কলমিশাক এর ঘন্ট
হ্যালো বন্ধুরা
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি।
আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি আজ একটি রেসিপি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে এসেছি। আশাকরি আমার আজকের রেসিপি টি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।চলুন তাহলে রেসিপি টি জেনে নেওয়া যাক।
কলমিশাক খুবই পরিচিত একটি শাক এই শাকের মধ্যে রয়েছে নানারকম পুষ্টিগুণ।কলমি শাকের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কলমি শাকের এই গুণাবলীর জন্য এটি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। রক্তাল্পতা, লিভারের সমস্যা, ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধে কলমি শাক সাহায্য করে। তাছাড়া এর ভিটামিন চোখ ভাল রাখতে সাহায্য করে।
উপকরণ |
---|
কলমিশাক |
আলু |
বেগুন |
পেঁয়াজ |
রসুন |
কাঁচামরিচ |
জিরাগুঁড়া |
ধনেগুঁড়া |
মরিচের গুঁড়া |
লবণ |
হলুদগুঁড়া |
গোটা জিরা |
প্রথম ধাপ
প্রথমে আলু বেগুন গুলো ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।তারপর কলমি শাকগুলো বেছে ভালো করে ধুয়ে কুঁচিকুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
কড়াইয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গোটা জিরা
ফোঁড়ন দিয়েছি।তারপর পেঁয়াজ রসুন কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
এবার কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে মেরে ছেড়ে কিছুক্ষণ ধরে ভেজে নিয়েছি।তারপর কেটে রাখা বেগুন গুলো দিয়ে লবণ হলুদের গুঁড়া,গুঁড়া মসলাগুলো দিয়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
গুঁড়া মশলাগুলো দেওয়ার পর আলু বেগুনগুলো খুব ভালো করে ভেজে নিয়েছি।তারপর কেটে রাখা শাকগুলো দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ
এবার একটা ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিয়েছি।ঢাকনা দেওয়ার পর শাক থেকে বেশ কিছুটা জল বেরিয়ে আসছিলো সেই জলে সবগুলো ভালো করে সিদ্ধ করে নিয়েছি।কিছুক্ষণ পরপর ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে শাকগুলো রান্না করে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ
জল শুকিয়ে গেলে সবগুলো খুব ভালোভাবে নেড়েচেড়ে রান্না করে নিয়েছি।তারপর চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
পরিবেশন
চুলা থেকে নামানোর পর একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি,আর এখন পরিবেশের জন্য তৈরি কলমিশাকের ঘন্ট রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশা করি আপনাদের সকলের ভালো লাগবে।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
ওয়াও আপু আপনি আজ আমাদের মাঝে কলমি শাকের ঘন্টা তৈরি করেছেন। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে প্রতিটি ধাপ অসাধারণ ভাবে আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন পর্দায়ক্রমে। প্রতিনিয়ত আপনার কোয়ালিটি সম্পন্ন পোস্ট দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগছে আমার ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
অনেকদিন পর মনে হচ্ছে আপনার পোস্টটি দেখতেছি।কলমি শাক আমাদের দেহের জন্য খুবই পুষ্টিকর। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আজকে আপনি বেশ দারুণভাবে কলমি শাকের ঘন্ট করেছেন।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণগুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
জ্বি ভাইয়া অনেক দিন পর কাজে ফিরেছি।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আপনার কলমি শাকের ঘন্টটি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হবে।
ধাপে ধাপে কলমি শাকের ঘন্ট রেসিপি এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ দিদি।
জ্বি আপু খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিলো।ধন্যবাদ আপু।
আপনি আজকে আমার একটি প্রিয় শাকের ঘন্ট রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে আমার কাছে কলমি শাক অনেক বেশি ভালো লাগে। সবুজ শাক সবজি আমার অনেক বেশি প্রিয়। আপনি খুবই সুন্দর করে কলমি শাকের ঘন্ট রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনি বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে এতো সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
কলমিশাক আমারও খুবই প্রিয় একটি শাক।আপনারও পছন্দের শাক জেনে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কলমিশাক ভাজি খেতে ভীষণ পছন্দ করি। আপনি দেখছি অনেক সুন্দর করে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। যদিও কখনো এভাবে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে ভীষণ মজা হয়েছিলো। ভালো লাগলো আপনার পোস্ট দেখে ধন্যবাদ আপনাকে।
কলমিশাক আমিও সবসময় ভাজি করে খাই।কিন্তু মনে হলো একটু ভিন্ন রকমভাবে রান্না করি। খেতে দারুণ ছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেকদিন পর কলমি শাকের ঘণ্টা রেসিপি দেখতে পেলাম। আসলে অনেকদিন হলে কলমি শাক খাওয়া হয় না। যার কারণে আজকে আপনার এই রেসিপিটা দেখেই যেন খেতে ইচ্ছা করছে। গরম ভাতের সাথে খেতে বেশি মজা লাগবে।
জ্বি ভাইয়া গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই চমৎকার লেগেছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কলমি শাক ভাজি আমার খুব পছন্দের। তবে অনেক সময় ডাল দিয়ে রান্না করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। কলমি শাক এর ঘন্ট কখন খাওয়া হয় নি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে সুন্দর করে রেসিপি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ডাল দিয়ে কলমিশাক কখনো খাওয়া হয়নি।তবে এরকম করে খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
কলমি শাক আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। তবে আমি কলমি শাকের ঘন্ট খাইনি আমার বাসায় কলমি শাক ভাজি করা হয়েছিল। আপনার রেসিপি টি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করছেন।আর রেসিপির কালার টা দেখে বুঝা যাচ্ছে রান্না টি বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া রেসিপি টি দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও তেমনি সুস্বাদু হয়েছিলো।ধন্যবাদ।
Steem/SBD doller sell korle inbox. 01700817832 ডলার বিক্রি করলে যোগাযোগ করেন ধন্যবাদ.💖
Whatapp 01700817832
সত্যি কলমিশাকে পুষ্টিতে ভরা।কলমি শাক খেলতে ও ভীষণ সুস্বাদু। আমার তো ভীষণ পছন্দের এই শাক।আপনার কলমি শাকের ঘন্ট টি ভীষণ চমৎকার ও লোভনীয় হয়েছে। রন্ধন প্রনালী চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
কলমিশাক তো আমার খুবই পছন্দের শাক।সাধারণত সবসময়ই ভাজি করে খাওয়া হয় তাই আজ একটু ভিন্ন রকমভাবে রান্না করে খেয়েছি,খেতে খুবই ভালো লেগেছিলো।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ তোমাকে।