বিপদ😥
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সকল সদস্যগণ,কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?পরম করুণাময় ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভালো আছি তবে শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ আছি।
আমি @bristychaki "আমার বাংলা ব্লগ"এর আমি একজন নিয়মিত ইউজার। আমি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। প্রতিদিনের মতো আমি আজও নতুন একটি ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আশাকরি আজকের পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।
বিপদ-আপদ মানুষের নিত্যসঙ্গী। বিপদ বলে-কয়ে আসে না। কখন কার ওপর সমস্যা, দুর্বিপাক নেমে আসে তা কেউ জানে না।মানুষের জীবনে বিভিন্ন ধরনের বিপদ এসে থাকে। এটি সকল মানুষের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে বিপদ কখনো না কখনো এসে থাকে মানুষের জীবনে, বিপদ আশা টাই স্বাভাবিক । আমাদের সব সময় এক রকম যাবে এটার কোনো মানে হয় না । আমরা কখনো অনেক ভালো থাকি আবার কখনো বিপদে থাকি।
সেদিন বেশ ভালোই ছিলাম।বড় মেয়ের পরীক্ষা নিয়ে বেশ ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছিলো পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকেই তাই মনে মনে বেশ ভালো লাগছিলো,যে এখন থেকে আবার জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে আসবে এবং কাজকর্মে নিজেকে মনোনিবেশ করতে পারবো। এসব ভাবতে বেশ ভালোই লাগছিলো।শেষ পরীক্ষার আগের দিন রাত্রে খেয়েদেয়ে ঘুমাতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিলো,তাই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতেও একটু এদিক সেদিক হয়েছিলো।প্রতিদিনের মতোই খাবারদাবার রেডি করে মেয়েকে রেডি করিয়ে তাড়াহুড়ো করে মা মেয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়লাম।
হাতে খুব একটা সময় ছিলো না তাই ভাবলাম আজ রিক্সা দিয়েই পরীক্ষা কেন্দ্রে যাই।একটা রিক্সা ডেকে মেয়ে উঠে পড়লো।আমি উঠতে লাগছিলাম ঠিকঠাক মতো বসতে পারিনি তার মধ্যেই রিক্সাওয়ালা ভেবেছেন আমি বসে পড়েছি, আর উনি এই ভেবে রিকশা চালানো শুরু করলো।রিক্সা ঘোরানোর সাথে সাথে আমি চিৎকার করে উঠলাম যে আমি এখনো বসতে পারিনি দাঁড়ান ঠিক তখনই আমার ডান হাতের কব্জিতে বেশ একটা মট করে শব্দ হলো। তখনই বুঝতে পারছি আমার হাতে জোরে সোরে আঘাত পেলাম।মেয়েকে পৌঁছে দিয়ে বাসায় এসে ব্যথার মলম লাগিয়ে মালিশ করলাম তারপর ব্যথার ওষুধ খেলাম।
ভেবেছিলাম ঠিক হয়ে যাবে।দেখতে দেখতে ব্যথাটা বেশ বেড়ে যাচ্ছিলো এভাবেই ১০-১২ দিন কেটে গেলো।গত চার দিন আগে সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি কোনোভাবেই হাত নাড়াতে পারছিনা ব্যথায় অস্থির হয়ে যাচ্ছি।তখনই ঠিক করলাম আর চুপচাপ বসে থাকা যাবেনা।আমি যে এলাকায় থাকি সেখানে খুব একটা ভালো ডাক্তার পাওয়া যায় না ভালো ডাক্তার দেখাতে হলে বগুড়ায় যেতে হয়।তাই সাথে সাথে বগুড়ার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম।বগুড়ায় গেলাম গিয়ে প্রথমে একটা হাতের এক্সরে করালাম।