নিজেকে প্রকাশ করার এক দারুণ প্লাটফর্ম হলো স্টিমিট প্লাটফর্ম।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার মনের কিছু অনুভূতি শেয়ার করব।যা কিছুদিন ধরেই মাথায় ঘুরঘুর করছিল।
আমরা যারা স্টিমিটে আছি, যারা আমার বাংলা ব্লগে আছি তারা সকলেই অনেক বেশি লাকি। আজকে আমি এই নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে তুলে ধরবো। সাধারণ কিছু কথা আপনাদের সাথে তুলে ধরতে খুব ইচ্ছে হলো। কারণ আমরা আমাদের সামান্যতম যোগ্যতা বা দক্ষতা গুলোকে সবার সাথে ভাগ করে নিতে পারছি। আমাদের যোগ্যতা প্রকাশের একটা সুন্দর স্থান হচ্ছে স্টিমিট প্লাটফর্মের আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি।
আমার বাংলা ব্লগ মানেই হচ্ছে নতুন কিছু। আমার বাংলা ব্লগ মানেই হচ্ছে নিজের দক্ষতা গুলোকে প্রকাশ করা এবং ইনকাম করা। শুধুমাত্র তাই নয় হাসি, আনন্দ সবকিছু ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য এই প্লাটফর্ম একটি বেস্ট প্লাটফর্ম। এখানে অনেকেই ব্লগিং করে। তবে যারা আমার বাংলা ব্লগে আছে তারা হয়তো অনেক বেশি হ্যাপি। কারণ এখানে যে কোনো বিষয়ে উৎসাহ দেয়া হয়। যে কোন ভালো কাজকে মূল্যায়ন করা হয়। উৎসাহ প্রদানের জন্য রয়েছেন আমাদের ফাউন্ডার এবং আমাদের এডমিন, মডারেটর ভাই বোনেরা।
যাইহোক মূলত আমি আপনাদের সাথে বলতে চাচ্ছি আমাদের নিজেদের প্রকাশ করার সুযোগ পেয়ে আমরা কতটা ভাগ্যবান। কিন্তু যারা আমাদের থেকেও অনেক দক্ষ এবং যোগ্য অন্যান্য বিষয়ে তারা কিন্তু এখানে আসতে পারছে না,বা তাদের যোগ্যতা গুলোকে সঠিক জায়গায় তুলে ধরতে পারছে না। আর যে যোগ্যতা গুলো তাদের মধ্যেই সীমিত রয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই আমি আর্ট করতে খুব ভালবাসতাম। তখন থেকে আমাদের আর্টের বইও ছিল। কারণ আমি কিন্ডারগার্টেন এ পড়েছিলাম। সেখানে প্লে থেকেই একটা আর্টের বই অপশনাল হিসেবে থাকতো।আর তখন থেকে আমি বিভিন্ন ধরনের আর্ট করতাম। পড়ালেখার শেষ হতে না হতেই আমি বসে যেতাম পেন্সিল খাতা আর রং নিয়ে। যদিও তখন ছোট যে মোম রং এর প্যাকেটগুলো পাওয়া যেত, একটি প্যাকেটে ছয়টি রং ছিল। ওই রঙগুলো দিয়ে কোনমতে রং করতাম। আম, কলা, আপেল ইত্যাদি এগুলো ছোটদের জন্য যেগুলো হয়ে থাকে সেগুলো থেকেই শুরু।
কিন্তু ধীরে ধীরে যখন বড় হতে থাকলাম তখন মাধ্যমিকে এসে চারুকলা বই পেয়েছিলাম। তবে সেখানে কখনো এটিকে প্রতিযোগিতা হিসেবে নেওয়া হয়নি। স্কুলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা হতো। আর আমি সব সময় চেষ্টা করেছি চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে।অংশগ্রহণ করেছি যতবারই, কিছু না কিছু প্রাইজ নিয়ে এসেছি।এই বিষয় গুলো শুধুমাত্র আমাদের পড়ালেখার পাশাপাশি করা হত।কিন্তু কখনো এটিকে বাধ্যতামূলক ভাবে দেখা হয়নি।
সত্যি বলতে যখন থেকে বিভিন্ন রকম রঙ দিয়ে চিত্রাঙ্কন করতাম তখন থেকেই আমার খুব ইচ্ছা ছিল জলরঙ দিয়ে রঙ করার।এমনও হয়েছে আমি আব্বুকে বলতাম যে আমার জন্য সব রকম রঙ নিয়ে আসার জন্য।কিন্তু আব্বু আনতো না, কারণ ভালো করেই জানতো এগুলো নিয়ে আসলে আমি পড়াশোনা বাদ দিয়ে সারাদিন রঙ করা, ছবি আঁকা নিয়েই বসে থাকবো।পড়তে বসেও কতবার যে রঙ নিয়ে বসতাম,আর বকা খেতাম আম্মুর কাছে।যাইহোক ইচ্ছা ছিল জলরঙ আর ক্যানভাসে পেইন্টিং করব।অবশেষে আমার হাজব্যন্ড যখন স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানে তখন অনেকের এই ক্রিয়েটিভিটি দেখে আমাকে বলেছিল পেইন্টিং করতে।
