হিরা ভাবির জন্মদিনের কিছু মুহুর্ত। shy-fox 10 |abb-charity 5%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ, আছি।
আপনারা সকলেই ইতিমধ্যে সকলেই হিরা ভাবির জন্মদিন সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। শুভ ভাই বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে এই বিষয় টি বেশ কয়েকবার তুলে ধরেছেন,তাই সকলেরই জানার কথা।
গত পরশুদিন আমাদের সকলের প্রিয় হিরা ভাবির ২৩ তম জন্মদিন ছিল।ভাবি বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বলছিল যে ওনার জন্মদিনে তেমন কিছু করবে না শুরু ভালো ভালো রান্না করে আমাদের কে আর রিতু ভাবিদের খাওয়াবে কিন্তু কোন গিফট নিবেন না।এগুলো নিয়ে বেশি কয়েকদিন আলোচনা করা হয়েছে। ভাবি আমাকে কিছু দায়িত্ব দিয়েছিলেন,যা যা রান্না হবে সেইসব বাজার গুলো ওনার সাথে গিয়ে করে দিতে আমিও এক কথায় রাজি হয়েছি তার কারন বাজার করার বেশ অভিজ্ঞতা আমার আছে।
ভাবি একা একা বাজার করতে পারে না ওনার আম্মু এসে দুজন একসাথে বাজার করেন।আর আমি সবসময়ই চেষ্টা করি কেউ কোন কথা বললে সেটা রাখার। যাইহোক কথা এটাই ছিল কিন্তু হঠাৎ করেই বিপত্তি ঘটে গেলো, আমি হুট করেই অসুস্থ হয়ে পড়লাম, রান্না করতে করতে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার মতো উপক্রম আমি ঠিক ঐ মুহুর্তে বুঝতে পেরে আস্তে করে নিচে বসে পড়েছিলাম তা না হলে হয়তো অনেক বড় বিপদ হয়ে যেতো। প্রেসার একদম লো হয়ে গেছিলো কিছুতেই দাঁড়াতে পারছিলাম না। পরে দুদিন এভাবেই শুয়ে শুয়ে কাটালাম,তাই ভাবির সাথে আর বাজারে যেতে পারলাম না।
শুভ ভাই খুবই ব্যস্ত মানুষ তারপরও ভাবির সাথে বাজারে গিয়েছিল দুজন মিলে সব বাজার করেন।
শুভ ভাই মনে মনে প্লান করে রেখেছিল যে হিরা ভাবিকে সারপ্রাইজ দিবে সেটা কেউ জানতাম না। আমরা সবাই জানি যে শুধু ভালো ভালো কিছু রান্না হবে আর সবাই মিলে খাওয়া একটু আড্ডা এইসব করে সময় পার করা হবে। কিন্তু পরে দেখি ভাই কেকের অর্ডার আগেই দিয়ে রেখেছিল।
আমার শরীর অনেক খারাপ ছিল তাই হিরা ভাবিকে কোনভাবেই সাহায্য করতে পারিনি, কেক কাটার আগ মুহূর্তে আমি ওনার বাসায় গিয়েছি। গিয়ে দেখি সবকিছুর আয়োজন করা শেষ শুধু আমাদের জন্য অপেক্ষায় আছে আমরা গেলেই কেক কাটা শুরু হবে। সবাই মিলে কেক কাটা হলো।
কেক কাটার পর সবাই খুব মজা করে কেক খাওয়ার হলো, কেকটা খুবই সুস্বাদু ছিল একবার করে খেয়ে আমরা সবাই দ্বিতীয় বার চেয়ে নিয়ে খেয়েছি। তারপর শুরু হলো খাওয়ার পর্ব। পুরো টেবিল খাবার দিয়ে ভর্তি ছিল।ভাবি অনেক ধরনের খাবার তৈরি করেছেন। ভাত,দেশি মুরগির মাংস, ইলিশ মাছ, মুরগির মাংস দিয়ে বুটের ডাল,লাউশাক চচ্চড়ি,শুঁটকি ভর্তা,কালোজিরা ভর্তা, বেগুন ভাজা, ,সালাদ,ফিরনি,মিষ্টি, কোক, আর খাবার পরে একটা মিষ্টি পান এটা শুধু ভাবি আর আমার জন্য।
