হোম মেড "মেওনিজ" রেসিপি।
হ্যালো বন্ধুরা,,সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
ফাস্টফুডের সাথে মেওনিজ ছাড়া যেন চলেই না। বিকালে চায়ের আড্ডাতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা স্যান্ডউইচ আছে, কিন্তু কীসের যেন একটা কমতি,মেওনিজ থাকলে নাস্তার টেবিল একদম পরিপূর্ণ হতো, তাই না? কিন্তু বাইরে থেকে কেনা এক বোতল মেওনিজের দাম তো অনেক, আবার মান নিয়েও মনে প্রশ্ন থেকে যায়,তাই খুবই অল্প উপকরণ দিয়ে বাসায় মেওনিজ বানিয়ে খেতে পারলে আমরা দুদিক থেকেই লাভবান হতে পারি।এক ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে তৈরি তাই খুব একটা খরচ হয় না আর দুই স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো হয়ে থাকে। চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
ডিম | ১ টা |
সয়াবিন তেল | ১ কাপ |
রসুন | ২-৩কোয়া |
মরিচের গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
গোলমরিচের গুঁড়া | হাফ চা চামচ |
লবণ | স্বাদমতো |
চিনি | স্বাদমতো |
লেবুর রস | ১ চা চামচ |
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে ব্লেন্ডারে ছোট জারের মধ্যে ডিম টা ভেঙ্গে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এবার রসুন কুঁচি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
তৃতীয় ধাপঃ
এবারে স্বাদমতো লবণ ও স্বাদমতো চিনি দিয়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপঃ
এবারে মরিচের গুঁড়া ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
পঞ্চম ধাপঃ
এবারে এক কাপ তেলের অর্ধেক কাপ তেল দিয়ে দিয়েছি।তারপর সবগুলো উপকরণ একসাথে ব্লেড করে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপঃ
ব্লেড করা হলে আবার অর্ধেক কাপ তেল দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিয়েছি।তারপর লেবুর রস দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ব্লেড করে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপঃ
ব্লেন্ড করা হলে ছোট একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি।তারপর মাঝখানে একটা পুদিনাপাতা দিয়ে পরিবেশন করেছি।
ভিডিও লিংক
ধন্যবাদ সবাইকে।
এইটা খুবই ইউনিট ছিল কারণ ফাস্টফুড খেতে গেলে শুধুমাত্র ইনজয় করার জন্য বোতল থেকে মেওনিজ ঢালা হতো, কখনো খুব একটা চিন্তা করিনি এটি কিভাবে তৈরি করতে হয় আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে একটা ধারণা হয়ে গেল চমৎকার ছিল আজকের রেসিপি।
ফাস্ট ফুডের দোকানে খাবার খেতে গেলে অনেকেই মজা করে মেওনিজ ও টমেটো সস বেশি বেশি ঢেলে খায়।হ্যাঁ অনেকেই জানেনা এটা কিভাবে তৈরি করা হয়।সবার উদ্দেশ্যে আমার এই রেসিপি টি ছিলো। ধন্যবাদ।
যেকোনো খাবারকে আরও বেশি মজার করে তোলে এই মেয়োনিজ।আমি মেয়োনিজ র্বাসায় নিজেই করি। আপনিও দারুন ভাবে আজ মেয়োনিজের রেসিপি শেয়ার করেছেন। খুবই সুন্দর হয়েছে।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু যেকোনো খাবারের স্বাদ আরও দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় মেওনিজ।আমিও সবসময়ই বাসায় বানিয়ে খাই এতে করে খুব বেশি টাকাও খরচ হয় না আবার স্বাস্থ্যসন্মত হয়ে থাকে।ধন্যবাদ আপু।
ঠিকই বলেছেন ঘরের তৈরি খাবার গুলো স্বাস্থ্যের দিক থেকে অনেক ভালো। খুব সুন্দর ভাবে আজকে আপনি মেওনিজ তৈরি করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু ছিল । তবে বাসায় তৈরি করে কখনো এভাবে খাওয়া হয়নি। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো।একদিন ট্রাই করে দেখবেন আশাকরি খেতে অনেক ভালো লাগবে।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
খাবারের বাড়তি স্বাদের জন্য যোগ করা হয় মেওনিজ, বিশেষ করে ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবারেই বেশি খাওয়া হয়। আমি দোকানের মেওনিজ অনেক খেয়েছি কিন্তু বাড়িতে বানানোটা কখনই খাওয়া হয়নি। আপনার মেয়োনিজ দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যসম্মত একটি মেওনিজ রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। উপস্থাপনা তাও ছিল চমৎকার, ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মেওনিজ খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আসলে মিষ্টি সব জিনিসই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে শুধু একা একাই খাবেন ভাইকে কিছু দিবেন না। কি আর করার অতি লোভনীয় একটা রেসিপি প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে নিজের জিহ্বাকে কন্ট্রোল করা বড়ই কঠিন। তবুও কন্ট্রোল করতে হচ্ছে যেহেতু রেসিপি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি তৈরি করেছেন এবং উপস্থাপন করেছেন।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সময়ই মেওনিজ প্রয়োজন হয়। যেমন বিকেলের নাস্তায় ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা স্যান্ডউইচ খেতে তো অবশ্যই মেওনিজ লাগবেই। তাই বাসায় স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করে খেতে পারলে বেশ ভালো। খুবই উপকারী একটি রেসিপি শিখে নিলাম আপু। আশা করি রেসিপিটা কাজে লাগবে। এমন ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ আন্টি বাইরের মেওনিজ দাম এবং গুণগত মান নিয়ে অনেক সমস্যা আছে। তাই আপনি নিজে বাসায় তৈরি করে অনেক ভালো করেছেন। তৈরি পদ্ধতি অনেক সুন্দর হয়েছে আর রেসিপিটাও বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। খাইতে অনেক সুন্দর হয়েছিল হয়তো। সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আন্টি।
হ্যাঁ বাজারের কেনা মেওনিজ এর দাম অনেক বেশি আর স্বাস্থ্যের দিক থেকেও কতটা ভালো তা কিন্তু আমাদের জানা নেই,তাই যতটুকু সম্ভব নিজের বাসায় তৈরি করে খাওয়াটাই অনেক ভালো। খেতে খুবই ভালো হয়েছিলো।তোমাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো কথা, আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আন্টি।