প্রথমেই আমি শুকনো শীমের বিচিগুলোকে তাওয়ায় টেলে ভিজিয়ে রাখলাম প্রায় ১ ঘন্টার মত।
![IMG_20220515_085723.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWc2TcNquKY2HATound6bhQmafb4KbhoX8ZKMSFhSwr1K/IMG_20220515_085723.jpg)
বুটের ডালকেও ভিজিয়ে রাখলাম।
![IMG_20220515_093121.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmb2szvoUAMZJikp1nvuxQkey7fRG3GVAiSB94rPhGGEV2/IMG_20220515_093121.jpg)
শুটকিগুলোকেও পানিতে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে নিলাম।
কাঠালকে খোসা ছাড়িয়ে সুন্দর করে টুকরো করে কেটে ধুয়ে রেখে দিলাম।
![CollageMaker_202252192534777.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmToGnUc99xtbDYXfxfcGtEeLDpmJotjEgBgLVM6eSboFQ/CollageMaker_202252192534777.jpg)
এরপর আমি একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে দিলাম।এরমধ্যে এক এক করে ধুয়ে রাখা শুটকিগুলো এবং পেয়াজকুচি আর কাচামরিচ ফালি দিয়ে দিলাম।
![IMG_20220515_105033.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmV1XQ73h1kgQsiAsUJL7PSfP7ZsKyjmj96493jNzuTLe9/IMG_20220515_105033.jpg)
তারপরে দিলাম হলুদগুড়ো, মরিচ গুড়ো, জিরা গুড়ো, লবণ।সাথে রসুনবাটাও দিয়ে দিলাম।
বুটের ডাল এবং শুকনো শীমের বিচিগুলো দিয়ে দিলাম।সাথে মাছের ২টি মাথা যোগ করলাম।অবশেষে পরিমাণ মত সয়াবিন তেল দিয়ে দিলাম।
এই উপকরণগুলো দেয়ার পরে আমি পরিমাণ মত পানি দিয়ে দিলাম।তেজপাতা আর দারচিনির টুকরো দিয়ে দিলাম। এইবার সবকিছুকে একসাথে রান্না করতে থাকলাম।
![IMG_20220515_105350.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXpTVowtGTsdi5tPVPcyBEvbwHjoD9Zq9hLPmTMtgJqGH/IMG_20220515_105350.jpg)
কিছুক্ষণ এই সবগুলো কষানোর পর আমি মাছের মাথাগুলো তুলে নিলাম।এগুলোকে কাটা ছাড়িয়ে মাছ আলাদা করে নিলাম।
তারপরে আমি কাঠালগুলো দিয়ে দিলাম এই কষানো মসলার মধ্যে। এগুলো দিয়ে ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণের জন্য ঢেকে দিলাম যাতে নরম হয়ে কমে যায়।
এইভাবে ২ ধাপে আমি কাচা কাঠাল দিয়ে দিলাম আর ভালোভাবে নেড়ে রান্না করতে থাকলাম।
![IMG_20220515_112924.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQma3m6cHpbTpSstp2o9wLyGHRMHfx8m8mS8c5mSTWdVEBX/IMG_20220515_112924.jpg)
এরমধ্যে কাটা ছাড়ানো মাছ দিয়ে দিলাম।
রান্না করতে করতে কষানো ঝোল কমে এলে আবারও পরিমাণ মত পানি দিয়ে দিলাম। পানি দেয়ার পর আবার রান্না করলাম যতক্ষণ পর্যন্ত না এগুলো হয়ে আসে।
![IMG_20220521_094113.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRBpCun3gvpYs7XnMGXu7GsDDnpu2hcG3wdexxZGTGRu9/IMG_20220521_094113.jpg)
মোটামুটি ১৫মিনিট রান্নার পর এটি সম্পূর্ণভাবে হয়ে এসেছে। তাই চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে নিলাম। আলাদা পাত্রে এই রান্না করা কাঠাল নিয়ে নিলাম।
![IMG_20220521_094401.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmX6J9isezJ1oKERAdsDXcb8ocbKmZ8Pz8MV1VT1ZxmNxm/IMG_20220521_094401.jpg)
স্বাদ বাড়ানোর জন্য তেল আর রসুনের বাগার দিয়ে দিলাম।
এইতো মজাদার আর সুস্বাদু কাঠাল রান্না তৈরি হয়ে গেল।আমি গরম গরম এক বাটি নিয়ে খাওয়ার জন্য বসে পড়লাম।
এটি ভাত দিয়ে খাওয়ার চেয়ে এমনি খেতে মজা লাগে আমার কাছে।
আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে ভুলবেন না কিন্তু।সবার মন্তব্যের অপেক্ষায় রইলাম।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
![images (4).png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmf8twMCdY1MdDLSXU4eYQSqsSpDiswTmnUfF3cMdMbgZc/images%20(4).png)
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
![images (4).png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmf8twMCdY1MdDLSXU4eYQSqsSpDiswTmnUfF3cMdMbgZc/images%20(4).png)
💦
💦 BRISTY 💦
💦
![animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmeNW8WGqB2SscxBbm243ErNeLe1aTY8yLYdZGXGZgGfeS/animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif)
কাঁচা কাঁঠাল মানে তো এঁচোর , তাই নাহ দিদি?
