সন্ধ্যাকালীন আড্ডা এবং গান।
"হ্যালো"
আমার বাংলা ব্লক বাসী সবাইকে আমার নমস্কার, আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন,ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আড্ডা দিতে আমরা কে না ভালোবাসি।একটা সময় ছিলো দিনের বেশিরভাগ সময় গুলো আড্ডা দিয়েই পার করতাম,কিন্তু এখন সময়ের পরিবর্তনে দিন দিন আড্ডা গুলো কোথায় যেনো হারিয়ে যাচ্ছে।আড্ডা দেওয়ার মতো বাড়তি সময় এখন কারো হাতে নেই।সারাদিন সংসারের কাজ বাচ্চাদের পড়াশোনা বাকি সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে এসব করেই দিন পার হয়ে যায়।কারো সাথে বসে দু'দণ্ড গল্প করার মতো সময় যেনো এখন কারো হাতে নেই।আস্তে আস্তে আমরা কেমন জানি রোবোটিক হয়ে যাচ্ছি।হয়তোবা আগামীতে আরও অনেক বেশি আমরা আত্মকেন্দ্রিক হয়ে উঠবো তখন আমাদের জীবনে কারো কোনো মূল্য থাকবে না কারো জন্য কোনো সময় থাকবে না ঘরের কোণেই প্রতিটি দিন কেটে যাবে এভাবেই চলবে সবার জীবন।আসলে কি এভাবে বেঁচে থাকা যায! আমি তো মনে প্রাণে চাই সকলের সাথে হাসি গল্প আড্ডা এগুলো নিয়ে ভালো থাকতে।কিন্তু হয়ে ওঠেনা এখন আমি যদি আড্ডা নিয়ে বসি তাহলে আমার বাচ্চাদের উপর তার প্রভাব পড়বে,বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয় তাই আমরা বড়রা যা করি ওরাও তাই করতে চায়।বাচ্চাদের পড়াশোনা আরো অন্যান্য বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিতে গিয়ে সেভাবে আর কারো সাথে গল্প করা বা আড্ডা দেওয়া হয় না।যতটুকু না মিশলেই নয় ততটুকুই মিশতে হয়।
নাফিসা আমাদের বাসার চার তলায় অনন্যা কে পড়াতে আসে প্রতিদিন বিকেলে।পড়ানো শেষ করে যাওয়ার সময় মাঝে মাঝে ও আমাদের বাসায় উঁকি দেয় ভালো মন্দ খোঁজখবর নেয়।ও মানুষের সাথে খুব সহজেই মিশতে পারে তাই এখানকার সবার সাথে ওর খু্ব ভালো সম্পর্ক।একদিন হঠাৎ সন্ধ্যায় ওর হাসবেন্ড ছোট দুই বোনকে নিয়ে হাজির আমার বাসায়।নতুন জামাইকে নিয়ে আসাতে বেশ অবাক হয়েছি আমি।সেদিন নাকি দুপুরে অনন্যাদের বাসায় দাওয়াত ছিলো। দুপুরে খাওয়াদাওয়া শেষ করতে করতে বিকেল গড়িয়ে গেছে তাই একেবারে সন্ধ্যার চা-নাশতার পর্ব সেড়েই অনন্যাদের বাসা থেকে বেড়িয়েছে।ঐ সময় আমার মেয়ে গান প্র্যাক্টিস করছিলো তাই গান শুনে ওরা আমার বাসায় চলে এসেছে।
সবাই বসে গান শুনছিলো আমি ভাবলাম একটু চা-নাশতার ব্যবস্থা করি,নতুন জামাই বাসায় প্রথম এসেছে তাঁকে তো একটু আপ্যায়ন করতেই হবে তা না হলে খারাপ দেখায়া।কিন্তু নাফিসা কিছুতেই আমাকে চা করতে দিচ্ছিলো না বলছিলো আন্টি আমরা এত্তো খাবার খেয়েছি যে পেটে আর বিন্দুমাত্র জায়গা নেই।তারপরও আমি চা করে দিলাম।আমার বাসায় কোনো গেস্ট আসলে কিছু না হোক এক কাপ চা খাওয়াতে না পারলে আমার ভালো লাগে না।বর্ষা একের পর এক গান গেয়ে শোনাচ্ছিলো আর ওরা সবাই খুব মনোযোগ সহকারে গান শুনছিলো।
