খুশির মুহুর্ত পর্ব -১ 🥰
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
আমি @bristychaki,আমি একজন বাংলাদেশী। আমার বাংলা ব্লগ এর আমি একজন ভেরিফাইড ও নিয়মিত ইউজার।আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি পোস্টের ভিন্নতা আনার।আজ তারই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে আপনাদের সাথে হাজির হয়েছি আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।
ইতিমধ্যে আমি আমার ছোট মেয়ের গণিত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছি।বাচ্চাদের একেকটি সাফল্য বাবা মার জন্য অনেক খুশির সংবাদ বয়ে আনে এবং সেই সাথে আত্মীয়-স্বজন সবাই সেই খুশির ভাগীদার হয়ে থাকে।
মেয়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য ঢাকায় যেতে হয়েছিল,আর ঢাকায় গিয়ে আমারা আমার ছোট বোনের বাসায় আমরা উঠেছিলাম সেই গল্পটি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।মেয়ের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খবর শোনার সাথে সাথে আমার ছোট বোন সেই খুশিটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ছোটখাটো একটা আয়োজন করেছিলো।
অভিনন্দন জানানোর জন্য একটি কেক এনেছিলো এবং মেয়ের পছন্দসই কিছু খাবারের আয়োজন করেছিলো।এই বিষয়গুলো আগে থেকে মেয়েকে জানানো হয়নি ওকে সারপ্রাইজ দেবে বলে।ছোট বোনের হাজব্যান্ড আসার সময় ওর জন্য বেশ কিছু চকলেট উপহার এনেছিলো।আমার ছোট ভাই তমাল রান্নাবান্না বেশ ভালোই পারে তাই যেকোনো কাজে ও খুব সহজেই সবাইকে হেল্প করতে পারে।রাতের খাবারের মেনু ছিলো লুচি খাসির কলিজা ভুনা। ছোট বোন লুচি বানাচ্ছিলো ওর শরীরটা খুব একটা ভালো ছিলো না,তাই তমাল নিজে থেকেই লুচি বানানো শুরু করে দিলো।
লুচি বানানো থেকে শুরু করে ভাজা পর্যন্ত পুরো দায়িত্বটি তমাল খুব সুন্দরভাবে পালন করেছে।তারপর সবাই মিলে একসাথে বসে রাতের খাবার খাওয়া হলো।কিছুক্ষণ ধরে সবাই মিলে বেশ আড্ডা দিলাম।তারপর কেক কাটা হলো।হঠাৎ করে কেক দেখতে পেয়ে মেয়ে খুবই খুশি হয়েছিলো।সব বাচ্চারাই নিজের সাফল্যকে বেশ ভালোভাবে উপভোগ করে।আমার মেয়েও ঠিক তাই ওর সাফল্য কে খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করতে পেরেছে তা ওর চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিলো।কেক কাটা খাওয়ার পর্ব মিটিয়ে যে যার মতো ঘুমোতে চলে গেলাম।কারণ পরের দিন খুব সকাল সকাল আবার আমাদেরকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে।ভগবানের অশেষ কৃপায় খুব ভালোভাবেই আমরা বাড়িতে পৌঁছাই।
পরের দিন ছিলো শুক্রবার আর শুক্রবার মানেই মেয়ের আলোহার ক্লাস।আলোহাতে গিয়েও দেখি ওখানে মেয়েকে মিষ্টিমুখ করানোর জন্য বেশ কিছু মিষ্টি আনা হয়েছে।একে একে মেয়েকে সবাই মিষ্টি খাওয়ালো এবং সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের মিষ্টিমুখ করানো হলো।ছোট ছোট বাচ্চাগুলো বারবার জিজ্ঞেস করছিলো কেনো তাদেরকে মিষ্টি খাওয়ানো হচ্ছে!তখন আলোহা মিস বাচ্চাদেরকে খুব সুন্দর করে বুঝিয়ে বললেন পুরো বিষয়টি।ওই দিনের পর থেকে অর্থী চাকীকে সব বাচ্চারা এক নামেই চেনে।এই ছোট ছোট বিষয়গুলো খুবই আনন্দের এবং গর্বের কারণ বলে আমার মনে হয়।
