আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৩৯|চিংড়ি কচু বাদামের মিক্সড ভর্তা রেসিপি।|
"হ্যালো বন্ধুরা"
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও এখন অনেকটাই ভালো আছি।
আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-৩৯ শেয়ার করো তোমার ইউনিক ঝাল ভর্তা রেসিপি।আয়োজন করার জন্য প্রথমে আমাদের শ্রদ্ধেয় ফাউন্ডার দাদা,এডমিন মডারেটর প্যানেলের সকলকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।আমাদের প্রিয় এডমিন @nusuranur আপু প্রতিযোগিতার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ভাবছি কি দিয়ে ভর্তা রেসিপি দেওয়া যায়!রান্না বিষয়ক যেকোনো প্রতিযোগিতা হলে আমার অনেক ভালো লাগে তার কারন আমি নতুন নতুন রেসিপি করতে অনেক ভালোবাসি।রান্না আমার একটি প্রিয় শখ বলা চলে।আমি সাধারণত অনেক সময় এবং ধৈর্য্য সহকারে রান্না করে থাকি তাই আমার রান্না গুলো মোটামুটি ভালোই হয়ে থাকে, যা খেয়ে সবাই প্রশংসাও করে।নিজেই নিজের একটু প্রশংসা করলাম আর কি!😁প্রতিযোগিতার বিষয় টি খুবই চমৎকার একটি বিষয় কিন্তু তারপর একটু চিন্তারও বিষয়!বর্তমান বাজারে কাঁচামরিচের যে দাম তাতে করে ঝাল ঝাল ভর্তা বানানোটা বেশ ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে তাই নয় কি!🤭আমি অবশ্য সেদিক থেকে একটু হলেও নিশ্চিন্তে আছি তার কারন হলো আমাদের ছাদে প্রচুর মরিচের গাছ আছে তাই আজকের রেসিপিতে ঝালের কোনো কমতি হবে না,হি হি হি হি।
"ভর্তা"
খাবার প্রিয় বাঙ্গালীদের আবেগ ও ভালোবাসার সাথে জড়িয়ে রয়েছে ভর্তা নামক খাবারের বিশেষ পদটি। কেননা ভর্তা অধিকাংশ বাঙ্গালীর খাদ্য তালিকার অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ বলা যায়। মানুষ ও মত ভেদে সকলের খাবারের রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য ও পছন্দতা। তবে এটা বলা যায় ভর্তা জাতীয় খাবার আমরা সকলেই খুব পছন্দ করে থাকি। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের মেনুতে বিশেষ করে স্থান পায় ভর্তা নামক খাবারটি। খাবারের মেনুতে যখন ভর্তার মতো বিশেষ খাবার থাকবে তখন আমাদের খাবারের পরিপূর্ণতা আসে।তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমি মুখরোচক সুস্বাদু ও ঝাল ঝাল একটি ভর্তার রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি।চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ |
---|
চিংড়ি মাছ |
সোলাকচু |
বাদাম |
পেঁয়াজ |
রসুন |
কাঁচামরিচ |
শুকনা মরিচ |
কালোজিরা |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
সয়াবিন তেল |
সরিষার তেল |
ধাপ-১
প্রথমে সোলাকচু খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।তারপর কুঁচিকুঁচি করে কেটে ধুয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২
এবার বাদাম গুলো কড়াইয়ে দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিয়েছি।তারপর ঠান্ডা করে হাত দিয়ে কচলিয়ে বাদামের উপরের লাল লাল খোসা গুলো ছাড়িয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
চিংড়ি মাছের মধ্যে লবণ হলুদগুঁড়া মেখে নিয়েছি।
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে সামান্য পরিমাণে তেল দিয়ে চিংড়ি গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার মাছ ভাজার তেলের মধ্যে আরও একটু পরিমাণমতো তেল দিয়ে কালোজিরা ফোঁড়ন দিয়ে শুকনা মরিচ গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।তারপর পেঁয়াজ কুঁচি রসুন কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৫
পেঁয়াজ রসুন গুলো ভাজা ভাজা হয়ে আসলে কেটে রাখা সোলাকচু গুলো দিয়ে লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
কচুর মধ্যে লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।তারপর সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি,যাতে করে কচু গুলো একটু সিদ্ধ হয়।
ধাপ-৭
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর জল শুকিয়ে আসলে কড়াইয়ের ঢাকানা খুলে দিয়েছি।তারপর অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে নেড়েচেড়ে কচু গুলো লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।তারপর একটা প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়ে ঠান্ডা করার জন্য রেখে দিয়েছি।
ধাপ-৮
এবার শিলপাটা ধুয়ে মুছে নিয়ে তারমধ্যে বাদাম গুলো বেঁটে নিয়েছি।
ধাপ-৯
বাদাম বাঁটা হলে তারমধ্যে ভাজা চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে ভালো করে বেঁটে নিয়েছি।এবার একটা প্লেটের মধ্যে বাদাম চিংড়ি বাঁটা গুলো তুলে নিয়েছি।
ধাপ-১০
এবার শিলপাটায় ভাজা কচু গুলো নিয়ে অল্প অল্প করে মিহি করে বেঁটে নিয়েছি।
ধাপ-১১
কচু বাঁটা হলে তারমধ্য বাদাম ও চিংড়ি মাছ বাঁটা গুলো দিয়ে আবার সবগুলো উপকরণ ভালো করে বেঁটে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-১২