তারপর ডাক্তারের সিরিয়াল দিলাম এবং যথারীতি সময়ে ডাক্তার সাহেব আসলেন।ডাক্তারের চেম্বারে গেলাম সকল টেস্টের রিপোর্টগুলো উনি পর্যবেক্ষণ করলেন এবং বললেন যে আমার কব্জির হাঁড় ফেটে গেছে।শুনে আমি বেশ আতঙ্কিত হয়ে গেলাম।কিন্তু ডাক্তার সাহেব আমাকে বুঝালেন যেটা খুব একটা বড় ধরনের সমস্যা নয়।কিন্তু সামান্য হাঁড় ফেটে যাওয়ার জন্য কাজকর্মের ব্যঘাত ঘটছে এবং শারীরিকভাবে আমি বেশ অসুস্থ বোধ করছি।তাই কোনোভাবেই অবহেলা করা যাবে না তাতে করে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।টেস্টের রিপোর্ট দেখার পর ডাক্তার সাহেব ওষুধপত্র দিলেন এবং হাত তিন সপ্তাহের জন্য রেস্টে রাখতে বললেন যাতে করে খুব দ্রুত হাঁড় জোড়া লেগে যায়।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করছি।যদি বা বসে থাকার মতো অবস্থা আমার নেই।তার কারণ হলো আমার হাজবেন্ড এখানে থাকেন না তাই সংসারে সকল দায়িত্ব এবং মেয়েদের দেখাশুনা সবকিছুই আমাকে করতে হয়। ভগবানের অশেষ কৃপায় আমার মেয়েরা অনেক লক্ষী তাই ওরা আমাকে কোনো কিছু করতে দিচ্ছে না ওরা নিজের মতো করে যতটুকু পারছে ততটুকুই করার চেষ্টা করছে।দুই মেয়ে মিলে রান্নাবান্না করছে ঘরের কাজকর্মগুলো করছে পাশাপাশি আমারও দেখাশোনা করছে এটা আমার জন্য পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার।
হাত নাড়াচাড়া করতে পারছি না তাই নিজের কাজগুলো ঠিকঠাক মতো করতে পারছি না।এই কমিউনিটিতে যুক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে ছুটি নিতে হয়।বারবার ছুটি নেওয়া কাজে বিরতি নেওয়া এটা আমার কাছে খুবই লজ্জাজনক লাগে কিন্তু তারপরও কিছু করার নেই কারণ আমি একেবারেই নিরুপায়।শুধুমাত্র আমার বাংলা ব্লগ এর মতো প্ল্যাটফর্ম জন্য হয়তোবা এখনো টিকে আছি।তার জন্য আমি কমিউনিটির সকলকেই অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই।🙏🙏যখনই মনে করি সব ঝামেলা কাটিয়ে উঠে সবকিছু স্বাভাবিক নিয়মে করার চেষ্টা করবো আর ঠিক তখনই কোনো না কোনো বিপদের সম্মুখীন হয়ে যাই।এটা আমার আসলেই দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই না।তারপরও ভগবানের কাছে কৃতজ্ঞ সবকিছু মিলিয়ে উনি বেশ ভালোই রেখেছেন।সমস্যা মানুষের জীবনে থাকবে এই সমস্যাগুলো অতিক্রম করে চলার নামই হচ্ছে জীবন।
আজ এখানেই শেষ করছি আপনারা সকলেই আমার জন্য আশীর্বাদ দোয়া করবেন যাতে করে সকল সমস্যা কাটিয়ে খুব দ্রুত আপনাদের সাথে ভালোভাবে যুক্ত থাকতে পারি।
OR
সত্যি বলতে কি আপু বিপদ কখনো কাউকে বলে কয়ে আসেনা। তবে এমন হঠাৎ একটি বিপদ মানুষকে সত্যি কষ্ট দিয়ে থাকে। আর এই কমিউনিটি থেকে ছুটি নিয়ে থাকতে মন চায় না। তবে বিশেষ প্রয়োজনে থাকতে হয়। আমি সর্বদা আপনার সুস্থতা কামনা করি আপনি যেন আমাদের সাথে ভালোভাবে থাকতে পারেন, সামনের কোনদিন যেন আর বাধা-বিপত্তি না আসে সেই কামনা রইল। আপনার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।
জ্বি ভাইয়া বিপদ কখনো বলেকয়ে আসে না।দোয়া করবেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি সকল সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারি।ধন্যবাদ ভাইয়া।
টুইটার লিংক
