শোলাকচু দিয়ে পাবদামাছের দোপেঁয়াজা। shy-fox 10%| abb-school 5%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমি এবং আমার পরিবারের সকলেই ভালো আছি।
আমি দু'দিন একটু শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলাম তাই আপনাদের সাথে কোন রেসিপি বা গল্প শেয়ার করতে পারিনি। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আজ অনেকটাই ভালো আছি তাই দেরি না করে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেছি নতুন একটি রেসিপি নিয়ে। পাবদামাছ আমার কাছে একদম ভালো লাগেনা, কিন্তু আমার মেয়ের সবচেয়ে প্রিয় মাছ এটি। যেভাবেই রান্না করি না কেন মেয়ে খেতে খুব ভালোবাসে। আমি কবে পাবদা মাছ খেয়েছি মনেই পড়ে না এর স্বাদটাও মনে হয় ভুলি গেছি অথচ এই পাবদামাছই আমার রান্না ঘরে বেশি চলে। আমি না খেলে কি হবে রান্না করি কারন আমার মেয়ের পছন্দের মাছ বলে কথা।নিজে না খাই তাতে সমস্যা নাই কিন্তু সন্তানের খাওয়া দেখলেই শান্তি লাগে সব মায়েরাই বুঝি এমনই হয়। আমার মা কখনো মাংস খেতো না কিন্তু অনেক ভালো রান্না করতো, তখন মনে মনে ভাবতাম মা মাংস খায়না কিন্তু এত ভালো রান্না করে কিভাবে। মাকে জিজ্ঞেস করলে বলতো আমি খাই না তাতে কি হয়েছে তোরা তো খাস তাতেই আমার শান্তি লাগে। আজ এই কথাটার গুরুত্ব বুঝতে পারি কারন আমিও একজন মা। সেজন্য আমার সন্তানেরা যা খেতে ভালোবাসে আমি সেটাই রান্না করি আমি খাই বা না খাই যখন ওরা মজা করে খায় তখন আমার খুব ভালো লাগে।যাই হোক আজকে আমি শোলাকচু দিয়ে পাবদামাছের দোপেঁয়াজা রান্না করেছি। আমি কিভাবে রান্না করেছি সেই রেসিপি টি শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
উপকরণ |
---|
পাবদামাছ |
শোলাকচু |
পেঁয়াজ |
জিরাগুঁড়া |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
লবন |
গোটা জিরা |
সয়াবিন তেল |
এলাচ,দারুচিনি |
ধাপ-১ |
---|
শোলাকচু লম্বা পিস করে কেটে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে ধুয়ে একটু মোটা করে চাক চাক করে কেটে নিয়েছি।
ধাপ-২ |
---|
কয়েকটা পেঁয়াজ নিয়েছি, প্রথমে পেঁয়াজ গুলো খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে তারপর জল দিয়ে ধুয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি। এর পর কুঁচি করে কাটা পেঁয়াজ গুলো ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে পেস্ট বানিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৩ |
---|
পাবদামাছ আগে থেকে কাটা ছিল। মাছ ভালো করে লবন দিয়ে ধুয়ে নিয়ে লবন হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে নিয়েছি। তারপর চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে পরিমান মতো তেল দিয়েছি। তেল গরম হলে মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি। একপিঠ ভাজা হলে উল্টিয়ে দিয়ে ভালো করে দুপাশে ভেজে নিয়েছি। তারপর একটা প্লেটে মাছ গুলো উঠিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪ |
---|
মাছ ভাজা হয়ে গেলে ঐ তেলের মধ্যে চাক করে কাটা কচু গুলো লবন হলুদ গুঁড়া মাখিয়ে তেলের মধ্যে এক এক করে ছেড়ে দিয়েছি। কিছুক্ষণ পর উল্টিয়ে দিয়ে আবার কিছুক্ষণ ধরে ভেজে নিয়েছি হালকা আঁচে তাতে করে দুপাশেই ভাজা হয়েছে এবং অনেকটা সিদ্ধ হয়ে আসছে। তারপর চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৫ |
---|
কড়াইতে আরও কিছুটা তেল দিয়ে একটু গরম হলে গোটা জিরা ফোঁড়ন দিলাম দেওয়ার পর অল্প পরিমানে পেঁয়াজ কুঁচি দিলাম তারপর বাদামী করে ভেজে নিয়ে পেঁয়াজের পেস্ট গুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৬ |
---|
তারপর লবন হলুদ গুঁড়া, জিরার গুঁড়া মরিচের গুঁড়া দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়েছি জল ছাড়া কিছুক্ষণ মসলা গুলো ভেজে নিয়েছি যাতে পেঁয়াজের কাচা গন্ধ না আসে ভাজা হলে একটু জল দিয়েছি।
ধাপ-৭ |
---|
জল দেওয়ার পর ভালো করে নেড়েচেড়ে কষিয়ে নিয়েছি তার মধ্যে একটা এলাচ দুই টকরো দারুচিনি দিয়ে খুব ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি। মসলা কসানো হলে অল্পপরিমানে জল দিয়ে ঝোল দিয়েছি।
ধাপ-৮ |
---|