বিয়ের পর পরই আমার জন্য প্রথমে জলরঙের ছোট টিউবের এক বক্স রঙ, তুলি আর আর্ট খাতা কিনে দিয়েছিল।তারপর আবার পোস্টার রঙ আর ক্যানভাস কিনে দিয়েছে।সত্যি বলতে আমার কাছে কয় ধরনের রঙ আছে নিজেই জানিনা,পাশাপাশি অনেক সাইজের তুলিও রয়েছে।এইতো আমরা সামান্য আর্ট করছি,ক্রাফট করছি বা বিভিন্ন রকম রেসিপি করছি যেগুলো আমরা ব্লগ আকারে শেয়ার করে ইনকাম করতে পারছি।নিজেদের একটা আলাদা পরিচয় তৈরি করতে পারছি।
কিন্তু যারা আমাদের থেকেও ভালো কাজ করে,প্রফেশনাল আর্টিস্ট এর মত,বা শেফ আছেন যারা তারা এখানে এসে ব্লগিং করতে পারছেন না। কারণ তারা হয়তবা জানেনই না এভাবে যে ব্লগিং করে একদম সহজেই নিজের যোগ্যতা বা দক্ষতার প্রকাশ ঘটানো যায়।
সর্বোপরি এই বিষয়গুলো আমার মাথায় ঘুরছিল বেশ কিছুদিন যাবৎ।আর ভাবলাম এই চিন্তাধারা আপনাদের সাথে শেয়ার করি।আমরা কতটা ভাগ্যবান তা হয়ত এখানে আসার আগের ও পরের অবস্থা চিন্তা করলেই ভালো বুঝতে পারব।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
একসময় আর্ট করার জন্য আপনার মায়ের কাছে বকা খেতেন কিন্তু এখন এই আর্ট করার জন্য আপনি আরো লাভবান হতে পারছেন। আপনার এই পোস্ট পড়ার পর আমাদের প্রিয় দাদার প্রতি আরো একবার কৃতজ্ঞতা জানাতে মন চাইছে। আপনার দক্ষতা আছে আপনি সেই দক্ষতা এখানে শেয়ার করে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করতে পারছেন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগ্য ব্যক্তিরাই এখানে নিজের ক্রিটিভিটি প্রকাশ করে চলেছে। প্রত্যেকটা ইউজার আলাদা আলাদা বিষয় পারদর্শী যেটা থেকে অনেক কিছু শিখেছি অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। এজন্য বলব আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে।
খাটি কথা বলেছেন আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়েছে।
ঠিকই বলেছেন আপু এখানে না আসলে আমরা আমাদের নিজেদের প্রতিভাকে কখনোই প্রকাশ করার সুযোগ পেতাম না। আর অনেকে আছে যাদের ভিতরে অনেক প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তারা অন্যের সামনে প্রকাশ করতে পারে না। আমরা আসলেই অনেক লাকি। আপনার আর্ট গুলো ভালই হয় । ছোটবেলা থেকে আপনার আর্টের প্রতি একটা আকর্ষণ থাকার কারণে আপনি সুন্দর সুন্দর করতে পারেন। ভাল লাগল আপু আপনার লেখাটি পড়ে।
আপনার সাথে শহমত অনেকে আছে যাদের ভিতরে অনেক প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তারা অন্যের সামনে প্রকাশ করতে পারে না। আমরা আসলেই অনেক লাকি।
বাপরে এখানে এত এত ক্রিয়েটিভ পারসন কারো সাথে যেন পেড়ে ওঠার জোর নেই। আর এই সম্পূর্ণ পেড়ে ওঠা শুধুমাত্র আমার বাংলা ব্লগের জন্য।পোস্ট পড়ে বুঝা যাচ্ছে আপনি অনেক ক্রিয়েটিভ। স্টিমেট নিয়ে খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখলেন আপু।
পোস্টটি পড়ে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
https://twitter.com/bristy110/status/1617226619030228995?s=20&t=OOdMS6z5T4QHVpNAaNVlZA
