প্রতিবেশীর ভালোবাসা।🥰❤️
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশর গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আবারও নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি যা আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
মানুষ সামাজিক জীব আর তাই মানুষ মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বাস করতে পছন্দ করে।সমাজে ভালো থাকতে হলে আমাদের উচিৎ প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যাবহার করা ।প্রতিবেশী হলো আমাদের সুখদুঃখের সঙ্গী।বিপদআপদে সবার আগে প্রতিবেশীরা আমাদের সাহায্য করে থাকেন।কথায় আছে নিজের একজন প্রতিবেশীর ক্ষতি করার অর্থ নিজের বিপদের দিনে একজন সাহায্যকারী নষ্ট করা।আমি যতদিন ধরে বাইরে আছি ততদিন ধরে আমার আশেপাশের সবার সাথে মিলেমিশে চলতে পছন্দ করি আর এরজন্য সবার কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি এবং এখনো পাই।
বৃত্ত আমার মেয়ের টিচার এটা অনেকেই জানেন হয়তোবা।সেইসাথে ওরা আমাদের প্রতিবেশীও বটে কারন আমরা পাশাপাশি বসবাস করি দীর্ঘদিন যাবত।বৃত্ত নিয়মিত আমার বাসায় যাতায়াতের কারনে ওর সাথে আমাদের খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছে।তাই বাসায় ভালো মন্দ কোনোকিছু রান্না হলে ওকে খাওয়াতে না পারলে কেমন জানি লাগে।যদিওবা সবসময়ই হয়ে উঠে না তবে মাঝে মধ্যে খাওয়ানোর চেষ্টা করি।বৃত্তর মাও ঠিক তাই তাদের বাসায় ভালো মন্দ কিছু হলে আমার মেয়েদের জন্য পাঠান।বৃত্তর মা দিদি নিরামিষভোজী মানুষ তাই তিনি মাছ মাংস ডিম পেঁয়াজ রসুন এসব কিচ্ছু খান না।সব সময় নিরামিষ খাবার খাওয়ার জন্য নিরামিষ রান্না গুলো বৃত্তর মা খুবই ভালো রান্না করতে পারেন।দিদির রান্না খেতে আমরা খুবই পছন্দ করি বিশেষ করে আমার মেয়েরা খুবই পছন্দ করে।তার রান্না যে একবার খাবে সে সেই খাবারের প্রেমে পড়ে যাবে এটা নিশ্চিত।
শীতকাল মানেই পিঠা খাওয়ার দিন,কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো আমি সেরকম পিঠা বানাতে পারি না।তাই খুব একটা পিঠা খাওয়া হয় না।সেদিন হঠাৎ করেই দেখি বৃত্ত একটা শপিং ব্যাগ হাতে নিয়ে হাজির তারপর খুলে দেখি ওখানে দুই রকমের পিঠা।একটা মালপোয়া আরেকটা ঝাল পিঠা।পিঠা দেখেই তো মেয়েরা সেই খুশি এবং সাথে সাথে খাওয়া শুরু করে দিলো,আমিও ওদের সাথে খাওয়া শুরু করলাম। তেলে ভাজা মালপোয়া তো আমরা সকলেই কমবেশি জানি খেতে কেমন হয়!কিন্তু ঝাল পিঠা টা আমার কাছে একেবারে নতুন লেগেছে। নিরামিষ আলুর তরকারি দিয়ে ভিতরে পুর করে তেলে ভাজা মচমচে ঝাল পিঠা খেতে যে কি দারুণ ছিলো তা বলে বোঝাতে পারবো না।এর স্বাদ মাংসের পিঠার চেয়েও হাজার গুণ বেশি মনে হয়েছে আমার কাছে।
পিঠা খাওয়ার কিছুক্ষণ পরে দেখি আমাদের তিন তলার ভাবী দুই প্লেটের মধ্যে দুই রকমের পিঠা নিয়ে হাজির।বাসায় বানানো ডিম পিঠা আর বাজার থেকে কিনে আনা ভাঁপাপিঠা।ওনার নাকি একা একা খেতে ভালো লাগছিলো না তাই আমার বাসায় এসেছেন যাতে সবাই মিলে পিঠা খেতে পারি এবং সাথে কিছুটা আড্ডা চলে।মেয়ের পরীক্ষার জন্য খুব একটা সময় দিতে পারিনি শুধু পিঠা খাওয়া পর্যন্ত ছিলো তারপর ভাবী চলে গেলেন।আশেপাশের সবাই মিলে আনন্দের সহিত বসবাস করার মধ্যে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়।কিন্তু নিজের সংসার সন্তান এগুলো দেখতে গিয়ে অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও মানুষের সাথে দুদণ্ড বসে শান্তিতে কথা বলতে পারি না।কেউ বোঝে কেউ বোঝে না মনে করেন আমি আর আগের মতো নেই কিন্তু আমি যে পরিস্থিতির স্বীকার হয়েছি এটা বোঝাতে পারি না।
সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করে আজ এখানেই শেষ করছি।
ভালো মন্দ নিয়েই বেঁচে থাকুক আমাদের পারিপার্শ্বিক সম্পর্ক গুলো এইটাই কাম্য।
আপনি তো দেখছি বেশ ভালোই পিঠা উপহার হিসেবে পেয়েছেন।আসলে দিদি আমাদের সবারই উচিত প্রতিবেশির সাথে মিলে মিশে থাকা। তবে এটা সত্যি অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও সময় দেওয়া সম্ভব হয় না।। তবে পিঠা গুলো কিন্তু অনেক মজার ছিল। ধন্যবাদ দিদি আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু অনেক মজাদার পিঠা উপহার হিসেবে পেয়ে খুবই ভালো লেগেছিলো,আর তাই সেই অনুভূতি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।ধন্যবাদ আপু।
আশেপাশের সবাই মিলে আনন্দের সহিত বসবাস করার মধ্যে অনেক তৃপ্তি পাওয়া যায়। আমাদের সকলেরই উচিত প্রতিবেশীদের সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং সুখ-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু। সবাই মিলেমিশে থাকার মধ্যে অনেক শান্তি বিরাজ করে। ভালোবাসা নিবেন আপু 🧡
সত্যিই তাই সবাই মিলেমিশে থাকার মধ্যে অনেক অনেক আনন্দ ও তৃপ্তি পাওয়া যায়।সবসময়ই চেষ্টা আশেপাশের মানুষ কে নিয়ে ভালো থাকার।অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইলো।❤️❤️
দিদি আপনাকে যতটুকু জানি আপনি বরাবরই একজন ভালো মনের মানুষ। সেই সাথে বেশ মিশুক। তাই মনে হয় আপনার প্রতিবেশীরাও আপনাকে এত ভালোবাসে। প্রতিবেশীর ভালোবাসার পিঠা খেয়ে আপনি আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে উৎফুল্লা মন নিয়ে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। দোয়া করি আপনার প্রতিবেশী যেন থাকে দুধে ভাতে।
আমি কতটা ভালো তা জানি না তবে সবার অনেক ভালোবাসা পাই এটাতে কোনো সন্দেহ নাই।মানুষের ভারোবাসায় আমি সবসময়ই পরিপূর্ণ।ধন্যবাদ আপু।❤️
বেশ ভালইতো গিয়েছে আপনার দিন। একেতো বৃত্ত আপনার জন্য দুই রকমের পিঠা নিয়ে এসেছে তার উপরে আবার পাশের বাসায় ভাবিও একই দিনে পিঠা নিয়ে হাজির। ঝাল পিঠাটা খেতে আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। বিশেষ করে মাংস দিয়ে বানালে তো স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। বেশ ভালই হয়েছে আপনার জন্য পিঠা না বানাতে পারলে পিঠা খাওয়ার শখ মিটে গিয়েছে।
ঠিক বলেছেন আপু নিজে বানাতে না পারলেও মাঝে মাঝে পিঠা খেতে পারি প্রতিবেশীর দৌলতে।ঝাল পিঠা আমারও খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