ঝোল দেওয়ার পর চুলার আঁচ বাড়িয়ে দিয়েছি ঝোল ফুটে উঠলে ভেজে রাখা কচু আর মাছ গুলো দিয়ে কয়েকটা কাঁচা মরিচ দিয়ে তারপর একটা ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিয়েছি।
ধাপ -৯ |
---|
ঢাকনা খুলে একটু নেড়েচেড়ে দিয়েছি তারপর আরও একটু জ্বাল দিয়ে ঝোল শুকিয়ে মাখো মাখো হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।
শেষ ধাপ |
---|
একটা ছোট ছড়ানো প্লেটের মধ্যে তুলে নিয়েছি যাতে করে পরিবেশন করার সময় মাছ ভেঙে না যায়, এবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত মজাদার শোলাকচু দিয়ে পাবদামাছের দোপেঁয়াজা।
আজ এ পর্যন্তই আবার দেখা হবে অন্য কোন সময়ে অন্য কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
আসলেই আপু মায়ের এমনই হয়,ছেলে মেয়ে খেলেই শান্তি লাগে।যাই হোক বেশ মজার রেসিপি।আমার কাছে কচুর যে কোন রেসিপিই ভালো লাগে,পাবদা মাছ ও বেশ পছন্দের।যাই হোক আপনার রেসিপি বেশ লোভনীয় লাগছে।ধন্যবাদ
সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে আবহাওয়ার কারণে, কিন্তু এখন আপনি সুস্থ আছেন জেনে ভাল লাগল। আপনি যে রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু এরকম রেসিপি আসলে আমি কখনোই খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখতে বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে। আর খেতেও মজা হবে সেটাও কিন্তু খুব ভালভাবেই বুঝতে পেরেছি।
জ্বি ভাইয়া চারদিকে সবাই অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমি এখন মোটামুটি ভালোই আছি দোয়া করবেন। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পাবদা মাছ আমার কাছে দারুন লাগে। তবে এভাবে শোলাকচু দিয়ে পাবদামাছের দোপেঁয়াজা কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
শোলা কচু দিয়ে খুব সুন্দর করে পাবদা মাছের দোপেয়াজা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন আমাদের মাঝে। ধন্যবাদ এইরকম খুব সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার রেসিপিটি খুবই ভালো লাগলো। তবে কচু দিয়ে কখনো পাবদা মাছ রান্না করে খাওয়া হয়নি। কচু দিয়ে আমরা সাধারণত ইলিশ মাছ এবং চিংড়ি মাছ রান্না করে খাই।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপু আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ঠিক বলেছেন শোলাকচু দিয়ে সাধারণত ইলিশ মাছ রান্না করা হয়ে থাকে। কচু খেতে আমার খুবই ভালো লাগে তাই মোটামুটি সব মাছ দিয়েই রান্না করি।
শোলা কচু দিয়ে পাবদা মাছের ফুটি চমৎকার হয়েছে শোলা কচু এভাবে রান্না করে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রান্নার কালার যথেষ্ট ভালো হয়েছে ধন্যবাদ।
আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে গিয়ে একটু খেয়ে আসি। আপনি অসাধারণ ভাবে শোলাকচু দিয়ে পাবদামাছের দোপেঁয়াজা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে একবারে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শোলা কচু এবং পাবদা মাছের লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছিল। বন্ধন প্রণালী খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শোলাকচু দিয়ে যেকোন কিছুই রান্না করা হোক না কেন সেটা খেতে অনেক ভালো লাগে।
খুবই মজাদার একটি পাবদা মাছের দোপেয়াজা রান্নার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন পাবদা মাছের দোপেয়াজা আমি অনেক দিন আগে খেয়েছিলাম খুবই সুস্বাদু লেগেছিল আমার কাছে। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভেচ্ছা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। জ্বি ভাইয়া পাবদামাছের দোপেঁয়াজা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। যদিওবা আমি পাবদামাছ খাই না,কিন্তু দেখে বোঝা যায়।
শোলকচু দিয়ে পাবদা মাছের দোপেঁয়াজা কখনোই খাওয়া হয়নি। তাই আমার কাছে রেসিপিটা একদম ইউনিক লাগছে। অবশ্যই আমি শোলকচু এভাবে রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করব। আশা করছি দেখতে যেমন সুস্বাদু লাগছে খেতেও অনেকটা সুস্বাদু হবে। এভাবেই ভালো ভালো কাজগুলো নিয়ে এই কমিউনিটিতে এগিয়ে যান। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।