ঢেঁড়স আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি। shy-fox 10%|abb-school 5%
হ্যালো
আজ আপনাদের সামনে আবার হাজির হয়েছি নতুন আরেক টি নতুন রেসিপি নিয়ে। আজ রান্না করেছি ঢেঁড়স আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
উপকরণ |
---|
রুইমাছ |
আলু |
ঢেঁড়স |
পেঁয়াজ |
জিরা গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
লবন |
কাঁচা মরিচ |
সয়াবিন তেল |
ধাপ-১ |
---|
প্রথমে আলু খোসা ছাড়িয়ে লম্বা ফালি ফালি করে কেটে নিয়েছি। ঢেঁড়স মাথা গোড়া কেটে নিয়েছি। পেঁয়াজ গুলো কুঁচি করে কেটে নিয়েছি। রুই মাছের পিস গুলো জল দিয়ে ভালো করে পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়ে। তারপর হালকা কুসুম গরম জল এ একটু লবন দিয়ে ভালো ভাবে ধুয়ে নিয়েছি, কুসুম গরম জল আর লবন দিয়ে শেষে ধুয়ে নিলে মাছের একটা আস্টে গন্ধ থাকে সেটা চলে যায়। তারপর লবন হলুদ মাখিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-২ |
---|
এবার চুলায় একটা কড়াই বসিয়ে দিলাম। কড়াইয়ে মাছ ভাজার জন্য পরিমান মতো তেল দিয়ে গরম করতে দিলাম তেল একটু গরম হয়ে আসলে মাছের পিস গুলো দিলাম। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম একপিঠ ভাজা হলে খুন্তি দিয়ে উল্টিয়ে দিলাম কিছুক্ষণ রেখে দুপাশে ভাজা হয়ে গেলে মাছ গুলো একটা প্লেটে উঠিয়ে নিলাম।
ধাপ-৩ |
---|
মাছ ভাজার তেলের মধ্যে ধুয়ে কেটে রাখা ঢেঁড়স গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিলাম, ভাজা হয়ে গেলে একটা প্লেটে উঠিয়ে নিলাম।
ধাপ-৪ |
---|
কড়াইয়ের তেলের মধ্যে আর একটু তেল দিয়ে পেঁয়াজ কুঁচি গুলো দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে ভেজে নিলাম পেঁয়াজ হালকা বাদামী কালার হয়ে আসলে তার মধ্যে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে লবন হলুদ গুঁড়া দিলাম।
ধাপ-৫ |
---|
লবন হলুদ দেওয়ার পর আলু গুলো বেশকিছু সময় ধরে ভেজে নিলাম ভাজা হলে জিরার গুঁড়া মরিচের গুঁড়া কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে সামান্য পরিমানে জল দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিলাম।
ধাপ-৬ |
---|
মসলা কষানো হলে পরিমান মতো কুসুম-গরম জল দিয়ে ঝোল দিলাম ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছের পিস গুলো দিয়ে দিলাম।কিছুক্ষণ ধরে ঝোল ফুটালাম।
ধাপ-৭ |
---|
ফুটন্ত ঝোলের মধ্যে আগে থেকে ভেজে রাখা ঢেঁড়স গুলো দিয়ে দিলাম। ঢেঁড়স খুব অল্প সময়ের মধ্যে সিদ্ধ হয়ে যায় আর ভাজার সময়ই অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে গেছে তাই খুব বেশি সময় আর ফুটাবো না একটু সময় ফুটানোর পর নামিয়ে নিলাম।
শেষ ধাপ |
---|
এবার পরিবেশনের জন্য একটা বাটি ঢেলে নিলাম সেই সাথে খাওয়ার জন্য রেডি হয়ে গেলো মজাদার ঢেঁড়স আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ঢেঁড়স এবং আলো দিয়ে আপনি অনেক মজাদার একটি রুই মাছের ঝোল রান্নার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।। রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় মনে হয়েছে ধন্যবাদ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। দেখেই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্যেও।
ঢেঁড়স আমার খুবই পছন্দের সবজি। আপনি যেভাবে রেসিপিতে ঢেঁড়সগুলোকে পরিবেশন করেছেন সত্যি দারুণ লাগছে। দেখেই আমার জিভে পানি চলে এসেছে। সম্পূর্ণ রেসিপি টা ভালো ছিল। অনেক সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।।