প্রথমে আপনার সুস্থতা কামনা করছি। বিপদ কখন কোন দিক থেকে আসবে সেটা বলা যায় না। আপনার এই দুর্ঘটনা উপরওয়ালার ইচ্ছাতেই হয়েছে এবং তিনিই আপনাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করবেন। যেহেতু ডাক্তার বলেছেন যে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবেন ইনশাল্লাহ, আমরাও আশাবাদী আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে আবারো ফিরে আসবেন। আর আপনার মেয়েরা অত্যন্ত লক্ষ্মী সেটা আমিও জানি। ওদের জন্য অনেক দোয়া রইল। সর্বোপরি আপনার সুস্থতা কামনা করছি।
বিষয়টা জানতে পেরে অনেক কষ্ট লাগলো দিদি। কব্জির হার ফেটে গেছে এটা বড় কোন সমস্যা নাই তবে কিছুদিন নিয়ম মেনে চললে ঠিক হয়ে যাবে। দোয়া রাখছি আপনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
সেদিন শুভ দাদার পোষ্টে দেখলাম তো আপনার হাতের সমস্যা টা ৷ আসলে আমাদের জীবনে কখন কোন বিপদ আসে বলা মুশকিল ৷ যা দিদি আপনার সুস্থতা কামনা করছি ৷ আশা করি খুব তারাতারি সুস্থ হয়ে উঠবেন
সত্যি তাই কখন কি ভাবে বিপদে পড়তে হয় তা আমরা কেউ জানি না।আপনি দেখছি ভীষণ ভয়ংকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন। ভাগ্যিস রিক্সা থেকে পড়ে গিয়ে কোমড় ভাঙ্গেনি।মানুষের প্রতিটি অংঙ্গপ্রতঙ্গই দরকারী। আর যদি কোন এক অঙ্গের কোন ক্ষতি হয় তবে খুব সমস্যার কারণ হয়ে দাড়ায়।একদমই রেষ্টে থাকা দরকার আপনার।খেয়াল রাখতে হবে হাতটি যাতে করে নারাচরা করতে না হয়।সুস্থতা কামনা করছি।
ব্যাপার টা শুনে খুবই খারাপ লাগল আপু। রিক্সাওয়ালার একটু অসাবধানতার জন্য আজ এইরকম একটা দুর্ঘটনা। তবে আপনার আরও আগেই গিয়ে হাতের চেক আপ টা করানোর দরকার ছিল। একটু বেশিই দেরি করে ফেলেছেন আপনি। এটা ঠিক হয় নাই। যাইহোক শেষমেশ সমস্যা টা তো জানতে পেরেছেন। আশাকরি নিয়ম অনুসারে চললে খুব দ্রুতই সুস্থ্য হয়ে যাবেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
এটি ঠিক বলেছেন বিপদ আপদ আসতে কাউকে বলে আসে না। আসলে কিছু কিছু বিপদ মানুষের জন্য সারা জীবনে কান্না হয়ে দাঁড়ায়। তবে আপনি রিক্সার মধ্যে ঠিকমতো বসেন নাই। এবং রিক্সাওয়ালা রিক্সা চালু করে দিল। হাতের কবজিতে ব্যথা পেলেন। তবে আমি মনে করি রিক্সাওয়ালা একটু সচেতন থাকা দরকার ছিল। আপনি ভালোই করেছেন ১০-১২ দিন পরে হলেও ডাক্তারের কাছে গেলেন। আসলে একবার আমারও হাতে এরকম ব্যথা পেয়েছিলাম। তবে আপু ডাক্তারি পরামর্শ করে ওষুধ এবং খেয়াল রাখেন। আল্লাহর রহমতে ভালো হয়ে যাবে। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল আপু।
এখনকার অটো, রিক্সাওয়ালাদের খুব তাড়াহুড়োতে থাকতে দেখা যায়। আপনি রিকশায় ভালো করে ওঠার আগেই রিক্সাচালক রিক্সা চালানো শুরু করে দিয়ে কাজটা ঠিক করে নি । উনার উচিত ছিল আপনার থেকে শুনে তারপর যাত্রা শুরু করা। যাইহোক, আপনার বেশ ভালো একটা ক্ষতি হয়ে গেল দিদি। আপনার হাতের কব্জির হাঁড় ফেটে গেছে, এটা তো অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাপার। তবে যেহেতু ভালো ডাক্তার দেখিয়েছেন, আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। আর আপনার মেয়েরা যেহেতু লক্ষ্মী, আশা করি তারা সবকিছু ম্যানেজ করে নেবে।