মটরশুঁটি,আলু,বাঁধাকপির ঘন্ট রেসিপি। shy-fox 10%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজকের রেসিপি টি আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি শীতকালে আমি প্রায় সময়ই এরকম করে বাঁধাকপির ঘন্ট রান্না করে থাকি আজ আমি যেভাবে রান্না করেছি সেই রেসিপি টি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এখন।
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
বাঁধাকপি | অর্ধেকটা |
মটরশুঁটি | এক কাপ |
আলু | ৪ টা |
কাঁচামরিচ | ৩-৪ টা |
আদাবাটা | দেড় চা চামচ |
জিরা,ধনিয়াগুঁড়া | দেড় চা চামচ |
মরিচেরগুঁড়া | ১ চা চামচ |
হলুদগুঁড়া | পরিমাণ মতো |
লবণ | স্বাদমতো |
গোটা জিরা | হাফ চা চামচ |
তেজপাতা | ২ টা |
শুকনা মরিচ | ২ টা |
গরম মসলা | পরিমাণ মতো |
ঘি | ১ টেবিল চামচ |
চালের গুঁড়া | ১ টেবিল চামচ |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
চিনি | স্বাদমতো |
প্রথমে কড়াইয়ে তেল দিয়ে ছোট করে কেটে রাখা আলু গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ভেজে তুলে নিয়েছি।
আলু ভাজা হলে ঐ তেলের মধ্যে মটরশুঁটি গুলো দিয়ে হালকা করে ভেজে তুলে নিয়েছি।
এবার গোটা জিরা তেজপাতা গরমমসলা গুলো ফোঁড়ন দিয়ে কাঁচামরিচ ফালি গুলো দিয়ে হালকা ভেজে ঝুড়ি করে কাটা বাঁধাকপি গুলো দিয়ে দিয়েছি।
তারপর লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে দিয়েছি।
লবণ হলুদগুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি
তারপর অনেক সময় ধরে বাঁধাকপি গুলো ভেজে নিয়েছি।তারপর ভেজে রাখা আলু মটরশুঁটি গুলো দিয়ে আরেকটু ভেজে নিয়েছি।
আদাবাটা জিরা,ধনিয়াগুঁড়া,মরিচের গুঁড়া একট বাটিতে নিয়ে সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে ভাজা বাঁধাকপির মধ্যে দিয়ে দিয়েছি।
মসলা দেওয়ার পর অল্প আঁচে অনেক সময় ধরে বাঁধাকপি গুলো ভেজে নিয়েছি যাতে করে মসলার গন্ধ না আসে।
এবার একটা বাটিতে চালের গুঁড়া,ঘি,আর স্বাদমতো চিনি দিয়ে সামান্য পরিমাণে জল দিয়ে মিশিয়ে নিয়ে বাঁধাকপির মধ্যে ঢেলে দিয়েছি।তারপর ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে অল্প আঁচে নেড়েচেড়ে নিয়েছি। যখন বাঁধাকপি গুলো আঠালো হয়ে তেল উঠে আসছিলো তখন চুলার আঁচ বন্ধ করে দিয়েছি।
এবার চুলা থেকে নামিয়ে দিয়ে একটা পাত্রে তুলে নিয়েছি আর এভাবেই তৈরি হয়ে গেলো মটরশুঁটি,আলু বাঁধাকপির ঘন্ট রেসিপি টি।
এই ছিলো আমার আজকের রেসিপি আশাকরি আপনাদের সবার ভালো লাগবে,কার কেমন লাগলে অবশ্যই মতামতের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না।দেখা হবে পরবর্তী সময়ে অন্য কোন নতুন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশা করি।
ধন্যবাদ।
বাহ্!খুব দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমার কাছে রেসিপিটি খুব ভালো লেগেছে। এত সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ভাইয়া অনেক সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
শীতকালে বাঁধাকপি অনেক খাওয়া হয় তবে কখনো এরকম মটরশুটি দিয়ে বাঁধাকপির ঘন্ট তৈরি করা হয়নি। বাঁধাকপি জিরায় ফোরন দিলে খেতে অন্যরকম স্বাদ লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে বাঁধাকপির ঘন্ট তৈরি করেছেন আপনার রেসিপি দেখে আমি একটু শিখে নিয়েছি কোন একদিন বানাবো ।
জ্বি আপু জিরা ফোঁড়ন দিলে অন্য রকমের একটা স্বাদ গন্ধ পাওয়া যায়। অবশ্যই আপু খেয়ে দেখবেন আশাকরি ভালো লাগবে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