এভাবে কখন রাত দশটা বেজে গেছে আমারা কেউ টেরই পাইনি।নাফিসার বোন শারীরিক ভাবে একটু অসুস্থ ছিলো ওর নাকি গান শুনে শরীর অনেকটা ভালো লাগছিলো।অনেকদিন পর সবাই মিলে বসে গান শোনা চা খাওয়া সময় টা বেশ ভালোই লেগেছিলো।মাঝে মাঝে এরকম আড্ডা হলে মানসিক চাপ কিছুটা হলেও কমে। কিন্তু ঐ যে বললাম সময় স্বল্পতার কারনে এখন আর আড্ডা দেওয়া হয় না বা ইচ্ছে করে না।আর কয়েক মাস পড়েই বড় মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা তাই এখন আমাকে ওর পিছনে সময় দিতে হচ্ছে।পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার কোনো ছুটি নেই।
আজ এখানেই আমি আমার ব্লগ টি শেষ করছি।সবাই ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
গানের আড্ডা বেশ জমেছিল আসলে গান আমাদের মনের খোরাক জোগায় আর মন ভালো থাকলে শরীর ও ভালো হয়ে যায় অনেক অংশে।গানে এবং গানের সাথে চা বেশ জমেছিলো।অনেক ভালো লাগলো পোস্টি পড়ে।শুভ কামনা রইলো।
সত্যিই তাই গান আমাদের মনের খোরাক।গান শুনলে মন ভালো হয়ে যায়।ধন্যবাদ।
আসলে মানুষের জীবনে বিনোদন না থাকলে বেঁচে থাকার ইচ্ছা কমে যায়। বেঁচে থাকতে প্রচুর বিনোদন করতে হবে। আমার গান ভালো লাগে। গান আমি মাঝে মাজে গাই আমার শুনিও। ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বিনোদন ছাড়া মানুষ বাঁচতে অনেক কষ্ট হয়।গান আমি খুবই ভালোবাসি। আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মাঝেমধ্যে এরকম গানের আড্ডা হলে অনেক ভালোই হয়। আপনার বড় মেয়ে মাঝে মধ্যে গান গাইতে বসে। যদিও আপনাদের পাশের বাসা পড়ানোর জন্য নাফিসা ম্যাম আসে অনন্যাকে পড়ানোর জন্য। এই কারণে মাঝেমধ্যে আপনাদের এখানেও আসে ভালো মন্দ জিজ্ঞেস করে শুনে ভালই লাগলো। যাইহোক সন্ধ্যা বেলা আপনার মেয়ে গান গাওয়াতে নাফিসা তার হাজব্যান্ড ছোট বোনকে নিয়ে আপনাদের বাসা তো আসলো। রাত দশটা পর্যন্ত মনে হয় খুব মজা করে আড্ডা দিয়েছে গান পরিবেশন করে। তবে মন ভালো না থাকলে এরকম গান গাইলে বা গান শুনলে মন ভালো হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জ্বি ভাইয়া নাফিসা সবসময়ই আসাযাওয়ার পথে সবার খোঁজখবর রাখে।সবাই মিলে অনেক অনেক মজা করে আড্ডা দেওয়া হয়েছিলো।ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিনোদন হচ্ছে মানুষের মনের বড় একটি খোরাক। মাঝেমধ্যে এরকম বিনোদন হলে ভালো হয়। যদিও আপনার বড় মেয়ে গান গাইতেছে এবং পাশের বাসায় অনন্যাকে পড়া।নাফিসা আসার কারণে আপনাদের আড্ডাটা আরো সুন্দর হয়েছে। যদিও নাফিসা অনন্যদের বাসায় তার হাজবেন্ড নিয়ে দাওয়াত খেতে আসলো। সন্ধ্যাবেলা আপনাদের বাসায় গান বাজনা দেখে একসাথে বসে আড্ডা দিল। আসলে এরকম পরিবেশ আমার কাছে অনেক ভালো লাগে সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিয়ে গান গাইতে। সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সেদিন সন্ধ্যা টা সবাই মিলে অনেক সুন্দর উপভোগ করেছিলাম আপু।সুন্দর মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ জানাই আপু।