এই রেসিপিটা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। গ্রাম অঞ্চলে বসবাস করার কারণে এই রেসিপিটির সাথে আমি খুবই ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত। আসলে রুই মাছ দিয়ে এই ধরনের রেসিপি তৈরি করলে তা খেতে অনেক ভালোই লাগে। রেসিপিটি তৈরির প্রত্যেকটি পদ্ধতি আপনিও আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যেে জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রাম অঞ্চলে বসবাসের কারনে অনেক কিছুর সাথে আমরা পরিচিত কিন্তু আমাদের বাচ্চারা শহরকেন্দ্রিক হওয়ায় ওরা অনেক কিছুই জানেনা। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
মাছের মধ্যে রুই মাছ আমার একটু বেশিই পছন্দ। রুই মাছ দিয়ে যেকোনো তরকারি রান্না করলেও বেশ ভালোই লাগে। আপনি আলু এবং ঢেঁড়স দিয়ে রুই মাছ রান্না করেছেন দেখতে ভীষণ ভালো লাগতেছে। নিশ্চয়ই খেতেও ভীষণ ভালো লাগবে। এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার মতো আমারও রুই মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে আর সবজি হিসেবে ঢেঁড়স কম বেশি সকলেরই পছন্দ দুইটা মিলে রান্না করাতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঢেঁড়সের তরকারি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। ঢেঁড়স ভাজি করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। কালারটা দেখে বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। জ্বি আপু দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছি আপনি ঠিকই বলেছেন। আমার মেয়েরাও ঢেঁড়স খেতে অনেক পছন্দ করে। আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ঢেঁড়স আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু। অনেক মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপিগুলো যতই দেখি ততই ভালো লাগে। আপনি একজন সেরা রাধুনী এটা বুঝতেই পারছি। লোভনীয় রেসিপি তৈরির পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সেরা রাধুনী কি না তা আমি জানিনা, আমি যেভাবে রান্না করি সেটাই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তবে সবসময় আমার বাংলা ব্লগ পরিবার কে সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করবো। দোয়া করবেন।
ঢেঁড়োস সাধারণত আমার ভাজি করে খেতে ভালো লাগে। আপনি আজ ঢেঁড়স দিয়ে রুই মাছ রান্না করেছেন। যা দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। তবে এভাবে কখনো মাছের সাথে ঢেঁড়স দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়নি। আপনার পরিবেশনটা অনেক লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু। জ্বি আপু আমরা সাধারনত সবসময় ঢেঁড়স ভাজি করেই খাই আমি মাঝে মাঝে একটু ভিন্ন ভাবে রান্না করি বাচ্চারা ঢেঁড়স খেতে অনেক পছন্দ করে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
ঢেঁড়স আলু দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি খুবই চমৎকার হয়েছে এরকম রেসিপি দেখলে অন্য কোন কিছু আর খাওয়া লাগে না। আপনার রান্নার কালার হয়েছে যথেষ্ট ভালো হয়েছে। খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন অনেক ভালো লাগলো দেখে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আমার সবচেয়ে প্রিয় একটি রেসিপি আপনি আজকে শেয়ার করে দেখিয়েছেন আমাদের মাঝে। ঢেঁড়স আমার অতি প্রিয় একটি সবজি। আর এই সবজিটা যখন মাছের সাথে রান্না করা হয় তখন তো রেসিপির স্বাদ হয়ে ওঠে অন্যরকম।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আমার বাচ্চারাও ঢেঁড়স খেতে অনেক পছন্দ করে।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।