ঈদের খুশি।পর্ব-১
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অনেক কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি।
প্রতিবছর দুটি এর যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পালিত হয়ে থাকে। একটি হলো ঈদ-উল-ফিতর অন্যটি হলো ঈদ উল আযহা। ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উল-ফিতর পালিত হয়ে থাকে রমজান মাস শেষ হবার পর। দীর্ঘ একমাস সিয়াম সাধনার পর যখন আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায় তখন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর পালিত হয় অপরদিকে ঈদ-উল-ফিতর পালিত হওয়ার ৬০ দিন পর ঈদ উল আযহা পালিত হয়। ঈদ-উল আযহায় মুসল্লিগণ নিজের পশুকে কোরবানি দিয়ে থাকে। এবং সকলে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদ-উল-আযহা পালন করে।
গত ২৯ তারিখে ঈদ-উল-আযহা পালিত হয়।প্রতিবারের মতো আমাদের বাড়িওয়ালী নাজমা আপা ঈদ করার জন্য ঢাকা থেকে এখানে আসেন।নাজমা আপা ব্যবসার জন্য ঢাকায় সপরিবারে বসবাস করেন। এখানে মাঝে মধ্যে ঘুরতে আসেন। ওনার ঢাকায় একটা বাড়ি,বগুড়ায় একটা বাড়ি,গোবিন্দগঞ্জ এ একটা বাড়ি।গোবিন্দগঞ্জ এর বাড়িতে আমরা ভাড়া থাকি।নাজমা আপার হাসবেন্ড তিন বছর আগে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক করে পরলোক গমন করেন।তারপর থেকেই ওনাদের ব্যবসা নাজমা আপা নিজেই দেখাশোনা করেন।সেই সাথে ছেলেদের মানুষ করা সবগুলো বাড়ির দেখাশোনা নাজমা আপা নিজেই সব সামলান।ওনার বয়স খুব একটা বেশি না অল্প বয়সে বিয়ে বাচ্চা হয়,আবার খুব অল্প বয়সেই স্বামী কে হারান যা সত্যিই খুব দুঃখজনক ঘটনা।
একজন বাড়িওয়ালী হিসেবে যা যা গুন থাকা দরকার তার সবগুলো গুণই নাজমা আপার মধ্যে আছে।উনি প্রতিটি ভাড়াটিয়ার সাথে বন্ধুসুলভ আচরণ করেন যা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।ঈশ্বরের কৃপায় ওনার ধনসম্পদের কোনো কমতি নেই।উনি সাজতে খুবই পছন্দ করেন গহনা পড়তে খুবই পছন্দ করেন নিত্যনতুন গহনার ডিজাইন পরিবর্তন করা ওনার একধরনের শখ বলতে পারেন!নাজমা আপা দেখতেও অনেক সুন্দর।সবমিলিয়ে উনি একজন পরিপূর্ণ মানুষ।এতোকিছু থাকার পরেও ওনার ভিতরে কোনো অহংকার নেই এটা ওনার সবচেয়ে বড় গুণ।
ঈদের আগেরদিন সন্ধ্যায় সব বাচ্চাদের নিয়ে নিচে গ্যারেজে বেলুন দিয়ে সাজিয়ে তোলেন।এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।ওনার ছেলেরা আমার মেয়ে আরও দুইএক ছিলো তারা সবাই মিলে বেলুন দিয়ে পুরো গ্যারেজ সাজানোর কাজে ব্যস্ত ছিলো।আমি।ভাবলাম সবার জন্য একটু চা করে নিয়ে যাই তাহলে সবার কাজের এ্যানার্জি বাড়বে।আমার চা দেখে নাজমা আপা বললো তাহলে আমি কিছু নাশতা নিয়ে আসি।উনি কেয়ারটেকার কে টাকা দিয়ে নাশতা কিনতে পাঠালেন।কিছুক্ষণের মধ্যে কেয়ারটেকার পরোটা,পেঁয়াজু,মোগলাই নিয়ে আসলো।আমার চা বিস্কুট চানাচুর ও আপার কেনা পরোটা,পেয়াজু মোগলাই সবাই মিলে খাওয়া হলো।সেই সাথে অনেক আনন্দ করা হলো...........বাকি মুহূর্ত গুলো পরবর্তী অংশে শেয়ার করবো।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময়ে অন্য কোনো নতুন বিষয় নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
মুসলিমদের ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা খুব বড় দুটি ধর্মীয় উৎসব । সৃষ্টিকর্তার নৈকট্য লাভের জন্য আমরা আমাদের পশু কোরবানি করি ও গরিবদের মাঝে বিলীন করি। পাশাপাশি আমরা সকলেই খাই। যাইহোক আপনাদের বাড়ি এলেই নাজমা আপার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। তিনি অল্প বয়সে বিধবা হয়েছেন ব্যাপারটা আসলে ভীষণ কষ্টের।
যাই হোক সবাই মিলে গ্যারেজে বেশ সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিক্রম করেছেন।
হ্যাঁ আপু মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ কে কেন্দ্র করে আমরা প্রতি বছরই অনেক মজা করি।নাজমা আপা আমাদের সবাইকে নিয়ে মজা করতে খুবই পছন্দ করেন।ধন্যবাদ আপু।