আমার মা ভীষণ ভালো রান্না করে এই দিয়ে। কাঁঠাল খুব প্রিয় আমার। কলকাতায় বসে এসব রান্না দেখলে খুব বাড়ির কথা মনে পড়ে । যদি মা এর কাছে থাকতাম।খেতে পারতাম।🥺
ঠিক বলেছেন দিদি ☺আর বিশেষ করে মায়ের হাতের রান্নার তো তুলনা হয় না। মন বেশি চাইলে গ্রামে গিয়ে খেয়ে আসতে পারেন ধন্যবাদ।
আপনার প্রজেক্ট এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত সাপোর্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
কত উপকরন দিয়ে রান্না করেছেন,শুটকি মাছ ও মাছের মাথা।আমি যদিও এই ভাবে কাঁচা কাঠাল রান্না করে খায়নি।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আসলে আপু এখানে যত বেশি উপাদান ততবেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কাঁচা কাঁঠাল অনেকেই খেতে দেখেছি। আমি অবশ্য কখনো কাঁচা কাঁঠাল রান্না খাইনি। আপনি অনেক রকমের উপাদান দিয়ে কাঁচা কাঁঠাল রান্না করেছেন। খেতে কেমন হয়েছে বুঝতে পারছি না। কিন্তু দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপু সুযোগ থাকলে কোন একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন, আশা করি নিরাশ হবেন না এবং খুবই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে
কাঁচা কাঁঠাল রান্না করে এর আগে কখনো হয়নি তবে আপনার রেসিপি টা কেমন আছে এটা অনেক সুস্বাদু একটি খাবার। দেখেই লোভ লাগছে মনে হচ্ছে এখনই গিয়ে খেয়ে আসি। আপনি আপনার রান্নার পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।
না খেয়ে থাকলে তাড়াতাড়ি খেয়ে নিন, কেননা এই বছর চলে গেলে আগামী বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
অনেক সুস্বাদু এবং দারুণ একটি রেসিপি তৈরি করলেন। এই রেসিপিটি আবার অনেকের খুবই পছন্দের। আমি শুনেছি নিভলু ভাইয়ারো নাকি অনেক পছন্দের একটা রেসিপি। অনেকগুলো উপকরণ ব্যবহার করেছেন রেসিপি তৈরি করতে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতেও খুবই ভাল হয়েছে। অনেক সুন্দর ভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনার ভাইয়ার পছন্দের একটি রেসিপি এবং তিনিই কাঁঠাল এর ব্যবস্থা করেছেন এই রেসিপিটি করার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কাঁচা কাঁঠাল রান্না রেসিপি আমাদের বাড়িতে কালকে রান্না হয়েছিল এটা আমি খেতে খুবই ভালোবাসি। বিশেষ করে গমের রুটি দিয়ে এটা খেতে বেশ চমৎকার লাগে । রেসিপিটা আমাদের মাঝে আপনি ভাবে দারুন উপস্থাপন করেছেন খুব ভালো লাগলো দেখে ধন্যবাদ। আশা করি ভবিষ্যতে এমন সুস্বাদু রেসিপি আমাদের মাঝে আর উপস্থাপন করবেন।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমিও অনেক পছন্দ করি এই রেসিপিটি এবং আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কাঁচা কাঁঠাল আমি কখনো খাইনি ।তাই এটি খেতে কেমন সেটাও জানি। আপনার কাঁচা কাঁঠালের রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। কারণ আপনি বিভিন্ন জিনিস দিয়ে একটি রান্না করেছে। ডাল, সিমের বিচি ,মাছ ,আবার দুই রকমের এত কিছু দিলে তরকারি মজা না হয়ে যাবে কোথায়!! আপনাকে ধন্যবাদ আপু মজাদার কাঁঠালের রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
কি বলেন আপু এত সুস্বাদু একটি রেসিপি খাওয়া হয়নি। আপনি অনেক মিস করেছে। আমি বলব খুব শীঘ্রই একটি কাঁচা কাঁঠাল নিয়ে এভাবে বানিয়ে খেয়ে দেখবেন অনেক সুস্বাদু হয়।
কাঁচা কাঁঠাল দিয়ে খাওয়া যায় এটা অনেকবার শুনেছি। তবে এই পর্যন্ত নিজে কখনো কাঁচা কাঁঠাল খাই নি। তবে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এইবার কাঁচা কাঁঠালের এমন সুস্বাদু রান্না বাসায় ট্রাই করে দেখা উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু খুব শীঘ্রই ট্রাই করে দেখেন। কারন কাঁঠালের দিন শেষ হয়ে গেলে পরবর্তী বছরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে ধন্যবাদ আপনাকে।
কাঁঠাল দিয়ে খুব মজাদার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন যদিও এ ধরনের রেসিপি আমি আগে কখনো খাইনি তবে দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হবে
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া প্রতিনিয়ত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থেকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ভালো থাকবেন