আমার পছন্দের নকশী পিঠা তৈরি ||আমার বাংলা ব্লগ কনটেস্ট - ৯|| ১০% বেনিফিশিয়ারী @লাজুক-শিয়াল এর জন্য
আসসালামুআলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগ এর প্রিয় বন্ধুগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাই। আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন৷ আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রিয় বন্ধুগণ, আজকে নকশী পিঠা তৈরি করার জন্য আমি যে উপকরণ ব্যবহার করলাম সেগুলো আমি নিচে দিয়ে দিলাম।
| উপকরণ | পরিমাণ |
|---|---|
| চালের গুড়ো | ২ কাপ |
| আখের গুড় | ২ কাপ |
| লবণ | আধা চা চামচ |
| পানি | ৪ কাপ |
| সয়াবিন তেল | ২-৩ কাপ |
| টুথপিক | ২/৩ টি |
| কয়েল স্ট্যান্ড | ১ টি |
| বোতলের ক্যাপ | ১টি |
★পিঠার খামির তৈরি পদ্ধতি★
প্রথম ধাপ
দ্বিতীয় ধাপ
এরপরে আমি একটি ছড়ানো ট্রে তে চালের গুড়োর সিদ্ধ করা আটা নিয়ে নিলাম। হালকা গরম অবস্থায় হাত দিয়ে ভালোভাবে মেখে নিতে থাকলাম। হাতের মধ্যে সামান্য পরিমাণ পানি লাগিয়ে আবারও ভালোভাবে মেখে নিতে থাকলাম।
এই খামিরটি ভালোভাবে মেখে তৈরি করে নিতে হবে যাতে খুবই মোলায়েম হয়। নাহলে পিঠা তৈরি করার সময় এটি ফেটে যেতে পারে।
এরপরে আমি একটি সুতার কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে এই খামিরের উপরে দিয়ে ঢেকে রেখে দিলাম।
তৃতীয় ধাপ
সেখান থেকে কিছুটা পরিমাণ খামির হাতে নিলাম, এরপরে এটিকে হাত দিয়ে ভালোভাবে গোল করে চেপ্টা করে নিলাম।এরপরে আমি বেলনের সাহায্যে রুটির মত বেলে নিয়েছি। তবে এর পুরুত্ব আধা ইঞ্চি থেকে একটু কম পরিমাপ নিয়ে তৈরি করে নিয়েছি।
★পিঠার ডিজাইন তৈরি★
চতুর্থ ধাপ
এই রুটি তৈরি করার পর পরই আমি ডিজাইনের কাজ শুরু করব। এজন্য আমি সামান্য পরিমাণ তেল পিঠার উপরে ব্রাশ করে নিলাম।
পঞ্চম ধাপ
এরপরে আমি একটি বোতলের ক্যাপ নিলাম। এর সাহায্যে আমি পিঠার ডিজাইন করা শুরু করব। এজন্য আমি পুরো রুটিতে বোতলের ক্যাপ দিয়ে ছাচ তৈরি করে নিলাম। এক্ষেত্রে আমি হালকা চাপ দিয়ে ছাচ করে নিয়েছি।

ষষ্ঠ ধাপ
এরপরে নিলাম টুথপিক। এটি দিয়ে আমি গোল ডিজাইনের একপাশ থেকে পিঠার ভাজ তুলতে থাকলাম৷ খুব সাবধানে এই কাজটি করতে হবে৷
এক এক করে আমি সবগুলো ছাচের ডিজাইন করে নিয়েছি। এটি তৈরি করা কিছুটা কঠিন কাজ। কারন ঠিকমত পিঠার ডিজাইন করতে না পারলে পিঠা তৈরি করা সুন্দর হবে না।
সপ্তম ধাপ
এরপরে আমার আবারও টুথপিক দিয়ে পিঠার চারপাশে আরও ডিজাইন করে নিলাম।
অষ্টম ধাপ
এরপরে হাতে নিলাম কয়েলের স্ট্যান্ড দিয়ে তৈরি করা কাটার।এটির সাহায্যে আমি পিঠার কিনারায় ডিজাইন করব। এক্ষেত্রে আমি কেটে কেটে ডিজাইন করে নিয়েছি।
নবম ধাপ
এইভাবে আমি আরো কয়েকটি পিঠা তৈরি করে নিয়েছি। সম্পূর্ণ ভিন্ন ডিজাইনে অন্য পিঠা তৈরি করে নিয়েছি। এতে কারুকাজ করা নিজের দক্ষতার উপর৷
পিঠার মধ্যে এই ডিজাইন করা হচ্ছে সবচেয়ে বড় কষ্টকর কাজ,কারণ যদি ভালোভাবে ডিজাইন উঠানো না যায়, তাহলে এটি মোটেও ভালো হবে না।
আমি ৮টি পিঠা তৈরি করেছি, অনেক সময় নিয়েই এই পিঠার ডিজাইন করলাম।
★ভাজার পদ্ধতি ★
দশম ধাপ
প্রথমে আমি একটি কড়াইতে পরিমাণ মত তেল দিয়ে দিলাম। তেল গরম হয়ে এলে আমি এতে একটি পিঠা ছেড়ে দিলাম। চুলার আগুন মাঝারি আচে দিয়ে পিঠা ভাজতে থাকলাম।
পিঠা ভাজতে অনেক্ষণ সময় লেগেছে, কারণ এর ভিতরের অংশ ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে।
একে একে সব পিঠা সুন্দর করে ভেজে নিলাম।

একাদশ ধাপ
পিঠা ভাজতে ভাজতে আমি অন্য চুলায় আরেকটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। সেখানে ২ কাপ পরিমাণ আখের গুড় আর ২ কাপ পানি দিয়ে দিলাম। ভালোভাবে এটি রান্না করতে থাকলাম।
এক পর্যায়ে এটিতে যখন একটু আঠালো ভাব আসবে,তখন আমি চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম। গুড়ের শিরা তৈরি করা হয়েছে।
★গুড়ের শিরায় ডুবানো ★
দ্বাদশ ধাপ
এরপরে ভাজা পিঠাগুলো এক এক করে এই গুড়ের শিরার মধ্যে দিয়ে দিলাম। ভালোভাবে শিরার মধ্যে ১/২ মিনিট ডুবিয়ে আবার শিরা থেকে তুলে নিলাম।
এভাবে সব পিঠা শিরায় ডুবিয়ে তৈরি করে নিলাম। এইতো তৈরি হয়ে গেল খুব মজাদার নকশী পিঠা।
এই পিঠা আমি তৈরি করতে ৪ ঘন্টা সময় লেগেছে। কারণ পিঠায় ডিজাইন করা আর সময় নিয়ে পিঠা ভেজে নেয়াই অনেক সময়ের কাজ।
শীতের দিনে এই পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে৷ এই পিঠা গুড়ের শিরায় ডুবানো হয় বলে এরমধ্যে মিষ্টি ভাব আসে। আর চালের গুড়ো দিয়ে তৈরি করা হয় বলেই একটু ক্রিসফি ভাব আসে। এককথায় অসাধারণ খেতে এই পিঠা। আমার খুব খুব প্রিয় এই পিঠা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে,আমার তৈরি করা এই পিঠা কেমন হয়েছে সেটা আপনাদের মতামতের উপরই নির্ভর করবে।
সবার সুস্থতা কামনা করছি।
আল্লাহ হাফেজ
| ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
|---|---|
| ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি জে৫ প্রাইম |
| লোকেশন | https://maps.app.goo.gl/hip5r7Lqpsxc6tF38 |

























অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার নকশি পিঠা। পিঠাটি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। নকশাগুলি তৈরি করতে আসলেই খুব কষ্টের কাজ। আপনি রেসিপিটি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জি আপু খু কষ্ট হয় এই পিঠার ডিজাইন তুলতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
নকশি পিঠা টা দেখতে যত সুন্দর এটি বানানো ততোই কঠিন। আপনি কঠিন কাজটি কে করে দেখিয়েছেন । আপনার পিঠা নকশা টা খুবই সুন্দর হয়েছে। খেতে নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছিল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু। আপনার মতামত পেয়ে সত্যিই খুব খুশি হলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু। আপনার মতামত পেয়ে সত্যিই খুব খুশি হলাম।
আপু আপনার পিঠাগুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। এই পিঠাগুলো তৈরি করতে খুব সময় লাগে। খুব ধৈর্য্য সহকারে পিঠাগুলো তৈরি করতে হয়। আর আপনি খুব সুন্দর করে পিঠা গুলো তৈরি করেছেন। আশুলিয়া পিঠাগুলো খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু,যে তৈরি করে সে জানে কতটা সময় আর কষ্ট করে বানাতে হয়। তবে খেতে সত্যিই সুস্বাদু খুব। অনেক ধন্যবাদ আপু
ওয়াও আপু।। অসাধারণ একটি পিঠার রেসিপি তৈরি করেছেন।নকশী পিঠার রেসিপি এই প্রথম দেকলাম। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার মতামত পেয়ে অনেক ভালো লেগেছে ভাইয়া।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু, নকশি পিঠা দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও অসাধারণ সুস্বাদু লাগে। আপু আপনার নকশি পিঠা তৈরি বর্ণনা এবং ফটোগ্রাফি আমাকে মুগ্ধ করেছে। সব মিলে এক জমজমাট কনটেস্ট। আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপনার নকশি পিঠা তৈরি অসাধারণ হয়েছে। ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার না করলে হয়তো দেখতে পেতাম না। এত সুন্দর পোস্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
আপনার নকশি পিঠার রেসিপি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছা করছে। খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার উপস্থাপনকি খুবই সুন্দর ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, সুন্দর মতামত পেয়ে ভালো লেগেছে।
অনেকদিন পর নকশী-পিঠা দেখলাম। বানাতে একটু কষ্ট হলেও খেতে বেশ দারুন। অনেক সময় নিয়ে বিভিন্ন ডিজাইন করেছেন আপু বোঝা যাচ্ছে। খুবই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন পুরো ব্যাপারটা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া,খুব সুন্দর মতামত দিয়ে উৎসাহিত করার জন্য।
বাহ আপনার ভিডিওটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অনেক সুন্দর একটি পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নকশি পিঠা দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনি সুস্বাদু। আপনার নকশি পিঠা টি দেখে মনের ভেতর কেমন জানি আমার একটা আনন্দ জন্ম নিল। ক্যানন আইপি টা কে দেখলে আমি স্থির থাকতে পারি না অনেক খুশি খুশি লাগে।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি পিঠা রেসিপি আমাদের মালয়েশিয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
আমার কাছে একদম ইউনিক রেসিপি। নকশি পিঠা রেসিপি সত্যি দেখে জিভে জল আসছে। খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার পদ্ধতি দেখে একদিন তৈরি করবো। নিশ্চয়ই দুর্দান্ত খেতে হয়েছিলো। শুভেচ্ছা রইলো অনেক
জি ভাইয়া,খেতে খুবই অসাধারণ। আপনি তৈরি করে দেখতে পারেন৷