শীতকালীন সবজির মধ্যে বাঁধাকপি আমার বেশ প্রিয়। বাঁধাকপি ভাজি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। এভাবে সবজি রান্না করলেও খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে মটরশুটি দিয়ে এবং আলু দিয়ে এভাবে কখনো বাঁধাকপি রান্না করা হয়নি। মনে হচ্ছে মটরশুটি দেওয়াতে খেতে আরও বেশি মজার হয়েছিল। এভাবে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখতে হবে।
বাঁধাকপি খেতে আমারও খুব ভালো লাগে। ঠিক বলেছেন আপু মটরশুঁটি দেওয়াতে স্বাদ আরও অনেক বেড়ে গেছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
মটরশুঁটি,আলু,বাঁধাকপির ঘন্ট রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। সত্যি অসাধারণ রেসিপি তৈরি করেছেন। এই রেসিপি পরিবেশন খুবই ভালো লাগলো।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
আপু আপনার মটরশুঁটি আলু ও বাঁধাকপির ঘন্ট রেসিপিটি বেশ চমৎকার হয়েছে । বাঁধাকপির ভাজি খেয়েছি কিন্তু এর সঙ্গে মটরশুঁটি দিয়ে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি । দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে । বাজারে এখন মটরশুটি উঠে গিয়েছে আপনার পোস্টের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।
জ্বি আপু এখন বাজারে মোটামুটি ভালোই মটরশুঁটি পাওয়া যাচ্ছে। মটরশুঁটি দিয়ে বাঁধাকপি খেতে অনেক ভালো লাগে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বাঁধাকপি ভাজি খেয়েছি অনেকবার। কিন্তু এভাবে করে বাঁধাকপির ঘন্ট খাওয়া হয়নি । মটরশুটি দেওয়ার কারণে খেতে মনে হয় একটু বেশি মজা হয়েছিল। প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাঁধাকপি ভাজি কিংবা ঘন্ট যেভাবেই রান্না করা হোক না কেন খেতে অনেক ভালো লাগে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এখন শীতকাল তাই বিভিন্ন ধরনের শবজি পাওয়া যায়। শীতকালে সবজির মধ্যে পাতাকপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে খেতে।মটরশুঁটি ও আলু এবং বাঁধাকপি দিয়ে খুব সুন্দর রেসিপি করেছে। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজা হয়েছে। খুব সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জ্বি শীতকালে সব ধরনের সবজি পাওয়া যায় এবং খেতেও অনেক মজা লাগে। মটরশুঁটি দিয়ে বাঁধাকপি খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আপনার রেসিপিটি দেখে লোভ আর সামলাতে পারছিনা। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপগুলো গুছিয়ে লিখেছেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছে খেতেও ঠিক তেমনি সুস্বাদু হয়েছিলো। সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনার মটরশুঁটি,আলু,বাঁধাকপির ঘন্ট রেসিপি আমার কাছে অনেকটাই আনকমন একটা রেসিপি বলে মনে হচ্ছে কারণ আমি সাধারণত শুধু মাত্র বাঁধাকপির ভাজি বড়জোর তার মধ্যে কিছু আলু টুকরো টুকরো করে কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু আপনি বাধাকপি দিয়ে ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রান্নার উপস্থাপনাটা অ ছিলো দারুন । ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বাঁধাকপির ঘন্টের মধ্যে আলু ছোট ছোট করে দিলে তাড়াতাড়ি সিদ্ধ হয় এবং খেতেও অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু এখন তো শীত কাল বাধাঁকপির মৌসুম। আর বাধাঁকপি খেতে আমার কাছে খুব ভাল লাগে। বাধাঁকপির সাথে মটরশুঁটি দিলে খাওয়ার সময় মটরশুঁটির অন্যরকম একটি স্বাদ অনুভূব হয়। ধন্যবাদ আপু।
শীতকালে বাঁধাকপি খেতে আমারও খুব ভালো লাগে ঠিক বলেছেন ভাইয়া মটরশুঁটি দিলে সত্যিই অন্যরকমের লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করেছেন তার জন্য।