কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল |রেসিপি ভিডিও|
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল অন্য ধরণের স্বাদের ডাল, প্রায় সবার ঘরেই ডাল রান্না করা হয়। ডাল আমাদের প্রতিদিনের খাবারের একটি প্রধান পদ। সেই ডালকে একটু অন্যরকম ভাবে খেতে চাইলে মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে দারুণ লাগে। ছোট খাটো ঘরোয়া অনুষ্ঠান, বিয়ে বাড়ি, ঘরে অথিতি আসলে বা বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া ও রান্না হয়ে থাকে। মাছের মাথা দিয়ে আরো অনেক সুস্বাদু খাবার তৈরি করা হয়।আমাদের বাড়িতে যেকোনো অনুষ্ঠান বা আত্মীয় স্বজন আসলে এই বিশেষ পদ টি অবশ্যই রান্না করা হতো এটা একটা ট্রেডিশনাল খাবার বলতে পারেন।মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার তাই প্রায় সময়ই রান্না করে থাকি।আজ কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল রান্না করেছিলাম সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
উপকরণ সমূহঃ
১.মাছের মাথা
২.মুগডাল
৩.পেঁয়াজ কুঁচি
৪.কাঁচামরিচ
৫.আদাবাটা
৬.জিরাগুঁড়া
৭.মরিচের গুঁড়া
৮.লবণ
৯.হলুদগুঁড়া
১০.গোটা জিরা
১১.শুকনা মরিচ
১২.তেজপাতা
১৩.গরমমসলা
১৪.তেল
প্রস্তুত প্রণালীঃ
প্রথমে মুগডাল হালকা করে ভেজে নিয়েছি।তারপর ভালো করে ধুয়ে প্রেসার কুকারে দিয়ে কাঁচা মরিচ লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
এবার মাছের মাথাগুলো লবণ হলুদ দিয়ে মেখে নিয়ে,লাল লাল করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
এবার গোটাজিরা তেজপাতা শুকনা মরিচ ফোঁড়ন দিয়েছি,তারপর পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছি।গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
এবার বাটা মশলাগুলো দিয়ে সামান্য জল দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি। তারপর মাছের মাথাগুলো দিয়ে দিয়েছি।কিছুক্ষণ ধরে কষিয়ে নিয়েছি।
এবার সিদ্ধ করা মুগডাল গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।তারপর পরিমাণ মতো জল দিয়ে ঝোল দিয়েছি।
পরিমাণ মতো জল দেওয়ার পরে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। ঝোল ফুটে উঠলে আরো কিছুক্ষণ জ্বাল দিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।তারপর একটা পাত্রে ঢেলে নিয়েছি।আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেল কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল রেসিপি টি।
পরিবেশন
ধন্যবাদ সবাইকে।
এখন প্রায়ই রান্না করতে হয়। সেজন্য আপনাদের এইরকম রেসিপি দেখলে ভালো লাগে। অনেক কিছু জানতে পারি রান্না সম্পর্কে। মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল এটাকে মুড়িঘন্টও বলা হয়ে থাকে। রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন আপু। এবং ভিডিও আকারে দেওয়ার কারণে আরও ভালো লাগছে আপু। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আমি সবসময়ই চেষ্টা করি নতুন কিছু করার এবং তা সহজসরল ভাবে উপস্থাপন করার।এখন থেকে আরও রেসিপি শেয়ার করতে হবে ভাইয়া আপনার জন্য,যাতে খুব সহজেই রান্না করে খেতে পারেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডালের বেশ সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার ভিডিওগ্রাফি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। চমৎকার ভাবে রান্না করার প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন। আসলে মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডাল রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে মুগ ডাল খেতে বেশ দারুন। ভিডিওগ্রাফি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গরম ভাতের সাথে মুগডাল খেতে খুবই ভালো লাগে।সুন্দর মন্তব্য টি করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
