ঢেঁকিশাক, পুঁইশাক আর টুনা মাছের সমন্বয়ে স্পাইসি সুশি রেসিপি।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।
আজকে আমি মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করলাম। আর এটি হলো ঢেঁকিশাক আর পুইশাকের স্পাইসি সুশি রেসিপি।আসলে আমরা সবাই কিন্তু বিভিন্নরকম শাক খেতে পছন্দ করি।আর আমাদের দেশে কিন্তু হরেক রকম শাক রয়েছে।শাকে যেমন রয়েছে বিভিন্নরকম ভিটামিনস তেমনই রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। যা আমাদের হজমে সহায়তা করে।ঢেঁকিশাক কিন্তু সচরাচর পাওয়া যায় না।আমাদের এইদিকেও আগে যেমন পাওয়া যেত এখন তেমন নেই।কচি থাকা অবস্থায় এই শাক খেতে ভীষণ মজা হয়।কাঁঠালের বিচি দিয়ে ঢেঁকিশাক রান্না করলে খেতে অসম্ভব মজার হয়।সেটা যেহেতু নিত্যদিনের একটা রেসিপি তাই আর ঐভাবে না করে একটু ভিন্নরকম করলাম।
জাপানিরা সুশি তৈরিতে এক্সপার্ট। তবে আমাদের দেশেও কিন্তু এখন বিভিন্ন রকম রেস্টুরেন্টগুলোতে সুশি তৈরি করা হয়।যদিও কখনো সেগুলো খাওয়া হয় নি তবে রেসিপি দেখেছিলাম।আর এবার ভাবলাম পুষ্টিকর ঢেঁকিশাক দিয়ে আর টুনা মাছ দিয়ে পুর তৈরি করে সুশি তৈরি করব।যদিও আমি উপরের লেয়ার তৈরিতে ডিমের সাদা অংশ আর পুইশাক ব্যবহার করেছি যাতে সাদা সবুজ ডিজাইন আসে।তো যাইহোক খেতে তো ভালোই লেগেছে, কারণ মাছ দিয়ে শাক ভুনা করা ছিল আবার মাছের এক্সট্রা লেয়ার ছিল।সবমিলিয়ে মজাদার হয়েছে।
আজকের রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ |
---|
পরিমাণ |
ঢেকিশাক | ১ মুঠো | পুঁইশাক | ৮/১০টা | পেঁয়াজ কুচি | ২টি | কাঁচামরিচ কুচি | ৩টি | লবণ | দেড় চা চামচ | মরিচগুঁড়া | ১ চা চামচ | হলুদ গুড়ো | ১ চা চামচ | রসুন বাটা | দেড় চা চামচ | টুনা মাছ | পরিমাণ মত | চিলি সস | ১টেবিল চামচ | সয়া সস | ১ চা চামচ | তেল | আধা কাপ | পানি | পরিমাণ মত |
প্রথমে ঢেকিশাকগুলোর পাতা ছিড়ে নিলাম এবং নরম ডাটা গুলো কুচিকুচি করে কেটে নিলাম। তারপর ভালোভাবে ধুয়ে রেখে দিলাম। এইধাপে টুনা মাছকে বড় পিস করে কাটলাম।তারপর প্রথমে পাতলা স্লাইস করে ৪টি কেটে নিলাম।আর বাকি টুকরো থেকে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম। স্লাইস করা মাছের পিসগুলোকে আলাদাভাবে ধুয়ে নিলাম।এরমধ্যে চিলিসস, সয়াসস আর সামান্য হলুদ দিয়ে মেখে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম। এখন একটি কড়াইতে তেল দিলাম পরিমাণ মত।তেল গরম হলে ম্যারিনেট করা মাছ দিয়ে ২ পাশ ভালোভাবে ভেজে তুলে নিলাম। এখন আবার সেই কড়াইতে মাছ ভাজা তেলেই পেঁয়াজকুচি আর কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।কিছুক্ষণ ভেজে নিয়ে এরমধ্যে রসুনবাটা, হলুদ গুড়ো, মরিচ গুড়ো, লবণ দিয়ে আবারো ভেজে নিলাম প্রায় ৫ মিনিট।তারপর সামান্য পানি দিয়ে কষিয়ে নিলাম। এরপর কষানো মসলার মধ্যে ছোট টুকরো করে রাখা মাছ দিয়ে দিলাম।কিছুক্ষণ সেগুলো রান্না করলাম। তারপর ঝোল একটু শুকিয়ে এলে দিয়ে দিলাম ঢেঁকিশাক। আবারো একটু পানি দিয়ে শাক হওয়া পর্যন্ত রান্না করলাম।একটু শুকনো ভাজা করে নামিয়ে নিলাম। এখন একটা ডিম ভেঙে নিলাম।কুসুম আলাদা করে রেখে দিলাম। আর সাদা অংশ কাটা চামচের সাহায্যে ফেটিয়ে নিলাম।তারপর পুঁইশাকগুলোকে কুচি করে কেটে সেই ডিমের মধ্যে দিলাম।একটুখানি লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিলাম। চুলায় তাওয়া বসিয়ে হালকা তেল দিলাম।তারপর এই ডিমের মিশ্রণটা দিয়ে দিলাম গোল করে ছড়িয়ে ভালোভাবে ভেজে তুলে নিলাম। এখন একটি পাতলা পলির উপরে ডিমের তৈরি স্লাইসটা দিলাম।তারউপরে ভাত দিয়ে দিলাম।ভাত দেয়ার আগে আমি গরম থাকা অবস্থায় চামচ দিয়ে ভালোভাবে মিক্স করে আঠালো করে নিয়েছি যাতে ঠিকমত আটকানো যায়।তারপর আমি শাকের পুর দিয়ে দিলাম লম্বালম্বিভাবে।আলাদা ভেজে রাখা মাছ চিকন করে কেটে দিয়ে দিলাম। এখন আমি খুব সাবধানে একপাশ থেকে রোল করা শুরু করলাম।একটু শক্ত করে রোল তৈরি করে পলিব্যাগ দিয়ে ভালোভাবে আটকে সেট হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ রেখে দিলাম। প্রায় আধা ঘন্টা পর এটি সুশির আকারে কেটে নিলাম। তারপর ডেকোরেশন করে নিলাম। আশা করি,আপনাদের কাছে অবশ্যই ভালো লাগবে আমার আজকের এই রেসিপি।