সবার আগে প্রতিবেশী দরকার।বিশেষ করে যারা একাকী বাইরে থাকে তাদের জন্য তো প্রতিবেশী অনেক বেশি প্রয়োজন কারণ বিপদে আপদে নিজের লোকের থেকে প্রতিবেশীর প্রয়োজন সবার আগে।বৃত্ত খুব ভালো ছেলে ঐশী অর্থীকে ছোট বোনের স্নেহ ভালোবাসা দেয়।বৃত্তের মা তো দেখছি ভীষণ লোভনীয় সব পিঠাপুলি পাঠিয়েছে। ফটোগ্রাফি দেখে আলুর দম দিয়ে ঝাল পিঠা গুলো খেতে মন চাচ্ছে। আর এক ভাবির ভাপা পিঠা গুলোও লোভনীয়। ধন্যবাদ সুন্দর পিঠার ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য এবং পিঠা পাওয়ার আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য।
ঠিক বলেছো বৃত্ত এদের দুই বোন কে একদম নিজের বোনের মতো মনে করে।বৃত্ত কে বলবো এবার তুমি আসলে যেনো এরকম ঝাল পিঠা তোমাকে খাওয়ায়।তোমাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপু আসলে আমাদের আশেপাশের মানুষগুলো আমাদের অনেক উপকারী। আসলে প্রতিবেশীরা নিজেদের আত্মীয়-স্বজনের থেকেও অনেক বেশি করে থাকে। একজন আরেকজনকে প্রতিটা বিপদ-আপদে সাহায্য করে। এমনকি একজন ভালো কিছু রান্না করলে আর একজনকে দেয়। এই বিষয়গুলো সত্যিই ভালো লাগে। তবে আপনাকে দেখছি দুইজনেই একদিনে পিঠা খাওয়ালো। আপনি কিন্তু পিঠা তৈরি করতে না পারলেও একদিনে অনেক রকমের পিঠা খেতে পেরেছেন
বিষয়টা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে।
জ্বি আপু প্রতিবেশীরা আত্মীয়র চেয়েও অনেক বেশিকিছু হয়। তার কারন বিপদের সময় আত্মীয় স্বজন আসার আগেই প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে সবার আগে।না বানিয়েও পিঠা খেতে পারার মজাই আলাদা।ধন্যবাদ আপু।
তার মন-মানসিকতা অনেক ভালো এ জন্যই হয়তো সবাই একসাথে খাওয়ার জন্য চলে এসেছি। তাছাড়া বৃত্ত দাদার সাথে আপনার পরিবারের যে একটা সুসম্পর্ক আছে সেটা কমিউনিটির পোস্ট গুলো দেখলে বোঝা যায়।
হ্যাঁ ভাই এখানকার সবার মনমানসিকতা অনেক ভালো তাই আমরা সবাই মিলেমিশে থাকি।বৃত্ত আমাদের পরিবারের সদস্যের মতো হয়ে গেছে।
প্রতিবেশির এমন ভালোবাসা পেলে বেশ ভালো লাগে। কিন্তু ঢাকা শহরে এমন ভালোবাসা বেশ কঠিন। কেননা এখানে সবাই এতো ব্যস্ত যে কেউ কারও বাসায় যাওয়ার সুযোগই হয়ে উঠে না। কেবল কোন অনুষ্ঠান ছাড়া। সব সময় ভালো থাকুন প্রতিবেশিদের ভালবাসায় এ কামন করি।
ঢাকা শহর তো যান্ত্রিক শহর তাই ওখানকার মানুষের মনমানসিকতাও কিছুটা যান্ত্রিক টাইপের আপু।আমি দীর্ঘ ১৫ বছর ঢাকায় থেকেছি তাই জানি কিরকম হয় প্রতিবেশীরা।সবার ভালোবাসা পেলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু।
আপনার কথা একেবারে সত্যিই আপু এরকম যদি প্রতিবেশী থাকে তাহলে বেশ ভালই হয়। কখনো যদি নিজের প্রয়োজন কিছু ঘরে পরিয়ে যায় তাহলে উনাদের কাছ থেকে নিয়ে আসা যায়। বৃত্ত আপনার স্কুলের টিচার আবার আপনাদের প্রতিবেশী ও জেনে ভালো লাগলো। কারন আপনার মেয়ের পড়াশোনার খেয়ালটাও ভালোভাবে রাখতে পারবে। তাছাড়া এরকম প্রতিবেশী কম বেশ সবারই বাসার পাশে থাকে। কিছু কিছু প্রতিবেশী আছে একেবারে নিজেদের ঘরের মতো হয়ে যায়। যখন যে কেউ কিছু নিয়ে এসে একসাথে বসে খাওয়া শুরু করে। যেমন আপনার প্রতিবেশী একা খেতে ভালো লাগতেছিল না দেখে আপনাদের সাথে এসেছিল একসাথে খাওয়ার জন্য। তাছাড়া বৃত্তের মাও আপনাদের জন্য বেশ ভালো পিঠা পাঠিয়েছে। এত মজা করে খেলেন আবার সেই সুন্দর মুহূর্ত টাও আমাদের মাঝে শেয়ার করলে দেখার ভালো লাগলো।