এত আইটেম দেখেই তো পেট অর্ধে ভরে গেছে। আমি রাতে ভাত খাইনা কিন্তু তারপরও খেতে হবে ভাবির জন্মদিন বলে কথা তাই একটা প্লেট নিয়ে ভাত নিয়ে সব রকমের আইটেম গুলো পাশ দিয়ে তুলে সাজিয়ে নিলাম আর খুব তৃপ্তি সহকারে সবগুলো খাবার খেয়ে নিলাম।ভাবির রান্না সবসময়ই খুব ভালো হয়ে থাকে। আমি সাধারণত সবার বাসায় খাই না কিন্তু হিরা ভাবির হাতের রান্না করা খাবার আমার খুবই ভালো লাগে।
খাবার পর ফিরনি মিষ্টি খেতে দিয়েছিল কিন্তু এতকিছু খাওয়ার পর আর ওগুলো খাওয়া সম্ভব হয়নি, শুধু একটু কোক খেয়ে মিষ্টি পান খেয়েছি। সবমিলিয়ে অসাধারণ একটা সময় কাটিয়েছি। অসুস্থতার কারনে ভাবিকে কোন গিফট দিতে পারিনি,কিন্তু মন থেকে আর্শীবাদ করেছি অনেক। সারাজীবন যেনো এভাবেই সুখ শান্তিতে পরিপূর্ণ থাকে তার জীবন সবসময়ই এই প্রার্থনা করি।
আজ এখানেই শেষ করছি, সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি। ধন্যবাদ সবাইকে।
ওয়াও অসাধারণ কিছু মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বলতে পাবনার বাচ্চাটুকু অনেক কিউট হিরা ভাবির জন্মদিনের কিছু মুহুর্ত। এবং দেখছি আপনি অনেক মজার মজার কিছু খাবারের আইটেম তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দোয়া কামনা করি যেন এই দিনটি আবারও আপনাদের মাঝে বারবার আনন্দ বইয়ে আনে ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া সত্যিই আমরা সবাই মিলে অসাধারণ সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে। খাবারগুলো অনেক লোভনীয় ছিল। আর কেকটা দেখতে অসাধারণ হয়েছে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে হীরা ভাবি জন্মদিনের কিছু মুহূর্ত দেখে ভালই লাগলো। এত সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু কেকটা দেখতে যেমন সুন্দর ছিল খেতেও অনেক সুন্দর ছিল। খাবার গুলো খুবই লোভনীয় ছিল।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখে লোভনীয় মনে হচ্ছে।আর কেকটা দারুন ছিল।হীরা ভাবিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা রইলো। গিফট দেওয়া টা বড় কথা নয় সবার সাথে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং আর্শিবাদ করেছেন সেটা হচ্ছে বড় ব্যাপার। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন, গিফট হলো একটা সৌজন্য মূলক ব্যাপার, কিন্তু ভালোবাসা আশীর্বাদ হলো মন থেকে আমি ওনাকে মন থেকে অনেক ভালোবাসি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দিদি আমাদের ভাগ্য খারাপ তাই কিছু পাচ্ছি না শুভ ভাই আর হিরা ভাবির থেকে।আপনি পাশে আছেন কত ভাগ্যবতী। সব সময় ভাইয়া-ভাবির গল্প শুনতে আমি চেয়ে থাকি আপনার পোস্টের জন্য।আপনার পোস্ট গুলোতে সায়ান বাবু থাকে তো, তাই।খাবার গুলো দারুণ ছিল।আর কেক তো আমার অনেক প্রিয় কিন্তু সব তো আপনি খাচ্ছে,আমরা কি কিছু পাচ্ছি??!!😪😪 আপনি ভাল মত চিকিৎসা করতেছেন আপু?
