বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। shy-fox 10%
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসী সবাইকে আমার নমস্কার আদাব। আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন? ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এক মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশের মানুষ হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে তাই এই দিনটি বিজয় দিবস হিসেবে পালিত হয়।বর্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা এই দিনটি পেয়েছিলাম। আমাদের দেশের সাহসী ছেলেরা স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমরা তাঁদের সাহসী যুদ্ধ এবং সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের জন্য গর্বিত।
সোর্স
প্রতিবছরই এই দিনটি খুবই আনন্দের সহিত পালন করা হয়। সকাল থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত চলে বিভিন্ন রকমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।সকালে মেয়েরা স্কুলে গিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। সকালে আমি যেতে পারিনি তাই সকালের কোন ছবি বা ভিডিও করতে পারিনি।মেয়রা গান করে দশটার দিকে বাসায় চলে আসে। তারপর সন্ধ্যায় উপজেলায় মুক্ত মঞ্চে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেখানে বিভিন্ন সংগঠন থেকে নাচ, গান, নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল।
আমার মেয়েরা যেখানে গান শেখে সেই প্রতিষ্ঠানের সকল ছেলেমেয়েরা নাচ, গান করার জন্য উপজেলা চত্বরে হাজির হয়। আমরাও সন্ধ্যার লাগার আগেই উপজেলা চত্বরে পৌঁছে যাই।কিছুক্ষণের মধ্যে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে যায়। প্রথমে চাকা প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা গান পরিবেশন করে। তারপর তুলি প্রতিষ্ঠানের শিল্পীরা গান পরিবেশন করে আমার মেয়রা তুলির খুদে শিল্পী।
একটা গান তারপর একটা নাচ এভাবেই চলতে থাকে অনুষ্ঠান। আদিবাসী ও প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বিশেষ আয়োজন ছিল। আদিবাসী মেয়েরা তাদের ভাষায় গানের সাথে অনেক সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করে, যা সকলেরই খুব ভালো লাগে।
সবচেয়ে বেশি অবাক করার মতো বিশেষ আয়োজন ছিল বাক প্রতিবন্ধীদের একটা নৃত্য,সবাই এত সুন্দর ভাবে পুরো গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করে যা দেখতে খুবই অসাধারণ এবং অবাক করার মতো ছিল।আমার জানামতে যারা বাক প্রতিবন্ধী তারা কানে শুনতে পায় না তাহলে কিভাবে এমন গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করলো এটা সত্যি অবাক হওয়ার মতো একটি ব্যাপার।
"ভিডিও লিংক"
এই ছিল আজকের অনুষ্ঠানের কিছু মুহুর্ত,আশাকরি সকলের ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রার্থনা করি।
ছোট ছোট বাচ্চা মেয়েরা যখন শাড়ি পড়ে তাদেরকে খুবই ভালো দেখায়। দেখছি তো খুবই ভালো সময় কাটিয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চারা দেখছি খুবই ভালো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে তাদের নাচ গান খুবই ভালো ছিল। সত্যি এরকম অনুষ্ঠানগুলো ভীষণ ভালো লাগে। আপনি যে ভিডিওর লিংক দিয়েছেন তা আমার কাছে একটু বেশি ভালো লেগেছে। খুবই সুন্দর ভাবে লিখেছেন পুরো পোস্ট। ধন্যবাদ তুলে ধরার জন্য।
জ্বি ভাইয়া সবাই লাল শাড়ি পড়েছিলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। আর সবাই খুব সুন্দর করে নিজেদের দক্ষতা দেখিয়েছে খুবই ভালো ছিল অনুষ্ঠানের প্রতিটি বিষয়।পুরো মুহূর্ত গুলো তুলে ধরার জন্য আমার মেয়ে ভিডিও টি করেছিল যাতে করে সবার ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