যেভাবে রান্নার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন বৌদি, দেখেই তো খেতে মন চাচ্ছে। ভালোই হয়েছে রেসিপিটি।
ধন্যবাদ ভাবি।
কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল অসম্ভব সুন্দর একটি রেসিপি।খেতে খুব মজাদার রেসিপিটি দেখতেও খুব লোভনীয় হয়েছে। আর এমন ভাবে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন যে কেউ দেখলেই অতি সহজে বানিয়ে নিতে পারবে।ঠিক বলেছেন ডাল আমাদের নিত্যদিনের একটা খাবার এক পদ্ধতিতে রান্না করলে খেতে ভালো লাগে না তাই ভিন্ন ভিন্ন ভাবে রান্না করলে বেশ ভালোই লাগে খেতে।
ঠিক বলেছো এটা আমাদের নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় থাকে।ধন্যবাদ।
বড় মাছের মাথা দিয়ে যেকোনো ধরনের ডাল বা সবজি দিয়ে ঘন্ট করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমিও মাঝে মধ্যে বাসায় বানিয়ে থাকি। কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডালের রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ দারুন একটু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বড় মাছের মাথা দিয়ে সবজি খেতেও দারুণ হয়।লাউ ঘন্ট, মিষ্টিকুমড়া সবকিছুই ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাবি।
আপনার কাছ থেকে এরকম একটি রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। একদম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। একই সাথে এই রেসিপির ভিডিও শেয়ার করার কারণে এই রেসিপি তৈরি করার পদ্ধতি গুলো আরো সহজ হয়ে গিয়েছে।
আমি সবসময়ই ভিডিও দেওয়ার চেষ্টা করি। অনেক সময় সময় সল্পতার কারনে হয়ে উঠেনা।রেসিপি টি আপনার অনেক ভালো লেগেছে জেনে আমারও খুব ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ঠিকই বলেছেন আপু এই খাবারটার প্রচলন আমাদের ওদিকেও আছে । আগে বিয়ের কোন অনুষ্ঠানে গেলে এই খাবারটা দিত । ঢাকাতে আসার পরে এই খাবারের টেস্টটা একেবারে ভুলেই গিয়েছি । যদি নিজে হাতে তৈরি করে তবেই খাওয়া হয় । ঢাকার কোন অনুষ্ঠানে এসব খাবার ওরা কোনদিনও ব্যবহার করেনা । আপনার রেসিপিটি দেখে কিন্তু মনে হচ্ছে টেস্টি হয়েছে ।
জ্বি আপু আমাদের এলাকায় এই খাবার টির খুবই প্রচলন আছে।ঢাকায় তো অনুষ্ঠানে বুটের ডাল টাও দেয় না খেতে গিয়ে বেশ সমস্যাই হয়ে যায়।ধন্যবাদ আপু।
মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল খেতে খুবই মজা লাগে।আজকে আপনি কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগ ডালের রেসিপি তৈরি করেছেন।যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটি মজার রেসিপি আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জ্বি ভাইয়া খেতে সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আজ আপনি আমাদের মাঝে আমার প্রিয় একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন সেটি হচ্ছে,কাতলা মাছের মাথা দিয়ে মুগডাল, এ রেসিপি খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে কিন্তু একটাই সমস্যা গ্যাস্ট্রিকের। একটু বেশি খেলেই পেটে সমস্যা করে তার আগেই আমি গ্যাস্ট্রিকের বড়ি খেয়ে নেই একটু বেশি খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া মুগডাল খেলে অনেকেরই একটু গ্যাসের সমস্যা হয়।আমার শাশুড়ী মাও খেতে পারেন না এই জন্য।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কাতলা মাছের মাথা দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। তবে আমাদের অঞ্চলে এই রেসিপিটির নাম মুড়িঘন্ট বলে। বেশ সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তৈরি করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
হ্যাঁ আপু অনেকেই মুড়িঘণ্ট বলে,কিন্তু আমরা চাল দিয়ে মাছের মাথা দিয়ে রান্না করলে সেটা কে মুড়িঘণ্ট বলি।ধন্যবাদ আপু।