গাছ লাগানো আমার প্রিয় একটি শখ তাই আমার বারান্দায় সবসময়ই কোনো না কোনো গাছ লাগাই নার্সারি দেখে গাছ কেনার লোভ সামলাতে পারলাম না।নার্সারির ভিতরে গেলাম সবাই মিলে আমাদের কে দেখে নার্সারির মালিক বললো আপনারা কি গাছ কিনবেন না শুধু ছবি তুলবেন?আমি বললাম দুটোই করবো।ভাইয়া টা বললো আপু অনেকেই এসে গাছ কেনে না শুধু ছবি তুলে চলে যায় আর সাথে আমার গাছও নষ্ট করে দিয়ে যায় তাই জিজ্ঞেস করলাম আর কি।

বাচ্চারা তো ফুল গাছ দেখে সেই খুশি আমাদেরও খুব ভালো লাগছিলো চারিদিকে এতো গাছ আর প্রায় সব ধরনের ফুল ফুটেছে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিলো।ফুল, ফল নানা ধরনের গাছ ছিলো আমি যেহেতু ফুলের গাছ কিনবো তাই ফুলের গাছের দিক থেকে বেঁছে বেঁছে পছন্দসই গাছ গুলো বাছাই করে নিলাম। সাথে ভাবিরাও কিছু গাছ কিনলো বৃত্তও কয়েকটা গাছ কিনলো।কেনাকাটা শেষ তারপর সবাই মিলে কিছু ফটোগ্রাফি করা হলো তারপর ওখান থেকে বেড়িয়ে টঙ্গের চায়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম।

কিছুদূর হেঁটে এসে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত টঙ্গের চা পেয়ে গেলাম।টঙ্গের চায়ের নামকরণ এই জন্য করা হয়েছে আমাদের এলাকায় বসার জন্য বাঁশ, কাঠ প্রভৃতি দিয়ে তৈরি উঁচু স্থান বা উঁচু আসন তৈরি করে তাকে টঙ্গ বা মাচা বলে। এখানে ঝিলের উপরে বাঁশ দিয়ে টঙ্গ বানিয়ে তার উপরে খরের ঘর বানিয়ে চা খাওয়ার জন্য বসার জায়গা তৈরি করেছে।আমার ভিতরে গিয়ে বসে দুধ চা বাচ্চাদের জন্য চিকেন নুডলস, ঝাল পাস্তা অর্ডার করেছিলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষায় রইলাম তাই সবাই মিলে কিছু ফটোগ্রাফি করা হলো।

অপেক্ষার পর অবশেষে ঝাল পাস্তা আর দুধ চা এসে হাজির হয়ে গেলো পাস্তা বাচ্চারা খাওয়া শুরু করলো।আমি শুধু চা খাবো কিন্তু চায়ের কাপের অবস্থা দেখে খাবো কি খাবো না ভাবতে ভাবেই চা প্রায় ঠান্ডা হয়ে গেছিলো চায়ের কাম গুলো এতটাই অপরিষ্কার লাগছিলো কাপের রং গুলো উঠে কি এক বিশ্রী অবস্থা যা বলার মতো নয়।আমি ওখানকার এক ভাইয়াকে বললাম আপনারা ওয়ান টাইম কাপ রাখবেন তাতে করে সবার জন্য চা খেতে সুবিধা হবে। কি আর করা সবাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও চা খুব কষ্টে খেয়ে নিলাম।খারাপ অবস্থা জন্য খাবারের ছবি তোলা হয়নি।

চিকেন নুডলস এর জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছিলো কিন্তু তবুও তাদের নুডলস আসছিলো না তাই বাচ্চাদের অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করানো হলো যে নুডুলস গুলো পার্সেল করে বাসায় নিয়ে যাই বাসায় গিয়ে আরাম করে খেতে পারবে বাচ্চারাও রাজি হয়ে গেলো তারপর অবশেষে নুডলস হাতে পেয়ে আমরা আর এক মুহুর্ত দেরি না করে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে গেলাম।খবারের মান যেমনই হোক কিন্তু জায়গা টা বেশ ভালো লেগেছিলো জলের উপরে বসে চা খাওয়ার অন্য রকমের একটা ভালো লাগা কাজ করেছিলো।

এই ছিলো আমার আজকের ব্লগ। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি। ধন্যবাদ।

VOTE @bangla.witness as witness OR

SET @rme as your proxy