আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি shy-fox 10% |abb-school 5%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার আদাব।আশা করি আপনারা সকলেই ভাল আছেন সুস্থ আছেন।ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমি এবং পরিবারের সকলেই ভালো আছি সুস্থ আছি।
খারাপ ছিল আজকের দিনটি একেতো বিদ্যুতের পরিস্থিতি অনেক খারাপ তার উপরে আজকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাসায় কোন জল ছিল না। গতকাল হঠাৎ করেই আমাদের কেয়ারটেকার আজিজুল হাকিম ভাই অনেক অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য বগুড়ায় নিয়ে যায়। আমাদের বাড়িওয়ালা ঢাকায় থাকেন তাই বিল্ডিং এর পুরো দায়িত্ব আজিজুল হাকিম ভাই পালন করেন উনি একদিন না থাকলে আমরা সবাই অসহায়বোধ করি সেটা আজকে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছি। পানি ছাড়ার সুইস কোথায় আমরা কোন ভাড়াটিয়া বলতে পারিনা আসলে কখনো প্রয়োজন পড়েনি তাই আর দেখাও হয়নি। আজিজুল হাকিম ভাই দুপুরে বাসায় আসে। অবশেষে একটু হলেও স্বস্তিবোধ ফিরে পেলাম কিন্তু বিদ্যুত বার বার চলে যাওয়ার কারনে জল পেতে পেতে প্রায় চার টা বেজে গেছে।
পেট তো আর সমস্যা মানবে না তাই কি আর করা ফিল্টারের জল দিয়েই অল্প সল্প রান্না করেছি। আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল রান্না করেছি সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
রুই মাছ | ৫ পিস |
গোল আলু | ৮ টা |
বড় বেগুন | ১ টা |
পেঁয়াজ | ৪ টা |
কাঁচামরিচ | ৪-৫ টা |
আদা বাঁটা | ২ চা চামচ |
জিরার গুঁড়া | দেড় চা চামচ |
পেঁয়াজ বাঁটা | ১ টেবিল চামচ |
লাল মরিচের গুঁড়া | দেড় চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | পরিমান মতো |
লবন | স্বাদমতো |
সয়াবিন তেল | ২ টেবিল চামচ |
প্রথম ধাপ |
---|
আলু পেঁয়াজ গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি তারপর আলু বেগুন গুলো পিস পিস করে কেটে ধুয়ে নিয়েছ। পেঁয়াজ গুলো কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি, মসলা গুলো একটা ছোট প্লেটের মধ্যে সাজিয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ |
---|
রুই মাছের পিস গুলো লবণ দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।পরিমাণ মত লবণ হলুদ গুঁড়া দিয়ে মাছ গুলো মাখিয়ে নিয়েছ।
তৃতীয় ধাপ |
---|
চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়ে কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়ে গরম করতে দিয়েছে কড়াই গরম হলে মাছের পিস গুলো আস্তে আস্তে ছেড়ে দিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ |
---|
মাছগুলো একপাশে ভাজা হলে উল্টিয়ে দিয়েছি কিছুক্ষন পরে দুপাশে ভাজা হলে মাছ গুলো নামিয়ে নিয়েছি।
পঞ্চম ধাপ |
---|
মাছ ভাজা তুলে নেওয়ার পরে ওই তেলের মধ্যে বেগুনগুলো ভাজার জন্য দিয়ে দিয়েছি দুপাশে ভালো করে বেগুন গুলো ভেজে নিয়ে তারপর তেল থেকে তুলে নিয়েছি।
ষষ্ঠ ধাপ |
---|
বেগুন গুলো তুলে নিয়ে কড়াইয়ের তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে হালকা বাদামী করে ভেজে নিয়েছি তারপর কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিয়েছি।
সপ্তম ধাপ |
---|
আলুর মধ্যে লবন হলুদ গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে আলু গুলো অল্প আঁচে ভেজে নিয়েছি।
অষ্টম ধাপ |
---|
এবার সব মসলা গুলো একটা বাটিতে নিয়ে সামান্য জল দিয়ে মিশিয়ে নিয়েছি।
নবম ধাপ |
---|
ভাজা আলুর মধ্যে মেশানো মসলা গুলো দিয়ে আরও একটু জল দিয়ে অনেক সময় ধরে মসলা গুলো কষিয়ে নিয়েছি।
দশম ধাপ |
---|
মসলা কষানো হলে পরিমান মতো জল দিয়ে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা বেগুন আর মাছ ভাজা গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ একাদশ |
---|
মাছ দেওয়ার পর গোটা কাঁচা মরিচ গুলো দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিয়েছি ঝোল ভালো ভাবে ফুটিয়ে একটু কমে আসলে চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
শেষ ধাপ |
---|
চুলা থেকে নামিয়ে একটা বোলের মধ্যে মাছের ঝোল ঢেলে নিয়েছি। এবার গরম ভাতের সাথে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল।
সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপিটি খুব চমৎকারভাবে রান্না করেছেন। রান্নার কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা মজা হয়েছে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগে এরকম রেসিপি খেতে মাংসের প্রয়োজন হয় না।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। জ্বি আপু কালার সুন্দর হয়েছে আর খেতেও অনেক ভালো হয়েছিল। আমারও তাই মনে হয় মাংসের চেয়ে এরকম মাছের ঝোল হলে বেশি ভাত খাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপু।