আপনারা সকলে আমার মেয়ের জন্য আশীর্বাদ দোয়া করবেন যাতে আগামীতে আরো অনেক ভালো কিছু করতে পারে।এই প্রত্যাশা রেখে আজকে এখানেই শেষ করছি। খুশির মুহূর্তের আরো কিছু অংশ আছে যা আপনারা পরবর্তী পর্বে দেখতে পারবেন। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আপনার মেয়ের গণিত বিষয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া উপলক্ষে আপনার মেয়ের অজান্তে যত সুন্দর সারপ্রাইজের ব্যবস্থা করেছিলেন সেটার জন্য হয়তো আপনার মেয়ে আগামী দিনে আরো ভালো কিছু করার জন্য অনেক বেশি উৎসাহ পাবে। একই সাথে অত্যন্ত সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থাও করেছিলেন যেটা জানতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগলো। দারুন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জ্বি ভাইয়া।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
সন্তানের সাফল্য প্রত্যেকটা বাবা-মার কাছেই অনেক বড় প্রাপ্য। আর আপনি আপনার সন্তানদের পেছনে যে সময় ব্যয় করেছেন এবং কষ্ট করেছেন তার ফল স্বরূপ এই খুশি। অর্থীর সাফল্যে আমরা অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম। ও সামনে আরো এগিয়ে যাবে এই কামনায় রইল। আশা করছি পরের পর্বগুলো আমাদের সাথে সুন্দর ভাবে শেয়ার করবেন।
ঠিক বলেছেন ভাবী,অনেক কষ্টের ফল হিসেবে এই সাফল্যের দেখা পেয়েছি।দোয়া করবেন যাতে আরও অনেক ভালো কিছু করতে পারে।ধন্যবাদ ভাবী।
হ্যাঁ দিদি সন্তানের সফলতা বাবা মার জন্য কতটা গর্বের কতটা আনন্দের সেটা আসলে বলে বোঝানো সম্ভব নয় ৷ যা হোক ভাগনি কে সারপ্রাইস দেওয়ার জন্য অনেক সুন্দর আয়োজন ছিল ৷ এছাড়াও দেখি আপনার বোনের জামাই দেখি অনেক ভালো রাঁধুনী করে ৷ সবমিলে সময়টা অনেক মজার ছিল দেখে বোঝা যাচ্ছে ৷
সবমিলিয়ে অনেক ভালো সারপ্রাইজ ছিলো।রাঁধুনি হলো আমার বোনের ছোট ভাই এবং আমারও ভাই।ধন্যবাদ ভাই।
আসলে সন্তানদের সাফল্যের মধ্যেই পিতা-মাতা সাফল্য লুকিয়ে থাকে৷ পিতা-মাতার অনেক স্বপ্ন থাকে সন্তানদেরকে নিয়ে৷ সে সন্তানরা যখন তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করে তখন তার থেকে ভালো আর কিছুই হতে পারে না৷ আপনার মেয়ের এই সাফল্য দেখে আমরা অনেক খুশি৷ আপনি তার পেছনে যা সময় দিয়েছেন এবং যা কষ্ট দিয়ে কষ্ট করেছেন তার সুফল আপনি এখন পাচ্ছেন৷ আসলে প্রথমে আমাদের সকলকে অনেক কষ্ট করতে হয় পরে যখন সাফল্য চলে আসে তখন সেই কষ্টগুলো একেবারেই নিমিষে শেষ হয়ে যায়৷
কষ্টের পর যে সফলতা আসে সেটা অনেক আনন্দের হয়ে থাকে যা একজন মায়ের কাছে সত্যিই অনেক গর্বের বিষয়।ধন্যবাদ ভাইয়া।
একেবারে ঠিক বলেছেন৷ এতদিনের কষ্টের পরে যে সফলতা আসে তা থেকে খুশির বিষয় আর কিছুই হতে পারে না৷
যদি আপনার সাথে সামনা সামনি কথা হয়নি। তবুও অনলাইনের মিশামিশিতে যতটুকু বুঝতে পেরেছি যে আপনার সন্তানরা হলো আপনার প্রাণ। তাদের জীবন কে সুন্দর করে গুছিয়ে দিতে আপনি প্রতিনিয়ত অনেক পরিশ্রম করে যাচেছন। আশা করি একদিন আপনার সন্তানদের সাফল্যে শুধু আপনি নয় পুরো দেশ গর্ব করবে।
