আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।

আমরা চার ভাইবোন তিন দাদা আর আমি বোন একাই।ছোট দাদা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ওর পোস্টিং রংপুর মেট্রোতে।ফ্যামিলি নিয়ে তাই রংপুরেই থাকে।
দীর্ঘ সময় পর ছোট দাদার বাসায় ঘুরতে এসেছি।সেই আট বছর আগে একবার রাজশাহীতে ঘুরতে গেছিলাম কিন্তু থাকা হয়নি তারপর কারন হলো আমরা যেদিন রাজশাহীতে গিয়ে পৌঁছাই তার পরের দিন ঢাকা থেকে আমাদের প্রতিবেশী এক ভাবি ফোন দিয়ে বলে যে আমাদের বাসার তালা ভেঙ্গে চোর ঢুকেছিলো সেই কথা শোনার পর রাতের ট্রেনেই আবার ঢাকায় ফিরে যাই,কয়েকদিন থাকার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু বাসা চুরি হওয়ার কথা শোনার পর আর কোনভাবেই থাকতে পারিনি।ভগবান সহায় ছিলো তাই চোর বেশিকিছু নিতে পারেনি। আমার যে রুমে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিলো সেই রুমের তালা ভাঙ্গতে পারেনি তাই তেমন কিছুই নিতে পারেনি।

তারপর বাচ্চাদের পড়াশোনার কারনে তেমন কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয়নি।যেকোনো অনুষ্ঠানে বাড়িতে সবাই একসাথে যাওয়া হয় তখন সবার সাথে দেখা হয় তাই আর আলাদাভাবে ওদের বাসায় ঘুরতে যাওয়া হয়নি।এবার অনেক দিন থেকেই ভাবছিলাম রংপুর এ ছোট দাদার বাসায় ঘুরতে আসবো তাই মেয়েদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর চলেই আসলাম।

সাথে আমার মেজো বৌদিকেও নিয়ে এসেছি ও বাড়িতে থাকে দুজন মিলে অনেক দিন থেকেই পরিকল্পনা করছিলাম একসাথে আসার সেই কথা কাউকেই বলিনি আমার ছোট বৌদিকেও না। ছোট বৌদি জানে আমি আর আমার মেয়েরা আসবো আমরা সবাইকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য এই কথাটা গোপন করেছি।ছোট দাদার ছেলে আমাদের শ্রেয়ান বাবু তো সবাইকে একসাথে দেখে খুবই খুশি হয়েছে। ও মানুষ খুবই ভালোবাসে। আমি গোবিন্দগঞ্জ থেকে বাসে উঠেছি মেজো বৌদি আর ওর মেয়ে আরাধ্যা আমাদের বাড়ি থেকে রওনা হয়ে ধাপের হাট নামক জায়গায় এসে অপেক্ষা করে তারপর আমরা একই বাসে উঠে রংপুর এ চলে আসি।

বাসার সবাই মেজো বউদিকে দেখে অবাক হয়ে যায় তার কারন হলো কেউ জানতো না যে ওরাও আসবে আমার সাথে।অনেক দিন পর ঘুরতে এসে বেশ ভালোই লাগছে,সবচেয়ে বড় কথা আপনজনের সাথে কাটানো সময় গুলো সবসময়ই অনেক আনন্দের হয়।

"ভিডিও লিংক"