ছোড়দার জন্মদিন।
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ আছি।
প্রত্যেকের জীবনে জন্মদিন এমনি একটা বিশেষ দিন যেটা সকলের কাছেই অনেক মূলবান। এই বিশেষ দিনে কামনা করি তোকে যেনো কোনোদিন বিন্দুমাত্র কষ্টের মুখোমুখি না হতে হয় জীবনে।সাফল্য সর্বদা তোর পরিশ্রমে খুশী হয়ে যেনো তোর কাছে ধরা দেয়...শুভ জন্মদিন... ছোড়দা।
আমরা চার ভাইবোন।তিন দাদার মধ্যে ছোড়দা সকলের ছোট।ও বাংলাদেশ পুলিশ এ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত আছে রংপুর সদরে।ওর সম্পর্কে ইতিমধ্যে আমি একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম আপনাদের সাথে।গত রমজান মাসে ঈদের আগের দিন ডিউটি চলাকালীন অবস্থায় বাইক থেকে নামতে গিয়ে ওর একটি দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ডান পায়ের লিগামেন্ট ছিঁড়ে যায়।তারপর ঢাকায় ডাক্তার দেখানোর পর অপারেশন এর সিদ্ধান্ত হয়।গত ১৩ই জুন ইবনে সিনায় সফলভাবে লিগামেন্ট অপারেশন হয়।তারপর ১৬ তারিখ রংপুর এ নিজ বাসায় চলে আসে। তার কারন হলো পায়ে দুই সপ্তাহ প্লাস্টার রাখতে হবে আর ঈদের পর তিন তারিখ এ ডাক্তার দেখবেন।এতো দীর্ঘ সময় একা একা ঢাকায় থাকাটা খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যাবে তাই রংপুর এ চলে আসে।যেদিন দূর্ঘটনা ঘটে তার পরেরদিন ওর জন্মদিন ছিলো।দূর্ঘটনার কারনে জন্মদিন পালন করা আর হয়ে উঠেনি।
গত শুক্রবার আমি রংপুর এ ছোড়দার বাসায় যাই।গিয়ে দেখি ওর একমাত্র শালা শিশির ঢাকা থেকে ঈদের ছুটিতে রংপুর এ আসছে।আর আমরা তো মা মেয়ে আছি।সবাইকে দেখে শিশির কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ করেই একটা কেক নিয়ে হাজির।কেক দেখে সবাই জিজ্ঞেস করা হলো কেক কার জন্য!তখন ও বললো এবার দাদার জন্মদিন তো পালন করা হয়নি তাই ভাবলাম সবাই যখন আছি তাহলে ছোটখাটো একটা কেক নিয়ে যাই যাতে করে সবাই মিলে একটু আনন্দ উপভোগ করা যাবে। কেক দেখে পরে বৌদি আবার ভালো মন্দ খাবারের আয়োজন করলো।তারপর আমার কাকাতো ভাই রাহুল কে ফোন দিয়ে ডেকে আনলো।ছোড়দার দুই ছেলে আমার দুই মেয়ে শিশির রাহুল সবাই মিলে কেক কাটা হলো।
জন্মদিনের কথা শুনে আমি কি গিফট দিবো ভেবে পাচ্ছিলাম না তখন বেশ রাত হয়ে গেছে আর শুক্রবার তাই সব মার্কেট বন্ধ। পরে শিশির ও রাহুল কে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে একটা পারফিউম আনতে দিলাম।ওরা বেশ ভালো একটা পারফিউম কিনে আনে।তাতে করে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেলাম যে বড় ভাইকে কিছু একটা হলেও উপহার দিতে পারবো।কেক কাটার পরে খাওয়াদাওয়া শুরু হয়ে গেলো। খাবারের আইটেম গুলো হলো সাদা পোলাও,ডিম ভুনা,দেশী মুরগির রোস্ট, সালাদ মিষ্টি,কোক।
খেতে বসে বেশ আনন্দ মজা করে খাবারদাবার শেষ করা হলো।সবমিলিয়ে মোটামুটি ভালোই একটা ছোটো-ছোটো আনন্দ অনুষ্ঠান উপভোগ করা হলো।জন্মদিনের কিছু মুহুর্ত নিচের ভিডিও তে দেখতে পারবেন।সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আমার ছোড়দার জন্য অনেক অনেক আশীর্বাদ,দোয়া করবেন,যাতে করে ও খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।
ভিডিও লিংক
ধন্যবাদ সবাইকে।
টুইটার লিংক
জি দিদি ভাই এটা জন্মদিন সবার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন ৷ যে দিনে এমন সুন্দর পৃথিবীর বুকে আসে ৷ যা হোক দুঃখজনক ঘটনা যে আপনার ছোট ভাই দূর্ঘটনা পায়ে সমস্যা ৷ সবকিছু কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠুক এমনটাই প্রতার্শা করি ৷
আশীর্বাদ করিও ভাই যাতে করে আমার ছোড়দা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাই।
দিদি আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগল। তবে আপনার ভাইয়ের অপারেশন ভালো মতো হয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।আসলে দিদি জন্মদিন তো জন্মদিনই যেকোন সময় পালন করা যায়। এটা সত্যি কিছু গিফট দিতে না পারলে নিজের কাছে ভালো লাগে না। যাইহোক অবশেষে গিফট দিতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগল। দোয়া করি আপনার দাদা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।
হ্যাঁ আপু ইচ্ছে করলেই যেকোনো সময় জন্মদিন পালন করা যায়। এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে পরিবেশ পরিস্থিতির উপর।দোয়া করবেন আপু।ধন্যবাদ।
এরকম ভালো দিন এরকম ভালো সময় বছর ঘুরে বারবার ফিরে আসুক।
এরকম ভাবেই ভালো কাটুক বছরের প্রতিটা দিন।
শুভ জন্মদিন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু আপনি ভাইয়ার বাসায় জেনেছি।আপনার ভাইয়ার আগেই জন্মদিনের তারিখ চলে গেলেও তার শালা শিশির কেক এনে সারপ্রাইজ দিলো,এমন সারপ্রাইজ সত্যি ই খুব ভালো লাগে।আপনি অপ্রস্তুত হলেও এটা ই কিন্তু মজার।আপনারা সবাই খুব আনন্দ করলেন।মজার মজার খাবারও খাওয়া হলো।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। আপনাদের সকলের জন্য রইলো শুভকামনা। ভাইটির জন্য রইলো অনেক অনেক দোয়া ও শুভেচ্ছা।
হ্যাঁ আপু আপনাকে বলেছিলাম দাদার বাসায় যাওয়ার কথা।মাঝে মাঝে এরকম সারপ্রাইজ সত্যিই অনেক আনন্দ দেয়।দোয়া করবেন আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আমি প্রথমেই আপনার ছোট ভাইয়ের সার্বিক সুস্থতা কামনা করছি। আমি আশা করি আপনার ছোট ভাই দ্রুত সুস্থতা লাভ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। আর অবশ্যই আপনার ছোট ভাইয়ের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল। আপনার ছোট ভাইয়ের শুভ জন্মদিনের খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক দোয়া ও শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।