আসলে একটা মানুষের সব থেকে বড় বোন হচ্ছে তার মধ্যে অহংকার না থাকা। নাজমা আপা অনেক ভালো একটা মানুষ তা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জেনে ভালো লাগলো। আসলে তিনি একা হাতে সব বাড়ি সামলাচ্ছে এবং নিজের ছেলে মেয়েদের মানুষ করতেছে এটা অনেক বড় একটা ব্যাপার। সবাই অনেক বেশি ইনজয় করেছিলেন দেখে বুঝতে পারলাম। পরবর্তী পর্বে বাকি মুহূর্তগুলো দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকলাম তাহলে।
ঠিক বলেছেন আপু মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ হলো অহংকার না করা।আমাদের নাজমা আপার মধ্যে সেই গুণ আছে।সত্যিই অনেক এনজয় করেছি আপু।অবশ্যই আপু বাকি মুহুর্ত গুলোতে আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন।ধন্যবাদ আপু।
শাওয়াল মাসের নামটি প্রথম শুনলাম।তাছাড়া প্রিয়জন হারানোর বেদনা আসলেই খুবই যন্ত্রণাদায়ক।যাইহোক উনার যে গহনা পড়ার শখ আছে সেটা জেনে ভালো লাগলো।আন্টি আপনারা সবাই মিলে দারুণ সময় উপভোগ করেছেন।খাবারগুলো বেশ লোভনীয় ছিল, ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ মা প্রিয়জন হারানোর অনেক যন্ত্রণা। যার যাই সেই শুধু বোঝে।উনি তো ড্রেস পরিবর্তন করার মতো গহনা পরিবর্তন করেন খুবই শৌখিন মানুষ আপা।ধন্যবাদ মা।
ঈদের আগের রাতে এরকম ভাবে মজা করার অনুভূতিটাই একেবারে অন্যরকম হয়। ধর্ম যার যার উৎসব তো সবার। তাই সবাই মিলে উৎসব উদযাপন করাটাই ভালো। আপনার ফ্ল্যাটের মালিক নাজমা আপা অনেক ভালো মনের মানুষ এটা জেনে ভালো লাগলো। নাজমা আপা অনেক নাস্তা নিয়ে এসেছিলেন এবং আপনিও চা তৈরি করেছিলেন। বেশ মজা করে খাওয়া হয়েছিল তাহলে। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
জ্বি ভাইয়া ধর্ম যার যার উৎসব সবার।এই জন্য আমরা প্রতিবার চাঁদ রাতে সবাই মিলে অনেক মজা করি।নাজমা আপা সত্যিই অনেক ভালো মনের মানুষ। চা নাশতা খেতে খেতে অনেক আড্ডা গল্প করে বেশ মজা করেছি সবাই মিলে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এমন কিছু ভালো মনের মানুষ আছেন যাদের মধ্যে কোন ধরনের অহংকার থাকে না। আসলে অহংকার ধনসম্পদ নিয়ে করে না কিছু মানুষ আছেন যারা ধনসম্পদ না থাকলেও অন্যদেরকে নিয়ে অহংকার করে অন্যদের ভাল মন্দ নিয়ে হিংসা করে। নাজমা আপার পুরো জীবন চিত্রটি আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো পড়ে। এছাড়া বিকেল বেলায় খুব সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করলেন সাথে মজার মজার খাবারও খেলেন।
যারা সত্যিকারের বড় মানুষ তারা কখনো অহংকার করে না।ঠিক তেমনি আমাদের নাজমা আপা।সবমিলিয়ে আমরা অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছি আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমি তো দেখছি আপনার ভাগ্যটাই বেশ ভালো। আপনি তো দেখি সব ভালো মানুষের সন্ধ্যান পান। তাই তো মাঝে মাঝে ভাবী যে আপনার ওদিকটাই চলে যাই। আজ কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ অনেক গুন বেড়েই গেল। কারনটা আজ আর নাইবা বলি। তবে অনেক মজা করেছেন। বিশেষ করে আপনার চায়ের কালার টা দেখে বেশ খেতে মনে চাচ্ছিলো।
এটা আপনি ঠিক বলেছেন আপু সত্যি আমার ভাগ্যটা অনেক ভালো।এই জীবনে মানুষের এতো ভালোবাসা পেয়েছি যা বলে শেষ করা যাবে না এটা সত্যি ভাগ্যের বিষয়। আমি সবসময়ই চেষ্টা করি আশেপাশের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো থাকার আর এটাতে অনেক আনন্দ আছে।আমার চা সবসময়ই বেস্ট 😁একদিন দাওয়াত থাকলো খেয়ে যাবেন আপু।ধন্যবাদ।
সবাই মিলে বেশ ভালই ঈদ উৎসব পালন করেছেন দেখছি । আসলে অনেকেই মিলে একসঙ্গে আয়োজন করে কোন কিছু করলে সেখানে আনন্দটা একটু বেশি হয় ।বাড়িওয়ালীর সঙ্গে দারুণভাবে সময় কাটিয়েছেন আপনারা দেখে বেশ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ।
জ্বি আপু সবাই মিলে কোনোকিছু করার মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ পাওয়া যায়।আমরা সবাই মিলে অনেক অনেক আনন্দ করে চাঁদ রাত পালন করেি প্রতিবার। ধন্যবাদ আপু।
এভাবে উনি খুবই ভালো মনের একজন মানুষ। আমি যতদিন বাসায় ছিলাম দেখেছি। তবে আপনাদের আনন্দ দেখে খুব আফসোস হচ্ছে। মিস করে গেলাম। যাই হোক সবার জন্য শুভকামনা রইল।