একটুখানি ফ্রেশনেস||ফ্যামিলি গেট-টুগেদার এ কাটানো মুহূর্ত||
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷ সবার সুস্থতা কামনা করে আমার আজকের এই পোস্ট শুরু করলাম।আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি আনন্দময় মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য এলাম। কম বেশি আমরা সবাই ঘুরতে পছন্দ করি। তবে বাইরে কোথাও ঘোরাঘুরি করা আর নিজ বাড়ি থেকে নিজের আত্মীয় এর বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ রয়েছে। কারণ সেখানে সবাই একত্রিত হয় অনেকদিন পর। আর অনেকটা সময় ব্যয় করা যায় একসাথে। আর আজকে আমি এমনই একটি মুহূর্ত আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে এসেছি আমার ছোট ফুফুর বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্তটি। কিছুদিন আগেই আমরা ফ্যামিলির সবাই মিলেই আমার ছোট ফুফুর বাড়িতে গিয়েছিলাম। তখন আমি আমাদের বাড়িতে ছিলাম। সেখান থেকে আমি, আমার আম্মু, আমার ছোট বোন,ভাই এবং আমার আব্বু সবাই গেলাম।সকাল ১০টায় বের হলাম বাড়ি থেকে,সিএনজিতে করে সেখান থেকে ফুফুর বাড়িতে যাওয়া হয়।
Location
আমাদের বাড়ি থেকে ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার মাঝপথেই একটি স্থানীয় বাজার রয়েছে। সেখানে গাড়ি যখন থামালো আমরা কিছুক্ষণ বসে ছিলাম এবং আমার আব্বু আম্মু কিছু কেনাকাটা করার জন্য গিয়েছিল। তো তখন নিভৃত তার খালামণির কোলে ছিল। কিছুক্ষণ সে ঘুমিয়ে ছিল তারপর গাড়ির আওয়াজ জোরে হওয়ার কারণে সে জেগে যায় এবং এদিক ওদিক তাকাতে থাকে। তখন আমি তার কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। বিশেষ করে ওর হাতের আঙ্গুল দিয়ে এমন পোজ দিল যেন সে ভিক্টরি দেখাচ্ছে,হাহাহা।
যাই হোক আমরা সকাল ১১ টায় আমার ফুফুর বাড়িতে পৌছালাম। একটু তাড়াতাড়ি গেলাম। আমাদের বাড়ি থেকে আমরা কয়েকজন গেলাম, আমার শ্বশুর বাড়ি থেকেও সবাই গিয়েছিল। কারণ সেদিন সবার গেট টুগেদার ছিল। সেখানে যাওয়ার পর আমরা নাস্তা করে নিলাম। নাস্তা করার পর আমরা বাইরে একটু হাটাহাটি করলাম। বাইরের পরিবেশ খুবই সুন্দর। পাশে কিছু পুকুর ছিল সেখানে আমি কিছু ফটোগ্রাফি করেছি।
Location
তারপর আশেপাশে জায়গাগুলো এত মনোমুগ্ধকর যে ছবি না তুলে পারলাম না। সবুজ প্রকৃতি তখন, চারিদিকে সবুজের সমারোহ।তখন ধানগাছে জমি ভরপুর।এখন তো সবগুলো ধান পেকে গিয়েছে। যাই হোক সেখানেও কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি মেঘগুলো খুব দারুণ দেখাচ্ছে। সেজন্য আমি কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।
তারপর আমরা আবার বাড়ি ফিরে গেলাম, দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করলাম। দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে আমরা আবারও বাইরে বের হলাম কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করব বলে। কারণ সেখানে পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল। আশেপাশের জায়গা গুলো অনেক বেশি ভালো লাগে বিকেলবেলায়। তাই আরো কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। এরপর আমরা আবার বাড়ি ফিরে গেলাম।
সেখান থেকে আমি আমার শ্বশুরবাড়িতে ফিরে আসবো। সে হিসাবে আমরা বিকেল ৪:৩০ এ সিএনজিতে উঠলাম। আসার সময় আবার একটি বাজারের সামনে দাঁড় করালো গাড়ি। তখন আমি সেখান থেকে একটি ফটোগ্রাফি নিলাম। আসলে একটু সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল যার কারণে দেখতে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছিল। যাই হোক সেখান থেকে আসলাম আমাদের সেন্টারে। সেখানে বসে ছিলাম কিছুক্ষণ। তখন নিভৃত তার খালামণির কোলে বসে ছিল। তাকে নিয়ে বসে থাকা হয়েছে কেন সেজন্য সে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। সেই সময় আমি একটা ছবি তুলে নিয়েছি।
আসলে মাঝেমধ্যে এদিক সেদিক ঘুরতে এমনিতে ভালো লাগে।মন-মানসিকতা এক জায়গায় বেশিদিন থাকতে থাকতে কেমন যেন বিষাদগ্রস্ত হয়ে যায়।তাই মাঝেমধ্যে কোথায় ঘুরে আসলে মন্দ হয়না। আর কোথাও বেড়াতে গেলে তো আশেপাশের জায়গাগুলো সব সময় ঘোরা হয়। আর আজকে আমি আমাদের বেড়াতে যাওয়ার মুহূর্তটি আপনাদের সাথে সংক্ষেপে তুলে ধরলাম। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | একটু ঘুরাঘুরি |
ক্যামেরা.মডেল | M12 |
ফটোগ্রাফার | @bristy1 |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়ালেখার পাশাপাশি আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
