুলো দিয়ে দিতে হবে তারপর কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিতে হবে। পরে একবার উল্টিয়ে দিতে হবে তাহলে দুপাশেই সিরা ভালোভাবে ঢুকবে।
দশম ধাপঃ
তারপর একটা প্লেটের মধ্যে মিষ্টি গুলো তুলে নিয়ে তার উপরে কিছু কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম দিয়ে সাজিয়ে নিলেই হয়ে যাবে সুস্বাদু বালুসাই মিষ্টি।
বাদাম অপশনাল চাইলে বাদ দেওয়া যাবে দেখতে সুন্দর লাগার জন্য আমি বাদাম দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছি।
এই ছিল আমার আজকের রেসিপি খেতে অনেক ভালো হয়েছে। আশাকরি আপনাদেরও ভালো লাগবে। আজ এ পর্যন্তই। আবার অন্য কোন রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে যাবো সেই পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি। ধন্যবাদ সবাইকে।
বালুসাই মিষ্টি যেটা আগে কখনো দেখা হয়নি খাওয়াও হয়নি। এই প্রথম দেখলাম খুবই সুন্দর এবং একটি খাবার তৈরি করেছেন। যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো ।দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপু মিষ্টি তো সবসময়ই কিনে খাওয়া হয় মাঝে মাঝে বাসায় বানিয়ে খেলে সেই মিষ্টিটা অনেক বেশি টেস্টি হয়। বালুসাই মিষ্টি আপনার বাচ্চারা অনেক পছন্দ করে আমিও এই মিষ্টিটা অনেক পছন্দ করি আমিও মাঝে মাঝে বানিয়ে খাই। আপনি খুব সুন্দর করে বানিয়েছেন দেখে খেতে ইচ্ছা করছে ।আমি অবশ্য গুঁড়া দুধের মধ্যে গড়িয়ে দিয়ে তারপর পরিবেশন করি ভালো লাগে ।ধন্যবাদ সুন্দর একটি মিষ্টি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার বালুসাই মিষ্টি রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে । বালুসাই মিষ্টি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
জি আপু এভাবে সব সময় তখন থেকে নাকি নিয়ম ঘরে খুব সুন্দর মিষ্টি বানানো সম্ভব। আর আপনার রেসিপিটি খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে। এভাবে যে মিষ্টি তৈরি করা যায় তা আমার জানা ছিল না। আজ আপনার পোষ্টের মাধ্যমে তার শিখে নিলাম।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
বালুসাই মিষ্টি দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল খেতে ইচ্ছা করছে। এমনিতে মিষ্টি আমার ভীষণ প্রিয়। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বালুসাই মিষ্টির রেসিপি দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। যদিও মিষ্টি আমার খুব একটা পছন্দ না কিন্তু আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার কাছ থেকে মিষ্টির নতুন রেসিপি শিখে নিয়েছি। আমি অবশ্যই একবার এটি বাসায় ট্রাই করে দেখব। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ বালুসাই মিষ্টি মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা ভালোবাসা রইল আপু।
বালুসাই মিষ্টির রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। বাসায় এভাবে কখনো মিষ্টি তৈরি করা হয়নি। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই মিষ্টিগুলো তৈরি করেছেন। সবগুলো ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বালুসাই মিষ্টির নাম শুনেছি। কখনো খাওয়া হয়নি আর রেসিপি তো পুরই ছিল অজানা। এত অল্প খরচে আর এত বেশি সহজ প্রণালীতে তৈরি করে দেখিয়েছেন। এবার তো নিশ্চয় বাড়িতে তৈরি করেই ফেলবো। ধন্যবাদ আপু।
অনেক মিষ্টি খেয়েছি বা দেখেছি কিন্তু আপনি আজকে যে মিষ্টি রেসিপি শেয়ার করেছেন সেটা কখনো দেখা হয়নি খাওয়াও হয়নি। হয়তোবা এটা আমার দুর্ভাগ্য। বাসায় মিষ্টি বানিয়ে খেলে সেটা অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত, তাছাড়া বাচ্চাদের জন্য খুবই ভালো হয়। আপনার আজকের বালুসাই মিষ্টি দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না, খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। যেহেতু আমার জন্য নতুন তাই বাসায় একদিন বাচ্চাদের জন্য আমিও চেষ্টা করব। অবশ্যই এর টেস্টটা দেখতে হবে খেতে কেমন হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার বালুসাই মিষ্টি দেখে তো খুব লোভ লেগে গেলো। আপু দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে কতটা মজার হবে। আর এমনিতেই মিষ্টি আমার খুবই পছন্দের। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।