হ্যাঁ আপু আমরাই সব একা একা খেয়ে নিচ্ছি। শুভ ভাই, হিরা ভাবি আমাদের কে খুব ভালোবাসে তাই সবকিছুতেই আমাদের কে ডাকে আমরা সবাই মিলে খুবই আনন্দ করি।কষ্ট নিয়েন না এবার আপনাদের কে ডাকা হবে হি হি হি,ধন্যবাদ আপু।
আপনিও উপস্থিত ছিলেন? হিরা ভাবির পোস্ট দেখালাম।অনেক মজা হয়েছে তো তাইলে।আমরা সবাই মিস করলাম দাওয়াত টা।খাবারের মেনু তেও অনেক বৈচিত্র ছিল।অনেক ভাল সময় কাটিয়েছেন।ধন্যবাদ কাকিমা সুন্দর মুহুর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য।
যেহেতু জন্মদিন নিয়ে এই পোস্টটা আমি শুভদা এবং হিরা বৌদি এই দুই জনের থেকেই পড়েছি সুতরাং পুরো পোস্ট সম্পর্কে আমি মোটামুটি অবগত। তবে আপনি এবং হিরা বৌদি যত সুন্দর বাজার করতে পারে পারেন শুভদা কিন্তু সেটা পারেন না। জন্মদিন এবং খাওয়া-দাওয়া যে সুন্দর কেটেছিল সেটা আমি আগের পোস্ট পড়েই জানতে পেরেছি।
তবে এই ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ খারাপ লাগলো। যেহেতু আপনার লো প্রেসার সুতরাং একটু সাবধানে থাকার চেষ্টা করবেন। আশাকরি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
হিরা ভাবি শুভ ভাই এর থেকে ভালো বাজার করতে পারেন, কিন্তু ছোট একটা বাচ্চা নিয়ে একা একা বাজার করা খুব কষ্টের হয়ে যায় তাই সাথে কেউ থাকলে সুবিধা হয়। ইদানীং কেন জানি প্রেসার বেশিরভাগ সময় লো থাকছে, জ্বর হওয়ার পর থেকে ঠিকমতো খাবার খেতে পারছি না তাই এই অবস্থা। ধন্যবাদ দাদা।
হীরা আপুকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আশা করি তারা আগামী দিনগুলো খুব ভালো কাটবে। এবং পিছনের সব দুঃখ কষ্ট ভুলে যাবে। খাবারের আইটেমগুলো বেশ লোভনীয় ছিল।তাহলে আমি ও বাজার করতে আপনাকে নিয়ে আসবো।🤪
জ্বি আপু আইটেম গুলো খুবই লোভনীয় ছিল। অবশ্যই যখনি বাজার করতে যাবেন আমাকে সাথে নিয়েন😁😁😁😁😁
বাহ দিদি দেখছি আয়োজন টা মিস করে নি একদম। আমি কোনোটাতেই যেতে পারলাম না। আফসোস থেকেই গেল। তবে শেষ মুহূর্তে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যাওয়াটা সত্যিই খারাপ লাগলো , আমার মনে হয় ভাবিকে নিয়ে একসাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ গুলো করলে আনন্দটা আরো দ্বিগুণ হয়ে যেত দুজনারই। কিন্তু কি আর করার। যাইহোক,, খাবারের আয়োজনটা সত্যিই অতুলনীয় ছিল। শুভ ভাইয়ের কাছ থেকে সবকিছু উসুল করে নেব একবারে 😅। আর দিদি আপনিও বেশি বেশি করে খাওয়া দাওয়া করবেন,, সুগার লো করা যাবে না একদম।
হিরা ভাবির জন্মদিন বলে কথা মিস করা যায় 😃 একবার এসে শুভ ভাই এর বাসায় কয়েকদিন থেকে যাবেন তাহলে সব আফসোস মিটে যাবে। হ্যাঁ দাদা ওনার সাথে কাজের সহযোগিতা করতে পারলে আমার খুব ভালো লাগতো। জ্বর ছিল কয়েকদিন আগে তখন থেকে খাবারে বেশ অরুচি হয়েছে তাই প্রেসার লো হয়ে গেছে এখন একটু খাওয়ার চেষ্টা করছি। ধন্যবাদ দাদা সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।