স্টিমিট প্ল্যাটফর্ম আমার বাংলা ব্লগ নিয়ে আপনার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আপু।সত্যি বলতে আমরা যারা ঘরে বসে নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে প্রকাশ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারছি সেটা হচ্ছে অনেক বড় পাওয়া।যেখানে কাজের মূল্যায়ন করা হয় কাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয় সেটাই হচ্ছে অনেক আনন্দের।আপনার এই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আপনি অনেক দূরে গিয়ে যেতে পারবেন আশা করি।এরকম সুন্দর প্রতিভা সবার থাকে না আপনার যেহেতু আছে সেটা আপনি ধরে রাখার চেষ্টা করবেন অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক যারা ঘরে বসে নিজের ক্রিয়েটিভিটিকে প্রকাশ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারছি সেটা হচ্ছে অনেক বড় পাওয়া।
এটা একদম ঠিক বলেছেন অনেক দক্ষ মানুষই জানে না তাদের এই দক্ষতাটি কোথায় কাজে লাগানো যায়, আমরা এই বিষয়গুলো সম্পর্কে দক্ষ না হয়েও আমরা আনন্দ করতে করতেই উপার্জন করছি, আসলে এই প্ল্যাটফর্ম আমাদেরকে স্বাধীনতা দেয় এবং সত্যি আমরা অনেক লাকি এরকম একটা প্ল্যাটফর্ম এবং আমার বাংলা ব্লগের মত একটা পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখতে পেরে।
আমিও তাই মনে করি আমরা অনেক লাকি এরকম একটা প্ল্যাটফর্ম এবং আমার বাংলা ব্লগের মত একটা পরিবারের সাথে সম্পর্ক রাখতে পেরে।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন নিজেকে প্রকাশ করার এক দারুণ প্লাটফর্ম হলো স্টিমিট প্লাটফর্ম। আর আমাদেরকে সেই সুযোগ করে দিচ্ছে আমাদের প্রিয় কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ। অনেক মানুষ অনেক বিষয়ে দক্ষ কিন্তুু তারা তাদের দক্ষতা সঠিক জাগায় কাজে লাগাতে পারছে না যেটা আমরা পারছি। ধন্যবাদ আপু।
একদম যথাযথ বলেছেন অনেক বিষয়ে দক্ষ কিন্তুু তারা তাদের দক্ষতা সঠিক জাগায় কাজে লাগাতে পারছে না
স্টিমেট প্লটফর্মে আপনার লেখা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগল। সত্যি আপু স্টিম প্লটফর্ম এমন একটি জায়গা যেখানে আমরা আমাদের নিজের ক্রিয়েটিভ শেয়ার করতে পারি।এর মাধ্যমে আমরা ইনকাম ও করতে পারছি ও সাথে আনন্দ বিনোদন ও পাই। যাইহোক আপু আপনি রঙ তুলি দিয়ে সুন্দর সুন্দর রঙ করেন জেনে অনেক ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বিলেছেন স্টিম প্লটফর্ম এমন একটি জায়গা যেখানে আমরা আমাদের নিজের ক্রিয়েটিভ শেয়ার করতে পারি।
সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা এখানে বাংলা ভাষায় নিজের মনের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে পারছি।আমার বাংলা ব্লগের জন্যই সম্ভব হয়েছে।সত্যি কথা বলতে কি আমার আর্ট কিংবা রান্নার ব্যপারে কোন দক্ষতা ছিলো না,তবে এখানে এসে সবার দেখাদেখি কিছুটা হলে কাজ শিখতে পেরেছি।এটা ঠিক আপু আপনি বেশ ভালো আঁকেন।ভালো লাগে এখানে কাজ করতে।ধন্যবাদ
আমিও একমত আপনার সাথে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা এখানে বাংলা ভাষায় নিজের মনের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করতে পারছি