শাড়ি পরে মামনিদেরকে অনেক সুন্দর লাগছে। বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করার জন্য সবাই মিলে দারুন সুন্দর সময় কাটিয়েছেন বোঝাই যাচ্ছে। আর সকাল বেলায় যেহেতু আপনি যেতে পারেননি তাই পরবর্তীতে মেয়ের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ দেখতে গিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ভিডিও দেখে আরো বেশি ভালো লাগলো আপু। বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু।
আপু আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাই। জ্বি আপু সকালে যেতে পারিনি ওদের সাথে কিন্তু সন্ধ্যায় গিয়েছিলাম। অনেক সুন্দর অনুষ্ঠান হয়েছিল খুবই ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপু।
পিচ্চি কিন্তু অনেক ভাল ভ্লগ করতে পারে। ওর বয়সে তো আমার মুখ দিয়ে কথাই বের হত না।দুই পিচ্চিই অনেক মেধাবী।ওদের যত্ন করলে ভবিষ্যতে রত্ন হয়ে উঠবে। ভ্লগটি অনেক সুন্দর হয়েছে কাকিমা।ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ মোটামুটি ভালোই পারে। ঠিকই বলেছো এত অল্প বয়সে ক্যামেরার সামনে কথা অনেকেই বলতে পারে না। আমি তো এখনো ঠিকঠাক কথা বলতে পারিনা। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ওদের ভালো কিছু হওয়ার জন্য। ধন্যবাদ।
বিজয় আমাদের গৌরব, বিজয় আমাদের অহংকার। বিজয় দিবসের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আপনি ভিডিওর মাধ্যমে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের চমৎকার কিছু দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে খুব ভালো লাগলো। বিজয় দিবসে এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
বিজয় আমাদের গৌরবের বিষয়,বিজয় আমাদের অহংকার। বিজয় দিবসের উৎসবের মধ্যে দিয়ে পুরো দিন টি আমরা বেশ ভালোই উপভোগ করেছি। আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
দিদি নমস্কার
আসলে দিদি ২৫শে মার্চ গভীর রাতে অর্তকিত হামলার পর৷ ২৬শে মার্চের প্রথমে জাতির পিতার ডাকে সবাই যে যার কিছু তাই নিয়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই ৷
যদিও আমার শুধু বইয়ের পাতায় দেখেছি পড়েছি ৷ না জানি তখন বাঙালিদের উপরে কত অত্যাচার গিয়েছে৷ যা হোক দীর্ঘ ৯ মাস পর স্বাধীনতা সত্যি বিশ্বের বুকে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ৷
যা বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান সত্যি বলতে দারুন ৷ তবে দিদি একটি কথা মানে ভিডিও টি কিভাবে করেছেন ৷ মানে বাইরের কোনো নয়েশ শোনা যাচ্ছে না ৷ বলবেন প্লিশ
বিজয় দিবস নিয়ে খুবই সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন তার জন্য আপনাকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ।সত্যিই অনুষ্ঠান খুব ভালো ছিল। ভিডিও টি আমার ছোট মেয়ে এডিট করেছে ও এসব খুব ভালো পারে আমি এসবের কিছুই বুঝি না ভাই। সম্ভবত সাউন্ড অফ করে মিউজিক দিয়েছে।
আপনার মেয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে শুনে খুবই ভালো লেগেছে। আসলে বছরের শেষে এই দিনটিতে অনেক মজাই হয়। এই সময় অনেক মজা করা হয় সবাই মিলে একসাথে শাড়ি পড়ে। আমরা তো আগে ছোটবেলায় স্কুলের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতাম যা সত্যি ভোলার নয় কখনো। আপনার মেয়েকে তো দেখছি শাড়ি পরার কারণে খুবই ভালো লাগছে। যাই হোক এমনিতে খুবই মজা করেছেন মনে হয় খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। আমাদের সাথে এরকম একটি মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন আপু ছোটবেলায় আমরা অনেক মজা করেছি এখনো দিন গুলোর কথা খুব মনে পড়ে।মেয়েরা অনুষ্ঠানে গান গেয়েছে, সব মেয়েরা লাল শাড়ি পড়েছিল আর ছেলেরা সবুজ পাঞ্জাবি পড়েছিল সবাইকে দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। অনেক ভালো সম কাটিয়েছি সবাই মিলে,সেই ভালোলাগার মুহুর্ত গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি।ধন্যবাদ আপু।
বাহ্ ভাগনিদের তো অনেক ক্রেয়েটিভিটি আছে। বাংলার স্বাধীনতা দিবসে অনেক সুন্দর একটি প্রোগ্র্রামে অংশ গ্রহণ করে মায়ের মুখ উজ্জল করেছে।