পনির কষা রেসিপি। shy-fox 10%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
গত পোস্টে পনির সম্পর্কে কিছু কথা এবং কিভাবে তৈরি করেছি সেই রেসিপি টি শেয়ার করেছি। পনির নিরামিষ ভাবেই রান্না বেশি করা হয়ে থাকে আজ আমি একটু অন্য ভাবে রান্না করেছি পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে রান্না করেছি, সেই রেসিপি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
উপকরণ |
---|
পনির |
পেঁয়াজ |
রসুন |
আদা |
টমেটো |
কাঁচামরিচ |
জিরাগুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
লবণ |
হলুদ গুঁড়া |
গোটা শুকনা মরিচ |
গোটা জিরা |
তেজপাতা |
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে আদা,রসুন কাঁচামরিচ, টমেটো পেঁয়াজ একসাথে সবগুলো উপকরণ ব্লেন্ডারে দিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
টুকরো করা পনিরগুলোর মধ্যে লবণ মরিচের গুঁড়া দিয়ে হালকা করে মেখে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
এবার চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি তারপর তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি। তেল গরম হল৷ পনিরগুলো দিয়ে অল্প আঁচে সবপাশে সোনালী কালার করে ভেজে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
পনির তুলে নিয়ে কড়াইয়ে আরও একটু তেল দিয়ে গোটা শুকনা মরিচ গোটা জিরা ফোঁড়ন দিয়েছি তারপর পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে দিয়েছি। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে হালকা বাদামী করে পেঁয়াজ কুঁচি ভেজে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
পেঁয়াজ ভাজা হলে টমেটো পেঁয়াজ রসুন,আদার পেস্ট গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর লবণ হলুদ মরিচের গুঁড়া জিরাগুঁড়া দিয়ে সামান্য জল দিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
জল দিয়ে মসলা গুলো ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে অনেক্ক্ষণ ধরে কষিয়ে নিয়েছি। মসলা কষানো হলে পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঝোল দিয়েছি তারপর পনির গুলো দিয়ে দিয়েছি তারপর কিছু সময় জ্বাল দেওয়ার পর ঝোল শুকিয়ে মাখো মাখো হলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
শেষ ধাপঃ
চুলা থেকে নামিয়ে একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি। এবার পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত মজাদার পনির কষা রেসিপি।
আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আপু পনিরের নাম অনেক শুনেছি কিন্তু কখনো পনিরের রেসিপি খাওয়া হয়নি এবং দেখাও হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে পনির দিয়ে সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার রেসিপির কালার দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু পনির আমাদের মধ্যে যারা নিরামিষ খাবার খায় তারা বেশি পনির খেয়ে থাকে, আর আমরা মাঝে মাঝে শখের বসে খাই। খেতে খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
আপু আমি আগে কখনো এইভাবে পনির খাইনি এবং খেতেও দেখিওনি এটা যে এভাবে খায় সেটাও জানিনা। আপনার কাছ থেকে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে রেসিপি টি শিখে নিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ আপু নতুন ভাবে এই রেসিপিটির জন্য।
পনির এটা আবার কি।
জীবনে আজকে প্রথম নামটি শুনলাম। আর সেটা দিয়ে আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন যেটা অনেক লোভনীয় মনে হইতেছে।
রেসিপিটি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভ কামনা রইল
আমার অনেক প্রিয়।তবে এতদিন নিরামিষ টাই খেয়েছি।কখনো পেয়াজ রসুন দিয়ে খাওয়া হয়নি।মা কে বলতে হবে এবার এভাবে বানাতে।কাকিমা পনির টা বাসায় তৈরি করেছিলেন নাকি কিনেছিলেন?
পনির বাসাতেই বানানো হয়েছে, আমিও এর আগে কখনে পেঁয়াজ রসুন দিয়ে খাইনি এই প্রথম পেঁয়াজ রসুন দিয়ে রান্না করেছি। ট্রাই করতে পারো খেতে কিন্তু ভালোই হয়েছিল। ধন্যবাদ।
পনির আমার খুবই ফেভারেট মাঝে মাঝেই খাওয়া হয় তবে সেটা রেস্টুরেন্ট থেকে।। বাসায় নিজে কখনো প্রস্তুত করিনি আর কিভাবে প্রস্তুত করা হয় পূর্বে জানতাম না আজ আপনার রেস্টে বুঝতে পারলাম।। আপনার প্রস্তুত করার রেসিপি খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে দেখুন সুস্বাদু হয়েছিল এটা কোন সন্দেহ নেই।। একবার আপনার মত করে প্রস্তুত করতে হবে বাসায়।।
জ্বি ভাইয়া খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল, আমি মাঝে মাঝে বাসায় পনির বানিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করি, বাচ্চারা খেতে খুবই পছন্দ করে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
পনিরও রান্না করে খাওয়া যায় আমার জানা ছিল না। আপনার আগের পোস্টে পনির বানানো দেখেই অবাক হয়েছিলাম। অনেক সুন্দরভাবে আপনি পনির বানানো দেখিয়েছিলেন। এই পোস্টে পনির রান্না? আমি পনির এমনি মাঝে মাঝে কিনে খাই। টক লবন এর মজার একটি স্বাদ লাগে। কিন্তু ঝাল ঝাল রান্না করে খেলে কেমন লাগবে জানার খুব আগ্রহ। ধন্যবাদ আপু ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া রান্না করে খাওয়া যায়। নিরামিষ রান্নার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো পনির। বিভিন্ন রকম ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি আজকে পনির নিরামিষ ভাবে রান্না করেছেন দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপনার রেসিপিটি। গত পোস্টে আপনি পনির তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করেছিলেন। খুবই ভালো লাগল দেখে।
জ্বি ভাইয়া গত পোস্টে আমি পনির তৈরির রেসিপি টি শেয়ার করেছিলাম। সত্যি রেসিপি টি খুবই ভালো হয়েছিল।ধন্যবাদ ভাইয়া।
খুবই ভালো লাগলো আপনার পনির রেসিপি দেখে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে এই রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। একদম প্রথম থেকেই অনেকগুলো ছোট ছোট পনিরের টুকরা এবং তার সাথে উপাদানগুলো মিশ্রণ দেখে মনে হল খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি। রেসিপিটা তৈরি ধরনরাও ছিল অসাধারণ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে এটা আমার জন্য অনেক ভালো লাগার মতো একি বিষয়। ধন্যবাদ।
আপু পনির কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার পনির কষার রেসিপির প্রত্যেকটি ধাপের বর্ণনাগুলো পড়ে এবং প্রত্যেকটি ধাপের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি নিশ্চিত যে, পনির কষা খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। অতি লোভনীয় একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপা এ রেসিপিটি রান্না করার জন্য কোন পনির ব্যবহার করা হয় জানাবেন দয়া করে । ।আমার পনির বেশ পছন্দ।এভাবে একদিন ট্রাই করব।ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।