রেনডম ফটোগ্রাফি নিয়ে আজকের ব্লগ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।আজকে বেশ আনন্দ নিয়েই এই পোস্টটি শেয়ার করতে যাচ্ছি।আশা করি ভালো লাগবে।
আজকে আমি আপনাদের সামনে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি তুলে ধরব। এই ফটোগ্রাফি গুলোও আমি যখন আমার নানুর বাড়িতে গিয়েছিলাম তখন করেছিলাম। সেখানে অনেক ধরনের ফটোগ্রাফি করেছি। প্রতি সপ্তাহে ধাপে ধাপে এই ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করব।আর সবগুলোই খুবই সুন্দর, যার কারণে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আসলে সব সময় নতুন নতুন ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে ভালো লাগে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো।
এখানে যে ফুলটি দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে সাদা রংয়ের গোলাপ ফুল।আর এখানে তিনটি ফুল একসাথে রয়েছে, এই ফুল গুলো দেখতে খুবই সুন্দর।আর আমার কাছে সাদা রঙের ফুল গুলো বেশ ভালই লাগে। তার মাঝে সাদা রঙের গোলাপে মনে হয় যেন সুগন্ধ অনেক বেশি।আর মনোমুগ্ধকর এই ফুলের ছবিটি আমি তুলেছিলাম আমার নানার বাড়িতে,যখন গিয়েছি তখন। তবে এই ফুলগাছটি আমার নানুর বাড়িতে নয়, আমার নানুর বাড়ির পাশেই আমার আন্টির বাড়ি। আর সেখানেই অনেক ধরনের ফুল গাছ লাগিয়েছে। কয়েক রকমের গোলাপ ফুল গাছ রয়েছে। সেখানে একসাথে তিনটি ফুল ফোটার কারণে আমার বেশ ভালো লেগেছে। আর এই ছবিটি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
এই যে দেখছেন আরো একটি গোলাপ ফুল এটিও সেই বাগানের ফুল। দুই পাশে দুটি টবের মধ্যে, এই ফুল গাছগুলো লাগানো। তবে অনেক ধরনের গোলাপের চাষ যেন সেখানে করা হয়েছে। আর আমার বেশি ভালো লেগেছে এই গোলাপ গাছটি। অনেক ছড়ানো এবং অনেকগুলো গোলাপ ফুল ধরে আছে। হালকা কমলা, হালকা সাদা এবং ক্রিম কালারের সমন্বয়ে গোলাপ ফুলটি অনেক সুন্দর দেখতে।যা আমার মন কেড়ে নিল। এখানে দেখতে পাচ্ছেন আশেপাশে অনেকগুলো ফুল ফুটে আছে, আর আমি একটি ছবি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। আশা করি ভালো লাগবে।
আমার নানাদের প্রজেক্টে অনেক মাছ চাষ করা হয়। আর সেখানে পাঙ্গাস মাছের চাষ করেছে, এই মাছগুলো সে প্রজেক্টে অনেক বড় হয়েছিল। আর যখন বেড় দেয়া হয়েছিল সেখান থেকে বড় সাইজের কিছু মাছ রেখে দেয়া হয়েছে। আর বাকি মাছগুলো আবার ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। যেহেতু বাড়িতে অনেক মেহমান রয়েছে, তাই সবাই নিজের পুকুরে বেড় দিয়ে তাজা কিছু মাছ উঠিয়ে এনেছিল। আর এই মাছগুলো আলাদাভাবে রেখেছে, তাই আমি ছবি তুলে নিলাম।
এই যে দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে রঙ্গন ফুলের গাছ। মামা অনেক জাতের রঙ্গন ফুল রোপন করেছিল। আর একটা গাছ রয়েছে বড় পাতার, আরেকটা গাছ ছোট পাতার। তবে এই ছোট পাতার গাছের ফুলগুলো একদম একগুচ্ছ। একটি থোকার মধ্যে ফুটে বলে বেশি আকর্ষণীয় মনে হয়। আর লাল রঙের ফুল দেখে আরো বেশি আকর্ষণীয় লাগে,সবুজের মাঝে লাল। দেখেই বেশ ভালো লাগছে, যাইহোক ছবিটা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি ভালো লাগলো তাই।
এখন যেটি দেখেন এটি হচ্ছে ডুমুর, অনেকেই চিনেন। এই ডুমুর ফল নাকি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব ভালো। তবে এটির মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে।এটি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়, কেউ ভাজি করে খায়, কেউ রান্না করে খায়। তাছাড়া এটি সিদ্ধ করে বেটে আবার ভাজি করেও খাওয়া যায়। তার পাশাপাশি কাঁচাও খাওয়া যায়। সেদিন আমার ছোট খালামণি এই ডুমুর ফলগুলো কাঁচা টক দিয়েই মাখিয়ে ছিল, খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছে।
সুন্দর দুটি লেবু একসাথে ধরে রয়েছে।এই লেবুগুলো নানুদের ছাদ বাগানে রয়েছে। আমাদেরও এরকম একটা লেবু গাছ ছিল, যদিও এখনো আছে। তবে লেবু ধরতে ধরতে মনে হয় যেন আমাদের লেবু গাছটা বুড়ো হয়ে গিয়েছে। তাই এখন খুব কম ধরে। তবে সেই লেবু গাছ থেকে কলব করে আলাদা একটা লেবু গাছ ঘরের পাশের রোপন করেছিলাম। আর সেটাতে ভালোই লেবু ধরে।আমার খুবই ভালো লাগে গরম ভাতের সাথে লেবু খেতে।এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। যার কারণে এটি প্রতিদিন খাওয়া উচিত।
সবাই একটু খেয়াল করলেই দেখবেন একটা গাছের মধ্যে ছোট ছোট কমলা দেখা যাচ্ছে।এগুলো হচ্ছে চায়না কমলা।আমার মামা বিভিন্ন রকম ফল গাছের সাথে এই কমলা গাছটি এনেছিল অনেক আগে।তবে অনেক বছর ধরেই এই গাছে কমলা ধরে।তবে এগুলো পাঁকা হলেও টক,তাই কেউ তেমন খেতে চায় না🤣🤣।এজন্যই গাছের মধ্যে পেঁকেও রয়ে গেছে।আর এই পাঁকা কমলা দেখে আমি ছবি তুলে নিয়েছি।
এই ছিল সাতটি ছবি নিয়ে রেনডম ফটোগ্রাফি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | রেনডম ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর ছিল ৷ আসলে গোলাপের ধরন কতগুলো তা জানার শেষ নেই ৷ আর পাঈাস মাছ তো অনেক ভালো লাগে একমাত্র মাছ যার কাটা নেই ৷
আর বাংলাদেশ কমলা তাহলে খাওয়াই যাবে না ৷ কারন আমাদের এই দিকের মাটি ফল চাষের উপযোগী না ৷
ধন্যবাদ সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ৷
সত্যি বলতে ভাইয়া ২৬৩ যাতের গোলাপ রয়েছে পৃথিবীতে, তাও সম্ভাব্য। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সুন্দরী কমলা গুলোকে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই এগুলো টক। আসলে উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট🤪🤪। ডুমুর ফল এর আগে কখনো দেখিনি। এই ফল দেখে ভালই লাগলো। আর সাদা গোলাপের কথা কি বলবো। সাদা গোলাপ আমার সবচেয়ে প্রিয়। ফটোগ্রাফি দেখেই তো একেবারে মুগ্ধ হয়ে গেছি আপু।
আপু আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, খুব চমৎকার ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সর্বদায় এই কামনা করি।
https://twitter.com/bristy110/status/1610211722798960640?s=20&t=P00lluQsm9qEhE5xlgM1QQ
আপু তো দেখছি বেশ ভালো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই ভালো হয়েছে। সাদা ও হালকা কমলা রঙের গোলাপ ফুল গুলো বেশ ভালো মানিয়েছে। আপনার নানুর বাড়ির পাশে থেকে ভালো ফটোগ্রাফি করেছেন। পাঙ্গাস মাছগুলো দেখি বেশ ভালো লাগছে। চাষ করা মাছ খেতে কিন্তু বেশ ভালো লাগে, আর পাঙ্গাস মাছ বাচ্চাদের খুব প্রিয় হয়। এবং কি চায়না কমলা গুলো দেখে বেশ ভালো লাগছে। আমারও একটা চায়না কমলা গাছ আছে আপু কাচাও টক পাকলেও টক। তবে যখন গাছে পাকা পাকা কমলা গুলো দেখা যায় দেখতে বেশ ভালো লাগে।
জি আপু এগুলো আমার নানার বাড়িতে উনাদের প্রজেক্টের মাছ। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন ফ্যামিলি সবাইকে নিয়ে সবসময় এই কামনা করি।
আপনার নানুর বাড়ি গিয়ে চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। সাদা গোলাপ ফুলে আমার খুবই পছন্দের। দেখতে ভালো লাগে। ডুমুর আমরাও টক দিয়ে কাঁচায় মাখিয়ে খায়। খেতে খুবই মজা লাগে। চায়না কমলা গুলো দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে খুব চমৎকার ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন সর্বদায়।
আপু খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সাদা গোলাপ দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। পাঙ্গাশ মাছ দেখে মনে হচ্ছে ধরলেই লাফানো শুরু করবে। এছাড়া গাছের মধ্যে চায়না কমলা দেখে ইচ্ছে করছে গাছে উঠে সবগুলো নিয়ে আসি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু গাছের মধ্যে চায়না কমলা গুলো অনেক সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন।রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে বেশ ভালোই লাগছে।ফুল আর প্রজেক্টের মাছ গুলো দেখতে সুন্দর লাগছে।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর প্রশংসা মূলক মন্তব্য পেয়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু ভালো থাকবেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
নানুর বাড়িতে যেতে ইচ্ছে করছে। যাই হোক আপনি আপনার নানুর বাড়িতে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। কি বলছেন আপু কমলা গাছ দেখে আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না। এভাবে ফেঁকে রয়েছে অথচ টক বলে কেউ খায় না। আর গোলাপ ফুলটি আমারও মন কেড়ে নিল।
জি আপু মাঝে মাঝে গিয়ে আপনি ও বেড়িয়ে আসবেন নানার বাড়িতে। অনেক মজা হবে ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
বাহ আপু আপনি তো দেখছি বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করতে পারেন।আপনার তোলা প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আর এই ফটোগ্রাফি আপনি তুলেছেন আপনার নানি বাড়ির পাশ থেকে। আপনার পাঙ্গাসের ফটোগ্রাফি এই পাঙ্গাস কিন্তু আমরা আমাদের নিজের পুকুরে চাষ করে থাকি। আপনি দেখছি ডুমুরের ফটোগ্রাফি দিয়েছেন এই ডুমুর ভেজে খেতে কিন্তু অনেক সুস্বাদু লাগে। আমাদের এদিকে এ ধরনের কমলা গাছ কিন্তু হয় না আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া খুব চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য। আপনার মন্তব্যটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো, ভালো থাকবেন।।
আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফিই দেখতে খুব সুন্দর লাগছে। আমারও ফটোগ্রাফি করতে ভীষণ ভালো লাগে।আসলে ফটোগ্রাফি করা সহজ বিষয় না।কিন্তু আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে আপনি এ কাজে খুব দক্ষ একজন ব্যক্তি।যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
ভাইয়া খুব চমৎকার একটা মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।