মিষ্টির দোকান। shy-fox 10%
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি,সুস্থ আছি।
বাঙালির খাদ্যসম্ভারে মিষ্টি একটি অতি জনপ্রিয় উপকরণ। বাঙালির কোনো উপলক্ষ-অনুষ্ঠানই মিষ্টি ছাড়া পূর্ণতা পায় না।বাঙালির উৎসব-আনন্দের মুহূর্ত বা উদযাপনের উপলক্ষ আরও বর্ণিল হয়ে ওঠে মিষ্টিমুখের মাধ্যমে। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ বিশেষ মিষ্টির ক্ষেত্রে বিশেষ পারদর্শিতা অর্জন করেছেন সেখানকার কারিগর বা ময়রারা। তাদের নিষ্ঠা ও সৃজনশীলতায় ঐতিহ্যবাহী হয়ে উঠেছে সেসব মিষ্টি।মিষ্টি খেতে কে না ভালবাসেন! তবে অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে ইদানীং মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন। তবুও খাওয়ার শেষে মাঝে মধ্যে একটা মিষ্টি বা ওই জাতীয় কিছু খান অনেকেই।কিন্তু আমাদের সেরকম কোনো অভ্যাস নেই বললেই চলে মাঝে মধ্যে শখ করে দুই একটা মিষ্টি খাওয়া হয়ে থাকে।আমার বাচ্চারা মিষ্টিজাতীয় খাবার খুব একটা পছন্দ না করলেও একেবারে যে অপছন্দ করে তেমনটাও নয়।মিষ্টি যদি পছন্দসই হয় তাহলে খাবে আর যদি পছন্দসই না হয় তাহলে একদম মুখেও তুলবে না।
আমাদের এখানকার মিষ্টির গুণগত মান এবং স্বাদ দুটোই খুব ভালো বলা চলে তবে সেটা দোকানের উপর কিছুটা নির্ভর করে।এই এলাকার নামকরা মিষ্টির দোকান হলো মায়ামনি।বিয়ের পর থেকেই মায়মনির মিষ্টির গুণগান শুনে আসছি এবং খেয়েছি অনেকবার।মায়ামনি মিষ্টির দোকান টি একদম বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন তাই মানুষ হাতের কাছেই সবরকমের মিষ্টি খুব সহজেই পেয়ে যায়,তাই সারাদিনে বেশ ভালো বেচাকেনার মধ্যে দিয়েই দিন পার করে আসছেন তারা। এখানে আরও অনেক গুলো মিষ্টির দোকান আছে সেগুলোও বেশ ভালোই চলে।
আমি ঢাকা থেকে আসার পর একদিন বাজারে বাজার করতে গেছি,বাজারে ঢুকতেই দেখি একটা মিষ্টির দোকান খুব একটা বড় নয় কিন্তু অনেক রকমের মিষ্টি সাজানো আছে। দেখেই কেনো জানি খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলো,আর তাই ভাবলাম মিষ্টি কিনে নিয়ে যাবো।বাজার শেষে মিষ্টি কিনতে দোকানে ঢুকলাম অনেক রকমের মিষ্টি আছে কোনটা কিনবো ভেবে পাচ্ছিলাম না আর নতুন দোকান খেতে কেমন হবে তাও জানি না,সব ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে হাফ কেজি খেজুর গুড়ের সন্দেশ আর একটা দই এর সড়া নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।তারপর বাসায় এসে যেই প্যাকেট খুলে দই মিষ্টি বের করে একবার মুখে দিলাম আর তখনই বুঝতে পারলাম আসল স্বাদের দই মিষ্টি কাকে বলে,এতটাই সুস্বাদু ছিলো তা বলার মতো নয়।দই তো পুরোটাই ক্ষিরে ভরা আর গুড়ের সন্দেশ এর কথা কি'বা বলি,যতবারই মনে পড়ে ততবারই খেতে ইচ্ছে করে। মেয়েদেরও খুবই পছন্দ হলো আর সেই দিন থেকে আমরা বিথীর সুইটস্ এর মিষ্টির ফ্যান হয়ে গেলাম।
আজ হঠাৎ করেই মিষ্টি খেতে খুবই ইচ্ছে করছিলো তাই দৌড়ে বাজারে গেলাম,ছোট মেয়েকে সাথে নিয়ে গেছিলাম ও কি মিষ্টি খাবে তাই কিনবো ভেবেই ওকে সাথে নেওয়া।অনেক দেখে দেখে বললো দই খাবো আর কালো কালো মাঝে ক্ষীর দেওয়া ঐটা খাবো,মেয়ের কথামতো কালো মিষ্টি টা নিয়েছি হাফ কেজি,দাম ছিলো ৪০০ টাকা কেজি আমি ২০০ দিয়ে হাফ কেজি নিয়েছি,মিষ্টির কি নাম আমি জানিনা দোকানে শোনাও হয়নি☺️মেয়েরা গান শেখে ঠান্ডা কিছু খাওয়া নিষেধ তাই বড় দই না নিয়ে ছোট তিনটা কাপের দই নিয়েছি যাতে করে একবারেই খেয়ে শেষ হয়ে যায়। তারপর আমার পছন্দের লাড্ডু নিলাম হাফ কেজি,লাড্ডু খেতে আমার খুব ভালো লাগে।
আজ তিন বছর ধরে বিথী সুইটস্ থেকে মিষ্টি কিনে খাচ্ছি সেই প্রথম দিন মিষ্টি খেয়ে যেমন স্বাদ পেয়েছিলাম আজও ঠিক তেমমটাই মিষ্টির স্বাদ পাচ্ছি। দোকানের প্রতিটি মানুষের ব্যবহার আমার কাছে খুবই ভালো লাগে তারা খুবই বিনয়ী আচরণের সহিত ক্রেতার সাথে কথাবার্তা বলেন এবং সবকিছুর গুণগত মান খুবই ভালো এই জন্য তাদের ব্যবসা খুবই ভালো চলছে এবং আশাকরি ভবিষ্যতে আরও অনেক ভালোভাবেই তাদের ব্যবসা চলবে।তাদের সাফল্য কামনা করে আজকে আমি আমার ব্লগ টি এখানেই শেষ করছি।
উৎসব বা কোন অনুষ্ঠানে মিষ্টি না হলে চলেই না। এটা ঠিক বাঙালি কোন উপলক্ষ বা অনুষ্ঠানে মিষ্টি না হলে চলেই না। মিষ্টি খেতে কম বেশি সবাই পছন্দ করে। আমারও খুব একটা খেতে ভালো লাগে না তাও মাঝে মাঝে মিষ্টি খাওয়া হয়ে থাকে। এটা ঠিক এক এক অঞ্চলের এক এক মিষ্টি বিখ্যাত।
যেকোনো উৎসবের আগেই চিন্তা করা হয় কোথা থেকে ভালো মানে মিষ্টি কেনা হবে এটা মনে প্রতিটি বাঙালির চিন্তা,তার কারন মিষ্টি ছাড়া তো অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ থেকে যায়। জ্বি ভাইয়া একেক অঞ্চলের একেক রকমের নামকরা মিষ্টি থাকে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা একটা কাজ করলেন দিদি সকালে উঠেই এত মিষ্টি গুলো দেখে লোভ সামলানো যায়। যেহেতু আমি মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করি। আমি জানি আপনি মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন না। ঠিকই বলেছেন মিষ্টি হলে বাঙালির একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার। আপনি এলাকার নামকরা মিষ্টির দোকান মায়ামনি থেকে বেশ কিছু মিষ্টি ক্রয় করেছেন। মিষ্টি গুলোর মানুষ অনেক ভালো মিষ্টি গুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে। আপনি যে মিষ্টি গুলো শেয়ার দিছেন প্রত্যেকটা মিষ্টি ছানা দিয়ে তৈরি। কারণ প্রত্যেকটা মিষ্টি আমি খেয়েছি সহজে বলতে পারলাম। আমি ঠিক বলেছি আপু?
সকাল সকাল মানুষকে লোভ দেখাতে অনেক বেশি ভালো লাগে,তাই সবাইকে লোভ দেখানোর জন্যই এই ব্যবস্থা করা। 😅😅😅জ্বি ভাইয়া এখানকার মিষ্টি গুলো খাঁটি গরুর দুধের ছানা দিয়ে তৈরি করা,তাই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা ঠিক বাঙালি মিষ্টি খেতে পছন্দ করে, আর কোন অনুষ্ঠান মিষ্টি ছাড়া জমে না। সকাল সকাল আপনার মিষ্টির এই পোস্ট দেখে তো লোভ সামলানো মুশকিল। দেখি আমি হয়তো বিকেলের দিকে কিছু মিষ্টি আনবো। আসলে পরিচিত আর ভালো দোকান থেকে মিষ্টি কিনতে পারলে ভালো মিষ্টি পাওয়া যায়। বীথি সুইটস্ আপনার বিশ্বাস অর্জন করে নিয়েছে আর বেশ ভালো মানের মিষ্টি দিয়ে যাচ্ছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম।
ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্টটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
বাঙালির তো কথায় কথায় মিষ্টির প্রয়োজন হয়,যেকোনো শুভ কাজের আগেই মিষ্টি দরকা।আর অনুষ্ঠানে তো মিষ্টি ছাড়া চলবেই না।আপনাদের সবাইকে একটু মিষ্টি খাওয়ার জন্য উস্কানিমূলক পোস্ট এইটা বলতে পারেন, হা হা,হা,🤣🤣🤣 পরিচিত দোকান থেকে কিনলে ভালো মানের জিনিস পাওয়া যায়। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনার মিষ্টি দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না আসলে আমি মিষ্টি খেতে অনেক পছন্দ করি। ছোট-বড় সকলে অনেক পছন্দ করেন মিষ্টি তবে স্বাস্থ্যের দিক থেকে বিবেচনা করে অনেকেই মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে ইদানিং। তবে যারা রিয়েল মিষ্টি পছন্দ করে তারা কিন্তু এসব কথা মানে না খেয়ে নেই। আপনি অনেকগুলো লোভনীয় কালারের মিষ্টি নিয়ে আসলেন আমাদের জন্য কিছু পাঠিয়ে দেন।
হ্যাঁ আপু পছন্দ করলেও শারীরিক দিক চিন্তা করে অনেকেই মিষ্টি খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।আমিও খুব কম খাওয়ার চেষ্টা করি।আপনার বাসার ঠিকানা দিয়ে দিবেন তাহলে মিষ্টি কিনে পাঠিয়ে দিবো আপু। 😁সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
হঠাৎ করে অপরিচিত দোকান থেকে মিষ্টি কিনতে গেলে একটু চিন্তাই করতে হয় যে ভালো হবে কিনা। আপনার ভাগ্য ভালো যে এত সুন্দর মিষ্টি পেয়ে গিয়েছিলেন। তাছাড়া দইয়ের যে বর্ণনা দিলেন তাতে তো আমারই খেতে ইচ্ছা করছে। এই দোকানের মিষ্টি আসলেই ভালো হবে তা না হলে গত তিন বছর ধরে আপনি এই দোকান থেকেই মিষ্টি কিনছেন। মিষ্টিগুলো দেখেই বেশ ভালো মনে হচ্ছে। তাছাড়া এখনকার ওয়েদারে যে অবস্থা ফ্রিজের ঠান্ডা কিছু না খাওয়াই ভালো। বাচ্চারা যেহেতু গান শেখে।
জ্বি আপু হঠাৎ করে নতুন দোকানের জিনিস কেনা একটু চিন্তার বিষয় হয়ে যায়,তাই পরিচিত দোকান থেকে কেনার চেষ্টা করি তাতে করে ভালো মানের জিনিস পাওয়ার নিশ্চয়তা পাই। আমাদের এলাকায় দই একবার খেলে আপু আপনি আর ঢাকার দই কখনোই খেতে চাইবেন না। আপনাকে দই খাওয়ার জন্য দাওয়াত দিলাম একবার এসে খেয়ে যাবেন আপু।🙂হ্যাঁ বাচ্চাদের ঠান্ডা কিছু একদম খেতে দেই না,দুজনেই গান শেখে গলার সমস্যা হবে জন্য ঠান্ডা কিছুই খেতে দেই না। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমাদের এখানেও এমন এমন কিছু মিষ্টির দোকান আছে, যেখানকার মিষ্টির স্বাদ মুখের সাথে লেগে থাকে। যদিও মিষ্টি আমি এখন খাওয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি আগের তুলনায়। তবে আগে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি খেতাম। আর মিষ্টির দাম মনে হচ্ছে বাংলাদেশে একটু বেশি, আমাদের এখানে একটু কমে পাওয়া যায়। তবে অনেক মিষ্টি আছে যেগুলো পিস হিসেবে বিক্রি হয়। আপনাদের ওখানে তো মনে হয় কেজিতে বিক্রি হয় মিষ্টি।
হ্যাঁ দাদা আপনাদের ওখানকার চেয়ে আমাদের এখানে তুলনামূলক ভাবে সবকিছুরই দাম একটু বেশি।এখানেও পিস হিসেবে বিক্রি করে আবার কেজিতেও।কিছু কিছু দোকানের মিষ্টি আসলেই অনেক ভালো যার স্বাদ ভুলবার মতো নয়।সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
বাঙালি তার যেকোন উৎসব আনন্দে মিষ্টি খেয়ে থাকে। বাঙালির সঙ্গে মিষ্টির এক গভীর সম্পর্ক আছে। যদিও মিষ্টি আমার খুব পছন্দ সেটা বলব না। আপনার মুখে বিথী সুইটস এর কথা শুনে ভালো লাগল। তিন বছরেও এদের মিষ্টিতে কোনো পার্থক্য তৈরি হয়নি এটা ভালো দিক। মানে এরা তাদের মিষ্টির গুণগত মান ঠিক রেখেছে। অনেক সুন্দর ছিল পোস্ট টা আপু একেবারে লোভনীয়।।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, ওনারা মিষ্টির গুণগত মান একই রকম রেখেছেন,যার জন্য ওনাদের ব্যবসা খুবই ভালো চল।মানুষ আস্থা পায় জন্যই বার বার ওনাদের দোকানে মিষ্টি কেনার জন্য যায়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আমি ছোট বেলায় তেমন মিষ্টি পছন্দ করতাম না, তবে এখন মিষ্টি খেতে বেশ ভালো লাগে।যদিও আমার মিষ্টি খাওয়া ঠিক না।আসলেই এখন মিষ্টি দেখলে আর লোভ সামলাতে পারি না।এই যেমন আপনার মিষ্টির ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আমার বেশ লোভ হচ্ছে। আসলেই খাবারের আইটেমে মিষ্টি না থাকলে চলেই না।বিভিন্ন উৎসবে মিষ্টির আইটেম তো প্রথম দিকেই থাকে।তবে এটা ঠিক কিছু কিছু মিষ্টি স্বাদের জন্য বেশ জনপ্রিয়তা পায়।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
আমিও আগে মিষ্টি খেতে খুবই পছন্দ করতাম,কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য এখন খাই না বললেই চলে। আপু লোভ সামলাতে না পারলে চলে আসুন একদিন সবাই মিলে মিষ্টি খাওয়া হবে। 😀সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
মিষ্টি আমার অনেক প্রিয় একটি খাবার। আপনার মিষ্টির দোকানের ছবিগুলো দেখে আমারও মিষ্টি খেতে ইচ্ছে হচ্ছে। আর বর্তমানে আসলেই মিষ্টির দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক মিষ্টির দোকানে আগের মতো সাদ ধরে রাখতে পারছে না। তবে কিছু কিছু মেসেজের দোকান আছে তারা এখনো স্বাদ ও গুনে আগের মতই অতুলনীয়।
হ্যাঁ ভাইয়া বর্তমানে মিষ্টির দাম অনেকটা বেড়ে গেছে, তার কারন হলো গরুর দুধের দাম বেশি তাই মিষ্টির দামও বেশি।অনেক দোকানে দাম ঠিকই রাখছে কিন্তু খাবারের গুণগত মান একেবারেই খারাপ।কিন্তু আমি তিন বছর ধরে বিথীর প্রতিটি জিনিস একই রকমের স্বাদ পাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।