নিরামিষ ছোলার ডাল।
সবাইকে নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি সুস্থ আছি।
নিরামিষ রান্না আমি বেশিরভাগ সময় করি তার কারন হলো আমি নিরামিষ খাবার খেতে অনেক বেশি পছন্দ করি।আজ ভাবলাম একটু অন্য রকম ভাবে ছোলার ডাল রান্না করি সেজন্যই আলু ছোট ছোট টুকরো করে কেটে দিয়ে রান্না করেছি,খেতে অনেক ভালো লাগলো তাই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
ছোলার ডাল | ২৫০ গ্রাম |
---|---|
আলু | মাঝারি সাইজের ২ টা |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
কাঁচামরিচ বাটা | ১ চা চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
জিরাগুঁড়া | ১ চা চামচ |
হলুদের গুঁড়া | পরিমাণ মতো |
লবণ | স্বাদমতো |
গোটা জিরা | হাফ চা চামচ |
শুকনা মরিচ | ২ টা |
তেজপাতা | ১ টা |
টমেটো | ২ টা |
ধনেপাতা | পরিমাণ মতো |
গরমমসলা | পরিমাণ মতো |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
ধাপ-১
ছোলার ডাল ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে এক ঘন্টার জন্য ভিজিয়ে রেখেছি।
ধাপ-২
ভিজিয়ে রাখা ডাল গুলো প্রেসার কুকারে সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে সিদ্ধ করতে বসিয়ে দিয়েছি।তিন টা সিটি উঠলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩
মাঝারি সাইজের ২ টা আলু খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি তারপর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-৪
চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৫
তেলের মধ্যে গোটা মরিচ দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে জিরা তেজপাতা ফোঁড়ন দিয়েছি।তারপর গরমসলা ও টমেটো গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬
টমেটো গুলো দেওয়ার আদা বাটা ও কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে গুঁড়া মসলা ও লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে মসলা কষিয়ে নিয়েছি।তারপর জিরাগুঁড়া ও সামান্য গরমসলার গুঁড়া দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৮
মসলা গুলো কষানো হলে সিদ্ধ করা ডাল দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে রাখা আলু গুলো দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৯
পরিমাণ মতো কুসুম-গরম জল দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে নিয়ে ধনেপাতা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-১০
ধনেপাতা গুলো দেওয়ার পর নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রেখে দিয়েছি।তারপর কিছুক্ষণ পর চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
শেষ-ধাপ
পরিবেশনের জন্য একটা পাত্রে ডাল ঢেলে নিয়েছি।এখন গরম ভাত,রুটি বা পরোটার সাথে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত মজাদার নিরামিষ ছোলার ডাল রেসিপি টি।
আজ এখানেই শেষ করছি।আবার দেখা হবে অন্য কোনো সময়ে অন্য কোনো নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।🙏🙏
প্রতিদিন মাছ-মাংস খেতে আর ভালো লাগে না। মাঝেমধ্যে এরকম নিরামিষ খাবার হলে খেতে বেশ ভালো লাগে বিশেষ করে এরকম ছোলার ডাল রান্না করে রুটির সঙ্গে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনার আজকে ছোলার ডালের রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। টমেটো দেওয়ার কারণে স্বাদ আরো বেড়ে গিয়েছিল নিশ্চয়ই। বেশ লোভনীয় লাগছে দেখতে।
জ্বি আপু প্রতিদিন মাছ মাংস একদম ভালো লাগে না তাই মাঝে মধ্যেই আমি নিরামিষ খাবার গুলো বেশি খাই।টমেটো দিলে যেকোনো খাবারের স্বাদ বেড়ে যায় এটা ঠিক বলেছেন আপু।ধন্যবাদ।
সব সময় মাংস মাছ খেতে খেতে একদম বোর হয়ে যাই।মাঝেমধ্যে নিরামিষ তরকারি গুলো খেতে বেশ ভালো লাগে। আমারও মাছ মাংস খেতে খুব একটা ভালো লাগে না। আপনার আজকে রেসিপিটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ বৌদি দারুন একটি নিরামিষ রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একদম তাই বেশি মাছ মাংস খেলে বোর লাগে তখন খাবারে অরুচি চলে আসে।আপনাকেও ধন্যবাদ ভাবি সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
আমরা সাধারণত প্রতিবারই খাবারের সময় বেশির ভাগই আমিষ খেয়ে থাকে। এর জন্য কিছু কিছু সময় নিরামিষ খাবারও খাওয়া দরকার রয়েছে। আর নিরামিষ খাবার গুলো খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে ছোলা নিরামিষ ডাল রান্না করেছেন। আপনার রান্নাটি যে খুব সুস্বাদু হয়েছে তা দেখে বোঝা যাচ্ছে সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া আমিষ খাবারের মধ্যে মাঝে মাঝে বিরতি দিয়ে নিরামিষ খাবার খাওয়া উচিত তাতে করে রুচির পরিবর্তন ঘটবে তেমনি শরীরের জন্যও অনেক ভালো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু খুবই সুস্বাদু ও মজাদার সোলার নিরামিষ রেসিপি রান্না করেছেন। ছোলার ডাল সবসময় মাংসের সাথে রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়েছে। কখনো এভাবে আলুর সাথে নিরামিষ তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তাই আপনার রেসিপিটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। খুবই মজাদার একটি রেসিপি তুলে ধরার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মাংস দিয়ে ছোলার ডাল আমিও মাঝে মধ্যে রান্না করি খেতে অনেক ভালো লাগে।নিরামিষ ছোলার ডাল আলু দিয়েও অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোলার ডাল আমার অনেক পছন্দ। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় হয়েছে। আপনার সবগুলো রেসিপিই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকের রেসিপিটি ও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার সব রেসিপি আপনার কাছে অনেক ভালো লাগে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি গঠনমুলক মন্তব্য করার জন্য আপু।
ছোলার ডাল মাছ মাংস দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়েছে। এভাবে নিরামিষ রান্না করে খাওয়া হয়নি। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখব। এভাবে নিরামিষ রান্না করে ভাত অথবা রুটির সাথে খেতে আমার মনে হয় খুবই ভালো লাগবে। আপনার রেসিপি কালার দেখে লোভনীয় লাগছে। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জ্বি আপু এরকম ছোলার ডাল ভাত,রুটি,পরোটা সবকিছুর সাথেই অনেক ভালো লাগে।খেতে সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো আপু।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আলু দিয়ে এভাবে কখনো ছোলার ডাল রান্না করে খাওয়া হয়নি আপু। ছোলার ডাল রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন। রেসিপি কালার টি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু
জ্বি আপু আলু দিয়ে ছোলার ডাল খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোলার ডাল খেতে মাঝে মধ্যে খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে সকালের নাস্তায় রুটি দিয়ে ছোলার ডাল খেতে দারুণ লাগে। এই রেসিপিটা মাঝে মধ্যে বাসায় খাওয়া হয়। রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। যাইহোক রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া ছোলার ডাল দিয়ে রুটি খেতে খুবই ভালো লাগে। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।