আপু রুই মাছের ঝোল অসাধারণ হয়েছে। দেখে তো লোভ লেগে গেল।এমন একটি মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। ধন্যবাদ আপু।
রুই মাছ আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই মাছে কাটা কম থাকাতে ছোট বড় সবাই খুব পছন্দ করি। আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি শীতকালে খেতে অসাধারণ লাগে। জানিনা এই সময় কেমন লাগবে। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে সুস্বাদুই হবে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। রুই মাছ মোটামুটি সকলেই খুব পছন্দ করে কাটা কম থাকার কারনে ছোট বাচ্চাদের জন্য এটি বেশি প্রিয় মাছ।
আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে আপু। আপনার শেয়ার করা রেসিপিগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আজকে আপনি খুবই লোভনীয় একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন। রুই মাছ আমার অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। খেতে ইচ্ছে চলে আসেন আমাদের বাসায় 🙂 ধন্যবাদ আপু।
এসব জিনিস একটু নজরে রাখা ভালো। একজনের অসুস্থতার জন্য আপনারা এতোগুলো মানুষ পানি বঞ্চিত। যাইহোক তবে মাছের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন। অনেক সুন্দর পরিবেশন করেছেন। যাইহোক ভালো ছিল আপনার রেসিপি টা ধন্যবাদ।।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন এসব জিনিস জেনে রাখা ভালো। আসলে হয়েছি কি আজ আড়াই বছর ধরে আমরা এই বাসায় আছি হাকিম ভাইও তাই এত দীর্ঘ সময়ে হাকিম ভাই কোনদিন এরকম অসুস্থ হয়নি বা একদিনের জন্য উনি কখনো ছুটি নেননি তাই কখনো প্রয়োজন পড়েনি। তবে এখন থেকে সবকিছু জেনে রাখতে হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
রুই মাছ মূলত আলু, বেগুন দিয়ে রান্না করলেই খেতে ভালো লাগে। আমার তো বেগুনের তরকারি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া রুই মাছ দিয়ে যে কোন তরকারি রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আপনার রান্নাটা দেখেই মনে হচ্ছে ভালো হয়েছে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আলু বেগুন দিয়ে যেকোন তরকারি আমারও খেতে খুব ভালো লাগে। রুই মাছের ঝোল সত্যি খেতে অনেক ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।
আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে। খুব সুন্দর ভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপনা করে শেয়ার করেছেন। দেখে তো খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া খেতে অনেক ভালো হয়েছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ কয়েকদিন ধরে আপু বিদ্যুতের খুব সমস্যা করছে আসলে । আসলে আপনাদের বাসার হাকিম ভাই খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করেন , উনার অসুস্থতায় আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে উনাকে কতটা দরকার হয় আপনাদের । যাইহোক আপনি মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু । রুই মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন হাকিম ভাই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন, উনি মানুষ হিসেবে খুবই ভালো সবার ভালো মন্দ সব বিষয় ওনার সবসময় নজর থাকে উনি আছে বলেই আমরা সবাই খুব নিশ্চিতে বসবাস করছি।
আসলেই আপু ঠিক বলেছেন। প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ এর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আসলে প্রিয় মানুষ গুলো অসুস্থ হয়ে গেলে আসলে অনেক খারাপ লাগে।হাকিম ভাই এর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইলো। আপনার রেসিপি টা অনেক সুন্দর ছিল সাথে উপস্থাপনা টা দারুন ছিল। সবমিলিয়ে অসাধারণ। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া আমাদের এলাকায় তো দিনের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকেনা খুবই খারাপ অবস্থা। আর আপনি ঠিকই বলেছেন প্রিয় মানুষ গুলো অসুস্থ হলে অনেক খারাপ লাগে। হাকিম ভাই সকলের খুব প্রিয় ওনাকে আমরা কেউ কেয়ারটেকার হিসেবে দেখিনা ওনাকে আমরা ভাই এর মতো দেখি এবং অনেক ভালোবাসি। হাকিম ভাই অনেক ভালো একজন মানুষ। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আলু বেগুন দিয়ে রুই মাছের রেসিপি দেখি অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।