ঠিক বলেছেন আপু আমার সন্তান রা আমার জীবনের অনেক টা অংশ জুড়ে রয়েছে।ওদের জন্য আমি সবকিছুই ত্যাগ করতে পারি।দোয়া করবেন আপু সেই দিন যেনো আমি দেখতে পাই।অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সফলতা অর্জন করেছে তার জন্যই তো সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে। তবে কেক কেটে ছোট মামাকে তো আর অভিনন্দন জানাতে পারলাম না বা তার মুখে মিষ্টিও তুলে দিতে পারলাম না তাই দূর থেকেই মামার জন্য দোয়া করলাম সে যেন তার এই সফলতার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারে।
দূর থেকে মন ভরে দোয়া করিও ভাই সেটাই হবে আমার মেয়ের জন্য পরম পাওয়া।ধন্যবাদ ভাই।
আসলে বাচ্চাদের ছোট ছোট সাফল্যগুলো বাবা-মায়ের জন্য বড় কিছু নিয়ে আসে। আর এই ছোট ছোট সাফল্যগুলোর থেকেই এক সময় বড় সফলতা আসবে জীবনে। আপনার ছোট মেয়ে গণিত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে এটা শুনেছি। আর আপনার ছোট বোন তো দেখছি এটাকে স্মৃতিময় রাখার জন্য কেক এনেছে। খুবই ভালোভাবে এটা সেলিব্রেশন করেছিলেন যা দেখেই বুঝতে পারছি। আপনি নিজেরে সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করছেন এবং ভালোভাবে মানুষ করছেন বলেই, তারা এখন এরকম পর্যায়ে আসতে পারছে। দোয়া রইল আপনার দুই মেয়ের জন্যই।
জ্বি আপু ছোট ছোট সাফল্য গুলো বাবা-মায়ের জন্য অনেক অনেক আনন্দের বিষয় হয়ে যায়।দোয়া করবেন আপু যাতে ওদের মানুষের মতো মানুষ করতে পারি।ধন্যবাদ আপু।
সব সময় এটাই কামনা করি আপু, যেন এরকম খুশির মুহূর্ত আপনার জীবনে সব সময় আসে। আপনার মেয়েকে প্রথমেই আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু। তার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথাটা শুনেই তো অনেক ভালো লাগতেছে। আপনার বোন এত সুন্দর করে আপনার মেয়েকে সারপ্রাইজ দিয়েছে কথাটা শুনে ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই আপনার মেয়ে অনেক খুশি হয়েছিল এরকম একটা সারপ্রাইজ পেয়ে। আসলে স্পেশাল দিনগুলোকে একটু স্পেশাল করে রাখলেই বেশি ভালো লাগে।
খুশির মুহুর্ত গুলো ধরে রাখার জন্য ছোটখাটো একটা আয়োজন করেছিলো।যা সত্যিই অনেক ভালো রাগার মতো বিষয় ছিলো।দোয়া করবেন ভাইয়া।
প্রথমে আপনার মেয়ে কে কংগ্রাচুলেশন জানাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য। আপনারা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এই সুন্দর মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য কেক দিয়ে ছোট্ট একটা অনুষ্ঠান করেছিলেন সেই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে মেয়েকে অভিনন্দন জানানোর জন্য।
আরে বাহ! খুব কম সময়ের মধ্যেই দেখি ওরা সকলে মিলে বেশ দারুণ আয়োজন করেছিলো এই খুশির খবর টি উৎযাপন করার জন্য। আসলেই যে কোন এচিভমেন্ট এ এমন উৎযাপন করলে ছোট বড় সকলেরই ভালো লাগে। খুব ভালো লাগলো এই খুশির মুহুর্তগুলো জানতে পেরে।
ঠিক বলেছো মনা এই ধরনের সারপ্রাইজ গুলো খুবই ভালো লাগে।আশীর্বাদ করিও।ধন্যবাদ।