সেদিন আসলে অনেক ভালোই ঘুরাঘুরি হয়েছে, যদিও আমরা মোটরসাইকেলে করে আগেই চলে এসেছি। তবে নিভৃতের পোজটি অনেক দারুন ছিলো, আর সে ও এদিকে ওদিকঘুরতে বেশি পছন্দ করে।
আপনারা তো মোটরসাইকেলে করে চলে গিয়েছেন। আমরা আসতে আসতে ও অনেক মজা করেছি। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য
এভাবে পরিবারের সবাইকে নিয়ে গেট টুগেদারে যাওয়ার আনন্দ আলাদা।আপনারা সবাই মিলে ফুফুর বাসায় গিয়ে অনেক আনন্দ করেছেন।খাওয়া-দাওয়া করেছেন সুন্দর সময় কাটিয়েছেন।সাথে বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি নিয় আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
পোস্টটি পড়ে যথাযথ একটা মন্তব্য করেছেন আপু। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
নিভৃতের দুই আঙ্গুলের ছবিটা আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে আপু। দেখে মনে হচ্ছে অনেক বড় কিছু অর্জন করে বিজয় অর্জন করেছে। যাই হোক আপনার মায়ের সাথে ঘুরাঘুরি করেছেন জেনে ভীষণ ভালো লেগেছে। মাঝে মাঝে ঘুরাঘুরি করলে মন মানসিকতা খুবই ফ্রেশ থাকে। ছবিগুলো দেখে ভীষণ সুন্দর লেগেছে আমার কাছে। সবুজ প্রাকৃতিক বিষয়টা আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে আপু।
জি ভাইয়া নিভৃত একদম জয়ের নিশান দেখাচ্ছে। ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।
আপনি আপনার ছোট ফুফুর বাসায় বেড়াতে গিয়েছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু। ঘুরতে যেতে আমারও অনেক ভালো লাগে। আজ আপনার ছোট ফুফুর কথা শুনে আমারও ছোট ফুফুর কথা মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর ফটোগ্রাফিও মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আমার ছোট ফুফুর কথা শুনে আপনার ও ছোট ফুফুর কথা মনে পড়ে গেল, এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
পরিবারের সকলেই একসাথে হয়ে সময় কাটানোর অনুভূতিটা কিন্তু অনেক দারুন। বিশেষ করে আমরা সবাই বিভিন্ন কাজে বাইরে থাকি তাই পরিবারের মানুষজনের সাথে খুব একটা বেশি দেখা-সাক্ষাৎ হয় না কিন্তু যখন দেখা-সাক্ষাৎ হয় তখন সব দুঃখ কষ্ট যেন বিলীন হয়ে যায়। আপনি অনেক চমৎকার একটি সময় কাটিয়েছেন তবে হ্যা আপনার তোলা ছবিগুলো অসাধারন ছিল।
যথাযথ একটি মন্তব্য করেছেন আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ দোয়া ও ভালোবাসা রইলো ভালো থাকবেন।
যেকোনো একঘেয়ে পরিবেশে অনেকদিন ধরে থাকতে থাকতে মন মেজাজ খারাপ হয়। তার জন্য আমাদের একটু বেড়ানো দরকার একটু আউটিং দরকার। বেরোলে একটু মনটা ঠিক হয়। অনেকেই ভাবে যে সাধারণ একটা গ্রামে গিয়ে বা সাধারণ একটা পার্কে গিয়ে কি লাভ?লাভ অনেক!মানসিক শান্তি,যেটা অনেক সময়ই চার দেওয়ালের মধ্যে থাকলে হারিয়ে যায়।খুব ভালো লাগলো আপনি এভাবে ঘুরেছেন,নিজেকে সময় দিয়েছেন।ছবিগুলো দুর্দান্ত হয়েছে। আর আপনার বেবিকে সবসময় এর মত কিউট লাগছে।
দিদি আপনি ঠিক বলেছেন বেড়াতে বেরোলে একটু মনটা ঠিক হয়। ধন্যবাদ খুব চমৎকার ও সুগঠিত একটা মন্তব্য করার জন্য।
পরিবারের সবাইকে নিয়ে আপনার ছোট ফুফুর বাড়িতে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন। মাঝেমধ্যে ফ্যামিলির সবাই কোথাও ঘুরতে গেলে খুব ভালো লাগে। আপনাদের ছোট বাবুর ছোট খালার কোলে বসে থাকা ছবিটি খুব ভালোই লাগলো। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে সবসময় কামনা করি।
পরিবারের সাথে ঘুরতে যাওয়ার মজাই অন্য রকম। আপনি ফুফুর বাসায় গিয়েছেন, সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভাল লাগলো। আর সেই সাথে নিভৃতের ছবিটাও দারুন ছিল জয়ের সাইন দিয়ে আছে হাতে। 🥰 ফুফুর বাড়ি গিয়ে বেশকিছু ছবিও তুলেছেন বেশ ভাল লাগলো। গাছগুলোর ছবি, আকাশের ছবি আর বিশেষ করে ধান ক্ষেতের ছবি দেখে আমার মনটা ভরে গেল। অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার আর আপনার পরিবারের জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
ঠিক বলেছেন আপু, সে ভিক্টরি দেখাচ্ছিল। ধন্যবাদ যথাযথ একটা মন্তব্য করার জন্য, ভালো থাকবেন সর্বদায়।
আপনার ছোট ফুফুর বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া নিয়ে লেখা আপনার পুরো পোস্টটি আমি পড়েছি। বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে। আপনার বাচ্চাটা দেখতে বেশ মিষ্টি। আর ঘুরতে গিয়ে আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো তুলেছেন সেগুলোও অসাধারণ সুন্দর হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সব সময় সুচিন্তিত সুগঠিত মন্তব্য করার জন্য ভালো থাকবেন।