এবার হাতের মধ্যে পরিমাণমতো সরিষার তেল নিয়ে ভর্তার মধ্যে দিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।আগে থেকেই পরিমাণমতো লবণ দেয়া ছিলো তাই আর বাড়তি কাঁচা লবণ দিতে হয়নি।হাত দিয়ে ভালো করে মেখে একটা প্লেটের মধ্যে ভর্তা গুলো তুলে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মজাদার চিংড়ি কচু বাদামের মিক্সড ভর্তা রেসিপি টি।
"পরিবেশন"
"রেসিপি ভিডিও"
আজ এখানেই শেষ করছি।আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময়ে অন্য কোনো নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আমাদের উইটনেস কে সাপোর্ট করুন।
OR
কি বলবো দিদি আপনার ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি দেখে আমার তো জিভে জল চলে এসেছে। আমি তো ভর্তা খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আর যদি হয় এরকম ঝাল ঝাল তাহলে তো কোন কথাই নেই। চিংড়ি কচু বাদামের মিক্সড ভর্তা রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। অনেক বেশি ইউনিক ছিল বলতে হয় আপনার রেসিপিটা। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে ভালো লাগলো। অংশগ্রহণ করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার মতো আমারও ভর্তা খুবই পছন্দের খাবার।ঝাল স্বাদের ভর্তা গুল খেতে সবসময়ই অনেক ভালো লাগে।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
খুব ঝাল করে ভর্তা তৈরি করা আমার পক্ষেও সম্ভব না আপু। যদিও অবশ্য শুকনো মরিচ দিয়ে চালিয়ে দেওয়া যাবে ।
যাইহোক যেকোনো ভর্তা রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো ভীষণ কঠিন। রেসিপিটি দুর্দান্ত হয়েছে আর আপনার জন্য ভালো কোন স্থান কামনা করছি।
প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
ঝাল ঝাল খাবার খেতে খুবই ভালো লাগে কিন্তু তা শরীরের জন্য খুব একটা ভালো না। তাই অল্প ঝালে কাজ চালিয়ে নেওয়াটাই ভালো তাতে করে দুদিক থেকেই লাভবান হওয়া যাবে,এক শরীরের জন্য ভালো দুই বেশি দামের মরিচ কিনতে কিছুট্ হলেও কম টাকা লাগবে।😁অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপি টা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
চিংড়ি কচু বাদামের মিক্সড ভর্তা রেসিপি তো দারুণ হয়েছে দেখছি। ভর্তা খেতে সবাই পছন্দ করে মোটামুটি আমি মনে করি। তবে কাঁচা মরিচের চিন্তা আমি এখন ভর্তা খাওয়াটা খুবই মুশকিল। আপনার ভর্তা রেসিপি দেখি তো আমার এখানে খেতে ইচ্ছে করছে।
দিদিভাই, ঝাল ঝাল এই ভর্তার জন্য তুমি যে যে উপকরণ গুলো ব্যবহার করেছো যেমন শোল-কচু, চিংড়ি মাছ, বাদাম, বোঝাই যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আর তোমার রান্না তো এমনিতেই খুউউউবইইইই মজার! আমি মিস করি অনেক।আজকের এই ভর্তার ভিডিও টি আমার তো দেখেই জিভে জল চলে এসেছে।
প্রতিযোগিতার জন্য শুভকামনা 👍👍👍
হ্যাঁ মনা অনেক গুলো উপকরণের সমন্বয়ে তৈরি আজকের ভর্তা রেসিপি টি তাই খেতে সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছে।তোমাকেও আমরা খুব মিস করি।অনেক দিন হলো দেখা হয় না।এবার পুজোর সময় বাড়িতে আসলে অবশ্যই তোমাকে রান্না করে খাওয়াবো।অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য তোমাদের অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই মনা।
প্রথমেই অভিনন্দন জানাচ্ছি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। চিংড়ি, কচু, বাদামের মিক্সড ভর্তা রেসিপি দেখেই তো জিভে পানি চলে এলো। যেকোনো ধরনের ভর্তা আমার খুব পছন্দ। আর এমন সুস্বাদু ভর্তা হলে তো আর কোনো কথাই নেই। ভর্তার কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। যাইহোক এমন মুখরোচক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া আসলেই ভর্তা রেসিপি টি অনেক ইয়াম্মি হয়েছে।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ভাইয়া।
কনটেস্টটে অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার ভর্তা টি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। ঝাল ঝাল ভর্তা দেখে আর লোভ সামলাতে পারছি না। মন চাচ্ছে এখান থেকে নিয়ে খাওয়া শুরু করি। ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঝাল ঝাল ভর্তা গুলো সকলেরই খুবই পছন্দের খাবার আপু।আসলেই এরকম লোভনীয় খাবার গুলো চোখের সামনে দেখলে খেতে খুবই ইচ্ছে করে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
টুইটার লিংক
বাহ আপু আপনি তো দেখছি প্রতিযোগিতায় ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। অনেক অনেক অভিনন্দন এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেই ফেলাম।আশাকরি খুব শীঘ্রই আপনাদের অংশগ্রহণ গুলো দেখতে পাবো।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুব শীঘ্রই দেখতে পাবেন ধন্যবাদ।
আপু মজার একটি ভর্তার রেসিপি করেছেন দেখছি। চিংড়ী মাছ দিয়ে যে কোন ভর্তা করলে খেতে বেশ মজা লাগে।আপনার তৈরি করা ভর্তার রেসিপিটি বেশ ইউনিক লেগেছে আমার কাছে।অনেক ধন্যবাদ মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু চিংড়ি মাছ দিয়ে যেকোনো ভর্তা খেতে খুবই ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু।