ছোটদের শীতকালীন পিকনিক খাওয়ার সুন্দর কিছু মুহুর্তের ভিডিও। shy-fox 10%
"হ্যালো'
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
শীতকাল মানেই পিকনিক খাওয়ার ধুম চারদিকে।বাড়িতে গেলে সব বাচ্চারা মিলে পিকনিক খাওয়ার জন্য লাফালাফি শুরু করে দেয় তাই তাদের আবদার মিটাতে আমরা সবসময়ই চেষ্টা করি।বেশিরভাগ সময় ডিম দিয়েই পিকনিক করে কিন্তু এবার একটু ভালো কিছু খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওরা।এবারের পিকনিক চিকেন বিরিয়ানি খাবে বলে ঠিক করে তাই সবাই মিলে চাঁদা তুলে সব বাজারঘাট করে,বাজারের দায়িত্বে ছিলো আমার ছোট ভাই আকাশ আর ভাতিজা বন্ধন।আর রান্নাবান্নার দায়িত্ব নেয় আমার বড় মেয়ে বর্ষা, আর আমার ছোট বোন তিশা।
আমার দুই মেয়ে আমার কাকাতো ভাই বোন আমার ভাতিজা, ভাতিজী সবাই জন প্রতি ১১০ টাকা করে চাঁদা দিয়ে একটা মুরগি,পোলাও এর চাল,বিরিয়ানি মসলা, কোক এগুলো কিনে আনে আর বাকিসব বাড়ি থেকে নিয়ে রান্না করে। বিকেলে থেকেই প্রস্তুতি নেয়
বাড়ির বাইরে একটা চুলা বানায় চারদিকে কাপড় দিয়ে বেড়া দেয় যাতে চুলায় বাতাস না লাগে।সব প্রস্তুতি শেষ হলে তারপর রান্না শুরু করে,ডিম ভুনা চিকেন বিরিয়ানি রান্না করে। রান্না শেষ হওয়ার পর সালাদ কেটে কলাপাতায় করে সবাই খাবার খায়।
খাওয়ার পর সবাই কোক খেয়ে কিছুক্ষণ নাচ গান হই হুল্লোর করে সময় কাটিয়ে তাদের পিকনিক শেষ করে। সবাই মিলে অনেক আনন্দ উপভোগ করে।গ্রামের বাড়িতে প্রচন্ড শীত তাই খুব বেশি রাত না করে সকাল সকাল সবকিছু শেষ করে যার যার মতো সবাই বাড়িতে এসে শুয়ে পড়ে। পিকনিকের কিছু মুহুর্ত আমার ছোট মেয়ে ভিডিও করেছে সেই ভিডিও টি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
ভিডিও লিংক
আশাকরি ভিডিও টি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। আজ এখানেই শেষ করছি আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন বিষয় নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
ধন্যবাদ সবাইকে।
জাস্ট অসাধারণ পিকনিক থেকে আরো বেশি ভালো লাগলো ছোট্ট থেকেই আপনার মেয়ে ইউটিউবিং করা শুরু করেছে আশা করি আমাদের বয়সে আসতে আসতে সে ইউটিউব ক্যারিয়ারে ভালো কিছু করতে পারবে।
হ্যাঁ ভাইয়া আমার মেয়ে ভিডিও করতে অনেক পছন্দ করে আমিও সাপোর্ট করি যাতে আগামীতে আরও অনেক ভালো কিছু করতে পারে। আমরা তো লজ্জায় ক্যামেরার সামনে আসতে পারিনা কিন্তু ও খুব সহজেই পারে। দোয়া করবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলেই শীতকাল মানেই পিকনিক।আমরাও সেইদিন বাবার বাড়ির সবাই মিলে পিকনিক করেছিলাম। বেশ মজা হয়েছে। ছাদে ইট দিয়ে চুলা বানিয়ে রান্না করেছিলাম।যাই হোক ১১০ টাকা চাঁদা দিয়ে বেশ ভালোই আইটেম হয়েছে। কলাপাতার খাওয়ার ব্যাপরটা আমার কাছে বেশ,ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে
হ্যাঁ আপু শীতকাল মানেই পিকনিক। আমাদের বাড়িতেও এরকম পিকনিক সবসময় হয়ে থাকে।জ্বি আপু কলাপাতায় খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপু।
এরকম করে ছোটবেলায় আমরাও অনেক খেয়েছি পিকনিক করে। যাক ছোট সবাই মিলে ১১০ টাকা করে সবাই টিপ দিলেন। তবে এভাবে রান্না করে বা কিছু বানিয়ে খেতে খুব ভালো লাগে ছোটদের। সবচেয়ে বড় কথা আনন্দটা। সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমরাও ছোটবেলায় এরকম অনেক পিকনিক করেছিলাম এখনকার করি তবে কম।জ্বি ভাইয়া আনন্দ টাই আসল কথা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমরাও ছোটবেলা এভাবে পিকনিক করতাম বেশ ভাল লাগলো দেখে। ১১০ টাকা করে তো ভাল আইটেম ই খাওয়া হলো। আর কলাপাতায় খাওয়া খুব আনকমন ছিল, দারুন। গ্রামে আসলে কলাপাতায় খাওয়া যায়। আমার যদিও কখনো খাওয়ার সুযোগ হয়নি।অনেক ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলার সময় গুলো সবারই খুব ভালো ছিলো আপু। আপনি কখনো কলাপাতায় খাননি শুনে অবাক হলাম আপনার দাওয়াত রইল আপনাকে কলাপাতায় খাওয়াবো।😁ধন্যবাদ আপু।
ওয়াও ছোটদের এই শীতকালীন পিকনিক টি দেখে তো আমার সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। কলার পাতার উপরে পিকনিকের খাবার খাওয়া সত্যিই একটা দারুন মনমুগ্ধকর অবস্থা। ভিডিওটাও দেখলাম খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে।
হ্যাঁ ভাইয়া সত্যিই অনেক দারুণ হয়েছে ওদের পিকনিক খাওয়ার মুহূর্তটা।ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোটবেলায় এমন খুলা জায়গায় অনেক পিকনিক খাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে।তবে আপনার মেয়েরা ও বেশ মজার করে পিকনিক খাচ্ছে দেখে বেশ ভাল লাগছে।সবাই মিলে চাঁদা তুলে বেশ মজার করে পিকনিক খেয়েছেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন সেই মুহূর্তটি অনেক ভালো লেগেছে।
জ্বি আপু সবাই চাঁদা তুলে খুব মজা করে পিকনিক খেয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ওদের আনন্দ দেখে আমারও ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় এমন কত পিকনিক খেয়েছি। আসলে বড় হতে হতে সব শখ আহ্লাদ হারিয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাবি সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। ওরা নিশ্চয়ই অনেক আনন্দ করেছে।
ঠিক বলেছেন ভাবি বড় হওয়ার সাথে সাথে নিজের শখ গুলো কোথায় যে হারিয়ে যায় বুঝতে পারিনা।হ্যাঁ ওরা অনেক আনন্দ করেছিলো।ধন্যবাদ ভাবি।