|
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | সুশি রেসিপি |
ক্যামেরা.মডেল | জে৫ প্রাইম |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
দারুন একটা রেসিপি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনার সুন্দর এর রেসিপি আমার অনেক অনেক ভালো লেগেছে। এই জাতীয় রেসিপি আমি কোনদিন কাউকে বানাতে দেখিনি তবে পাটিসাপটা পিঠা ঠিক এমন করেই তৈরি করে। আর যাই হোক বেশ ভালো লাগলো।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাহ! দারুণ একটা রেসিপি উপস্থাপন করেছেন, এটা আমার কাছে দারুন কিছু মনে হয়েছে। নতুন রেসিপি শিখে নিলাম তারপর বাড়ীতে স্বাদটা চেক করে নিবো। অনেক ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো।তবে স্বাদ চেক করলে দেখবেন গরম গরম খেতে খুব মজা লাগবে।
রেসিপি নামটা অপরিচিত মনে হলেও সবজি এবং মাছ আমার পরিচিত।
যদিও সবগুলোর মিশ্রণে কখনো এমন রেসিপি প্রস্তুত করা হয়নি প্রথমবারের মতো আপনার মাধ্যমে দেখলাম।
দেখে তো লোভ হচ্ছে জিভে জল চলে আসলো খেতে নিশ্চয়ই খুব মজা হয়েছিল।
আসলে প্রথমবার তৈরি করেছি ভাইয়া,তবে ভালোই হয়েছে।
অনেক অনেক অভিনন্দন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এর জন্য।রেসিপিটা যেমন ইউনিক তেমনি খেতেও সুস্বাদু হয়েছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ সবার মাঝে এই ইউনিক রিসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ দেয়ার জন্য।
বাহ আপু আপনি একদম ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। আপনার উপস্থাপনাটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। কনটেস্টের অংশগ্রহ ণ করতে থেকে বেশ ভালই লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
নতুন একটি রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো। রেসিপি ডেকোরেশন টা খুব সুন্দর হয়েছে। ফুল দিয়ে সাজিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লেগেছে আপু। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
প্রথমে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আপনি ইউনিক পদ্ধতিতে ঢেঁকিশাক, পুঁইশাক আর টুনা মাছের সমন্বয়ে স্পাইসি সুশি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনার রেসিপিটা দেখে বুঝতে পারছি এটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। এইবারের প্রতিযোগিতাটা বেশ ইউনিক ছিল। এই প্রতিযোগিতার কারণে বিভিন্ন রকম শাকের রেসিপি দেখতে পাবো এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। আপনার মাধ্যমে এরকম ইউনিক রেসিপি দেখতে পেয়ে আরো ভালো লেগেছে।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই কনটেস্ট অংশগ্রহণ করার জন্য। আপু আপনি ঢেঁকি শাক পুঁইশাক টুনা মাছের সমন্বয়ে স্পাইসি সুশি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি তৈরি পদ্ধতি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি বেশ পরিশ্রম করে এটা তৈরি করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দারুণ উপস্থাপনা ছিল দেখে তো মুগ্ধ হয়ে গেছি। কারণ শাকের রেসিপিটি অনেক ইউনিক লেগেছে আমার কাছে। দেখে তো মনে হচ্ছে খেয়ে নিতে কিন্তু খাবার তো সুযোগ নেই। যদি খেতে হয় তাহলে আপনার রেসিপি দেখে তাহলে তৈরি করে নিতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।