নিরামিষ ভুনাখিচুড়ি রেসিপি shy-fox 10% | abb-school 5%

শুরুতেই সবাইকে জানাই আমার নমস্কার, আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি

আজ প্রায় ছয় বছর ধরে শনিবারে আমি মাছ,মাংস আমিষ জাতীয় কোন খাবার খাই না এমন কি ছুঁয়েও দেখিনা। এটা একটা অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে কেন জানিনা যদি কখনো ভুল করে আমিষ জাতীয় কোন খাবার খেয়ে ফেলি তারপর যদি মনে পড়ে যে আজ তো শনিবার ছিল তখন থেকেই কেমন জানি শরীরের মধ্যে একটা অস্বস্তিবোধ তৈরি হয় সেজন্য শনিবার আমি খুব সাবধানে থাকি আমিষ জাতীয় খাবার গুলো হাতের নাগালের বাইরে রাখি।আর পারতপক্ষে বাসার বাইরে না যাওয়ার চেষ্টা করি, হয়তো কোথাও ঘুরতে গেলাম ভুলভাল কোন খাবার কিনে খেয়ে ফেললাম এই ভয়েই শনিবার বিশেষ কোন প্রয়োজন ছাড়া একদম বাসার বাইরে যাই না।

গতকাল রাত থেকেই খুব বৃষ্টি হচ্ছে তাই রাতেই মনে মনে প্লান করে রেখেছিল যে শনিবার দুপুরে ভুনাখিচুড়ি আর কয়েক প্রকারের ভাজা করবো প্রতিদিন তো ঝোল তরকারি খাওয়া হয়েই থাকে খিচুড়ির সাথে ভাজা আইটেম গুলোই আমার খুব ভালো লাগে আজ আমি যেভাবে নিরামিষ ভুনাখিচুড়ি রান্না করেছি সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।

উপকরণ	পরিমাণ
চিনিগুড়া চাল	৫০০ গ্রাম
মুগডাল	২৫০ গ্রাম
কাঁচামরিচ	৮-১০ টা
শুকনা মরিচ	২ টা
তেজপাতা	২ টা
আদা কুঁচি	১ চা চামচ
জিরা গুঁড়া	১ চা চামচ
হলুদ গুঁড়া	১ চা চামচ
লবন	স্বাদমতো
গোটা জিরা	হাফ চা চামচ
দারুচিনি	২ টুকরা
সাদা এলাচি	২ টা
সয়াবিন তেল	দেড় টেবিল চামচ
ঘি	১চা চামচ

ধাপ-১

প্রথমে চাল গুলো জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে একটা ছাকনির মধ্যে রেখে দিয়েছি যাতে করে সব জল ঝরে যায়।

ধাপ-২

এবার চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিয়েছি তার মধ্যে মুগডাল গুলো দিয়ে খুব অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে ডাল গুলো ভেজে নিয়েছি। ডাল হালকা বাদামী কালার হলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।

ধাপ-৩

আবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে দেড় টেবিল চামচ সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছি, তেল গরম হলে গোটা জিরা আর গরম মসলা গুলো দিয়ে শুকনা মরিচ তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে কাঁচামরিচ ফালি গুলো দিয়েছি।

ধাপ-৫

কাঁচামরিচ একটু ভাজা হলে ধুয়ে জল ঝরানে চাল আর ধুয়ে রাখা মুগডাল গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর স্বাদমতো লবন হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি অল্প আঁচে কিছুক্ষণ ধরে ভেজে নিয়েছি।

ধাপ-৭

চাল ডাল ভাজা হলে আদা কুঁচি আর জিরাগুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে নিয়েছি। তারপর ভাজা চাল ডাল গুলো প্রেশারকুকারে ঢেলে নিয়েছি।

ধাপ-৮

কড়াইয়ে জল গরম করতে দিয়েছি জল গরম হলে প্রেশারকুকারে জল গুলো দিয়ে দিয়েছি তারপর চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়েছি। জল ফুটে উঠলে একটু কমে আসলে এক চামচ ঘি দিয়ে প্রেশারকুকারের ঢাকনা আটকিয়ে দিয়েছি

ধাপ-৯

প্রেশারকুকারে একটা শিটি উঠলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।তারপর কয়েক মিনিটের জন্য ঢাকনা দেওয়া অবস্থায় রেখে দিয়েছি। কয়েক মিনিট পর ঢাকনা খুলে দিয়েছি একটা বোলের মধ্যে খিচুড়ি তুলে নিয়েছি।

তারপর আলু, বেগুন, কচু পিস পিস করে কেটে লবন হলুদ গুঁড়া মরিচ মেখে ভেজে নিয়েছি।

শেষ ধাপ

এবার একটা প্লেটের মধ্যে খিচুড়ি এবং পাশ দিয়ে ভাজা গুলো, শসা ও মাঝখানে একট কাঁচামরিচ দিয়ে সাজিয়ে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য।

আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে