অনাকাঙ্ক্ষিত দূর্ঘটনা। shy-fox 10%| abb-school 5%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার আদাব,নমস্কার।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমার পরিবারের সকলেই ভালো আছে।
আজ শরীর ও মন কোনটাই ভালো নেই বেশ কয়েকদিন যাবত প্রচন্ড মাথা ব্যথায় ভুগছি কি যে অসহ্য যন্ত্রণা বলে বোঝানো সম্ভব না। ঔষধ খাচ্ছি তাও কেন জানি কিছুতেই কমছে না। ডাক্তারের কাছে গেলে একটাই কথা চশমা ব্যবহার করতে হবে তা না হলে মাথা ব্যথা কমবে না। কিন্তু চশমা পড়তে আমার একদম ভালো লাগেনা চোখে দিলে কেমন জানি অস্বস্তিবোধ হয় কি যে সমস্যার মধ্যে আছি বলার মতো না। দিন দিন শারীরিকভাবে বেশি অসুস্থবোধ করছি। শরীরে যন্ত্রণা কষ্ট হলেও সেটা সহ্য করা যায় কিন্তু কিছু ঘটনা আছে যা মেনে নিতে খুব কষ্ট হয়। মনটা ভীষণ খারাপ, কিছুই ভালো লাগছে না।
আজ মন খারাপের কারনটা হচ্ছে আমার বড় মেয়ে এখানকার গার্লস স্কুলে পড়ে। ওদের স্কুলে বেশ কয়েকদিন ধরে ফুটবল প্রাকটিস করানো হচ্ছে। সামনেই ওদের ফুটবল ম্যাচ আছে।প্রতিদিন টিফিন টাইমে খেলা হয় প্রতিদিনের মতো আজকেও মাঠে প্রাকটিস করানো হচ্ছিলো বেশিরভাগ মেয়েরাই মাঠে উপস্থিত ছিল। আর নিশা নামের মেয়েটি তখন ক্লাসে বসে পড়ছিল, নিশা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।আমার মেয়ের সাথে ওর খুব ভাব। স্কুলে গেলে ওরা ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে একসাথে সময় কাটায়। নিশার ক্লাস রুম টি ছিল ঠিক মাঠের পাশেই, নিশা জানালার ধারে বসে পড়ছিল।
হঠাৎ করেই ফুটবল খেলার সময় ফুটবল টি জানালার কাঁচে গিয়ে লাগে, কাঁচগুলো ভেঙ্গে নিশার সারা শরীরে পড়ে বেশ কয়েক জায়গায় জখম হয় একটি কাঁচের টুকরো নিশার চোখের মধ্যে বিঁধে যাওয়ায় চোখ দিয়ে অঝোরে রক্ত ঝড়তে থাকে। ও বাঁচাও,বাঁচাও বলে চিৎকার করে রুম থেকে বেরিয়ে আসে। টিচাররা ওর চিৎকার শুনে দৌড়ে আসে। ওর এই অবস্থা দেখে সবাই খুব ভয় পেয়ে যায়। তারপর সাথে সাথে টিচাররা ওকে এখানকার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হাসপাতালের ডাক্তাররা কাঁচের টুকরো বের করার সাহস পাচ্ছিলো না।
এতক্ষণে ওর পরিবারের লোকজনও চলে এসেছে
তারপর ওর পরিবারের লোক ও টিচাররা মিলে ওকে নিয়ে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। তারপর ঠিক কি হয়েছে এই বিষয় আর কোন খবর এখন পর্যন্ত পাইনি কারন স্কুল সাথে সাথে ছুটি দেওয়া হয়েছিল আর ব্যক্তিগতভাবে আমরা ওদেরকে চিনিনা স্কুলে মেয়ের সাথে ওর বন্ধুত্ব এ পর্যন্তই।
আগামীকাল স্কুলে গেলে হয়তো-বা নিশার কোন খবর পাওয়া যাবে। ওর জন্য খুবই খারাপ লাগছে কষ্ট হচ্ছে আমার মেয়ের খুব কান্নাকাটি করছে নিশাকে ও ছোট বোনের মতো ভালোবাসে। আমরা শুধু ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি যাতে ওর বড় ধরনের কোন ক্ষতি না হয়। আপনারাও সবাই নিশার জন্য আশীর্বাদ, দোয়া করবেন।
আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কিছু নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় করি।
চোখে একটু কুটো পড়লেই যেন চিৎকার দিতে ইচ্ছে করে । আর সেখানে যদি হয় কাঁচের টুকরা তাহলে কি অসহ্য যন্ত্রনা সহ্য করতে হচ্ছে আল্লাহ জানেন । দোয়া করি এত কষ্টের পরেও যেন চোখটি তাকে না হারাতে হয় । পরবর্তী সংবাদ পেলে অবশ্যই জানাবেন আপু ।
আপনি চশমা ব্যবহার না করতে চাইলে কৃত্তিম লেন্স এর সংজোযন করে দেখতে পারেন । তাহলে প্রব্লেম সলভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে ।
জ্বি ভাইয়া খবর পেলে অবশ্যই জানাবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনার সুন্দর পরামর্শের জন্য। এই বিষয়টি অবশ্যই ভেবে দেখবো ভাইয়া। ধন্যবাদ।
একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের জন্য কান্না ৷ আমাদের উচিত সব সময় সর্তক থাকা ৷ চোখ মানুষের জন্য অনেক মূলবান একটি সম্পদ ৷ নিশা নামক মেয়েটি যেনো সুস্থতা অর্জন করে এবং আগের মতোই যেনো সব থাকে এইটাই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ৷
আসলেই ঘটনা টা খুবই হৃদয় বিদারক। এটাকে দূর্ঘটনা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। যাইহোক সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি মেয়েটা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়।
আসলেই আপু আপনার মেয়ের বান্ধবী নিশার কথা শুনে বেশ খারাপ লাগলো। সাধারণত চোখে সামান্য কিছু পরলেও অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু কাচগুলো সারা শরীরে এবং চোখে এটাতো মেনে নেওয়া একদম অসম্ভব। মেয়েটার জন্য বেশ খারাপ লাগলো। মেয়েটার কোন খবর জানতে পারলে অবশ্যই আমারও আমাদেরকে জানাবেন।